বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলার ১৩ জন নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৯ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। এই ফরমায়েসি রায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে ইসলামপ্রিয় জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানায়। নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কদমচিলান ইউনিয়নের জনগণ আল্লামা সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে। রায় পরবর্তী সহিংসতার একটি মামলায় লালপুর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এবং নাটোর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মহাসিন আলম এবং তার পিতা লালপুর উপজেলা জামায়াতের শূরা সদস্য, সাবেক মেম্বার মোখলেছুর রহমান, কদমচিলান ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবদুর রাজ্জাক, নায়েবে আমীর মিজানুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ সাজানো মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল এ সাজানো মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে জামায়াতের ১৩ জন নেতাকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। জামায়াত নেতাকর্মীগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব এবং আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করলে তারা বেকসুর খালাস পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য তড়িঘড়ি করে রাজনৈতিক মামলায় সাজা প্রদান করছে। সরকারের একজন মন্ত্রীর কথায় প্রকাশ পেয়েছে যে, তাদের নির্দেশেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের আটক রাখা হচ্ছে এবং তাদের আদেশেই আবার মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সরকারের ঐ মন্ত্রীর কথায় প্রতীয়মাান হচ্ছে, আদালতগুলো সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করছে মাত্র। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করার এবং নাটোরের ১৩ জন নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক মামলায় যাদেরকে দন্ডিত করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”