৬ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার

গণমানুষের প্রিয়নেতা মাহবুবুর রহমানের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন

গণমানুষের প্রিয়নেতা জনাব মাহবুবুর রহমান এবং শহীদ আব্দুল মালেকের বড় ভাই জনাব আব্দুল বারীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে ৫ নভেম্বর রাত ১০টায় দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ৬ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ৬ নভেম্বর বেলা ৩টায় পায়রাবন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শোকবাণী

জনাব মাহবুবুর রহমানের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৬ নভেম্বর এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, জনাব মাহবুবুর রহমান গণমানুষের প্রিয়নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষ তাঁকে কাছে পেত। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি।

তিনি আরও বলেন, তাঁর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

অপর এক শোকবাণীতে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে ১৯৬৯ সালে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলামীকরণের দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে গিয়ে শাহাদাত বরণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন তুখোড় ছাত্র নেতা আব্দুল মালেকের বড় ভাই জনাব আব্দুল বারী ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজেউন)। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। জনাব আবদুল বারী একজন মহান পিতা ছিলেন। তিনি তাঁর প্রত্যেক সন্তানকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর ৬ সন্তানের মধ্যে ২ জন জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি, ২ জন সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য (সাবেক কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম ও সবেক কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি ডা. আনোয়ারুল ইসলাম) এবং ১ জন রাজশাহী মহানগরীর দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।