বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য, সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, সমাজসেবক, প্রবীণ জননেতা কারান্তরীণ অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই বিকাল পৌণে ৬টায় প্রায় ৮৫ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৫ কন্যাসহ বহু নাতি-নাতনী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। আগামীকাল ২১ জুলাই শুক্রবার সাতক্ষীরা সদরে মরহুমের জানাযা শেষে সাতক্ষীরা সদরের খলিলনগরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
শোকবাণী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য, সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, সমাজসেবক, জননেতা অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডলের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ২০ জুলাই প্রদত্ত এক শোকবাণীতে বলেন,
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য, সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, সমাজসেবক, প্রবীণ জননেতা ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডলের ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল সাতক্ষীরা অঞ্চলের একজন অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছাত্র জীবনের সকল পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। কারাগারের বন্দী জীবনে তিনি পবিত্র কুরআন মাজিদ হিফজ করেন।
তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরাবাসীর প্রিয় নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল প্রায় গত ৮ বছর যাবৎ সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে বন্দী জীবন-যাপন করছিলেন। প্রবীণ আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মন্ডল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রেখেছেন। সাতক্ষীরার উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন, তা সাতক্ষীরাবাসী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি ব্যয় করেছেন এলাকবাসী ও দেশের উন্নয়নে। তিনি কারান্তরীণ থাকাবস্থায় ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাঁকে কারা কর্তৃপক্ষ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তরিত করেন। হাসপাতালে তাঁর যথাযথ পরিচর্যা ও চিকিৎসা না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় তাঁকে পারিবারের তত্ত্বাবধানে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সারাজীবন যিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা পালন করলেন, জীবনের শেষ মুহূর্তে তিনি কোনো সুচিকিৎসা পেলেন না। তাঁর সাথে যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, তা নিতান্তই দুঃখজনক। তিনি সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চিকিৎসা বঞ্চিত অবস্থায় মহান আল্লাহর জিম্মায় চলে গেলেন।
আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট বিনয়ের সাথে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করেন। আমি তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি এবং মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করছি তিনি যেন তাদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।”