বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বারবার রিমান্ডে নিয়ে মানসিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ২৭ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। ৭ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির করে প্রথমে ৪ দিন ও পরে আরো ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ৮ নভেম্বর তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। সরকার তাঁর জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ তাঁর জামিন বহাল রাখেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তিনি জেল থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আরেকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি উচ্চ আদালত থেকে পুনরায় জামিন লাভ করেন। সরকার এবারো তাঁর জামিন বাতিলের জন্য আপিল করলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি জেলখানা থেকে বের হওয়ার পূর্বে আবারো তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ৩০ মে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
উক্ত মামলায়ও তিনি এ বছরের ৩০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। এবারো সরকার পক্ষ আপিল করলে চেম্বার জজ তা খারিজ করে দেন। তিনি পরপর তিনবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে সর্বশেষ পবিত্র মাহে রমাদানে কারাগার থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে ১৬ এপ্রিল ২০২৩ পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্ব মুহূর্তে আবারো তাঁকে একটি মিথ্যা মামলায় যুক্ত করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আজ ২৭ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৭ মে শুনানীর তারিখ ধার্য করেন।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বারবার তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদের কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। উচ্চ আদালত বারবার জামিন মঞ্জুর করার পরও তাঁকে মুক্তি না দিয়ে নতুন মামলায় জড়ানোর মাধ্যমে আদালতের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হয়েছে। আমরা সরকারের এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ আটক সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”