আরও

১০ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

দেশে গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার আন্দোলনে শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে

বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের অবদান এবং ত্যাগের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১০ এপ্রিল এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জনাব মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ছাত্রজীবন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহ যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তা তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলা দায়ের করে। শুধু আন্দাজ-অনুমান নির্ভর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তাঁর এই দণ্ডের বিরুদ্ধে দেশ এবং বিদেশ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ জানানো হয়। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহ্বান জানায়। সরকার তা অগ্রাহ্য করে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করে।

মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন তাঁর শাহাদাতকে কবুল করেন। আমি দেশবাসীকে তাঁর রেখে যাওয়া ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।”