আরও

১৪ জুন ২০২৪, শুক্রবার

পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামসহ আটক সকল নেতাকর্মীকে আসন্ন ঈদুল আযহার পূর্বেই মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৪ জুন নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

“সরকার অন্যায়ভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে প্রায় ১৩ বছর যাবত কারাগারে আটক রেখেছে। রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি জনাব ইমাজ উদ্দিন ম-ল গত ২২ এপ্রিল রাজশাহীর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত চত্বর থেকে তিনিসহ আরো ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৫৩ জন নেতাকর্মীকে সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে।

জামায়াতের আটক নেতৃবৃন্দের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন অত্যন্ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ কারাগারে আটক থাকাবস্থায় তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য ঈদুল আযহা হবে খুবই বেদনাময়। সরকারের উচিত জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ সকল রাজবন্দীকে ঈদুল আযহার পূর্বেই মুক্তি দিয়ে তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপনের সুযোগ করে দেয়া।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান ২০১৬ সালের আগষ্ট মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে নিজ নিজ বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবার-পরিজন জানতে পারেনি তারা কোথায় কী অবস্থায় আছেন। প্রায় ৮ বছর যাবৎ তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন। ফিরে আসার প্রতীক্ষায় তাদের পরিবার-পরিজন এখনো অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। ঈদুল আযহার পূর্বেই তাদের ফিরিয়ে দিয়ে পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদুল আযহা পালন করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মী যেন মুক্ত পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে পারেন, সে জন্য পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই তাদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”