২০ মে ২০২৪, সোমবার

বরিশাল মহানগরী জামায়াতের বাছাইকৃত কর্মীদের দিনব্যাপী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

ত্যাগ কোরবানির নজরানা পেশ করার মাধ্যমে আমাদেরকে পরকালের জন্য তৈরি হতে হবে- এহসানুল মাহবুব জুবায়ের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ কোরবানির নজরানা পেশ করার মাধ্যমে পরকালের জন্য তৈরি হতে হবে। আমরা সৌভাগ্যবান, আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মাত হতে পেরেছি। সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কুরআন আমাদের গাইডলাইন। সেকুলাররা বলে তাদের কোন অতীত নেই এবং ভবিষ্যতে নেই কিন্তু আমারা যারা ইসলামী আন্দোলন করি আমাদের অতীত ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল এবং আমাদের ভবিষ্যৎ জান্নাত। অন্ধকার গলিপথে সাঁতার কাটা জাতি আমরা নই।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরী আয়োজিত বাছাইকৃত কর্মীদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান।

এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, “ঈমান মানুষকে তাজা রাখে, আত্মবিশ্বাসী করে। চরম জুলুম নির্যাতনের মধ্যেও সে স্বাভাবিক থাকতে পারে। হতাশা তাকে ঘিরে ধরে না। হযরত আবু বকর (রা.) তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তিনি যখন তার সম্পদ অকাতরে আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তার বাবা বলতেছিলেন তিনি ভুল করছেন কিন্তু তিনি বলছেন তিনি যা করছেন সেটা বুঝে শুনেই করছেন। সকল নবীদের কাজ ছিল দ্বীন কায়েম করা এবং নবীগণ তাদের সারা জীবন দ্বীন আন্দোলনের পিছনে দাওয়াতি ময়দানে সময় দিয়ে গেছেন। নানা জুলুম নির্যাতন করেও তাদের আন্দোলনে ময়দান থেকে সরানো যায়নি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে আন্দোলন পেয়েছি। আমাদেরও শেষ জীবন পর্যন্ত আন্দোলনে কাজ করে যেতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাইয়াতের জন্য দরকার সিদ্ধান্তগ্রহণ। একটি সিদ্ধান্তই পারে আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের মাধ্যমে চারটা সফলতা পেতে পারি। আমরা যারা ইসলামী আন্দোলন করি আমাদেরকে অধিক পরিমাণে অধ্যায়ন করতে হবে। পরিবারের সকলকে নিয়ে সকাল বেলা কিছু সময় কুরআন হাদিস অধ্যয়ন অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আমাদের অধ্যায়ন যদি ঠিকঠাক থাকে এবং আয় হালাল হয় তাহলে আমাদের পরিবারগুলো হবে জান্নাতি পরিবার।

উক্ত প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাসান আতিক, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মাহফুজ আমিন প্রমুখ।