আরও

১৫ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

ডা. আবদুল কাইয়ুমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলার সদস্য (রুকন), জেলার সাবেক মজলিসে শূরা সদস্য ও ফুলবাড়ি উপজেলার সাবেক আমীর বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাা ডা. আবদুল কাইয়ুম বার্ধক্যজনিত কারণে ১৩ জুন সকাল পৌণে ৯টায় ৯১ বছর বয়সে রাজধানী ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৭ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১৫ জুন বাদ জোহর ফুলবাড়ি জিএম পাইলট হাইস্কুল ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মরহুম ১৯৬৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর ১৯৬৬ সালে রাজশাহী মেডিকেলে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। অতপর তাঁর পিতার পরামর্শে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি ফুলবাড়িতে চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। তাঁর বড় ছলে লণ্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান। ছোট ছেলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক।

শোকবাণী

ডা. আবদুল কাইয়ুমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৫ জুন এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, ডা. আবদুল কাইয়ুমের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।