২০ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১১:৩৮

দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা এবং বাস্তব পরিস্থিতি

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটালিপাড়ায় অনুষ্ঠিত দলীয় সভায় ভাষণদানকালে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছেন। তিনি বলেছেন,আগামী মার্চ মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে বিরোধী দল এবং তার সঙ্গে বিদেশে প্ররোচনাও থাকবে। বর্তমানে বিপর্যস্ত প্রায় বিরোধী দল কিভাবে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে তা আমাদের জানা নেই। নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত আছে। যদি প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ সংক্রান্ত তথ্য থাকে যে বিরোধি দল দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা বিস্তারিতভাবে জাতিকে জানানো প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। অন্যথায় সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের দায় কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারবেন না। দেশে আগামী মার্চ মাসে বিরোধী দল দুর্ভিক্ষ ঘটাবে এটা নিশ্চিত করে কিভাবে জানলেন প্রধানমন্ত্রী?

দেশের সরকারি খাদ্য গুদামে বর্তমানে খাদ্য মজুত আছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার টন। বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এমন কথা আমরা মাঝে মাঝেই শুনতে পাই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মোতাবেক ২০২২-২০২৩ অর্থবছর দেশে মোট চাল উৎপাদিত হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টন। আমাদের দেশের মানুষের জন্য দৈনিক মাথাপিছু চালের ব্যবহার হয় ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম। এই হিসাব মোতাবের দেশের ১৭ কোটি মানুুষের জন্য বছরে চালের প্রয়োজন হয় ২ কোটি ৪ লাখ টন। বাংলাদেশতো আনুষ্ঠানিকভাবে চাল রপ্তানি করে না। তাহলে উদ্বৃত্ত চাল কোথায় যায়? বাংলাদেশ চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছির সাড়ে ৭ কোটি। সেই সময় চাল উৎপাদিত হতো ১ কোটি ১০ লাখ টন। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। আর চালের উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টন। তাহলে তো চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু চালের ঘাটতি হচ্ছে কেনো? এখনো কেনো প্রতি বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে? এত চাল উৎপাদিত হওয়া সত্ত্বেও কেনো আমাদের দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করতে হচ্ছে? শুধু যে প্রধানমন্ত্রীই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছেন তা নয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও আকার ইঙ্গিতে দেধে খাদ্যাভাবের কথা বলছে। ওয়ার্ল্ড ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার সংস্থা (এফএও) তাদেরে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছে। 

সংস্থাটি বলেছে, এ বছর বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য পণ্য উৎপাদিত হলেও সোয়া কোটি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এফএও  বলেছে, বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭ লাখ ৯৩ হাজার টন বেশি খাদ্য উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ টন। গত মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে পরিচালিত জরিপে সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। উল্লেখ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিরাপদ খাদ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা অর্থ প্রকাশ করে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বলতে এমন একটি অবস্থাকে বুঝায় যখন কোনো দেশের সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা না যায়। আর নিরাপদ খাদ্র বলতে সেই অবস্থাকে বুঝায় যখন প্রাপ্ত খাদ্য মানব দেশের জন্য নিরাপদ নয়। মানুষ কোনো বেশি করে খাদ্য নিরাপত্তাহনিতায় ভুগছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণেই মূলত মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য পণ্য ক্রয় করতে পারছে না। গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এটা বিগত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। গত এক বছরের মধ্যে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় মুদ্রা টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ এক বছর আগে এক মার্কিন ডলার যে মূল্যে ক্রয় করা যেতো এবার তা ক্রয় করতে ৩০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে বিদেশ থেকে খাদ্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে দেশে এত বিপুল পরিমাণ খাদ্য উৎপাদিত হবার পরও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা কেনো করা হচ্ছে? দুর্ভিক্ষ কোনো হবে তা নিয়ে সরকার দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য থাকলেই কি দুর্ভিক্ষ ফেরানো যায়? আসলে দুর্ভিক্ষের প্রকৃত কারণ কি? দেশ যদি খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় তাহলে দুর্ভিক্ষ হবে কেনো? দুর্ভিক্ষ নানা কারণেই হতে পারে। বিপুল পরিমাণ খাদ্যের উপস্থিতি দুর্ভিক্ষ না হবার নিশ্চয়তা দেয় না। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুুদ্ধের পর বিশ্বের অনেক দেশেই দুর্ভিক্ষাবস্থা দেখা দেয়। যুদ্ধের কারণে অনেক দেশেই দুভিক্ষাবস্থা দেখা দেয়। কোনো কোনো দেশে চরম খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়। অথচ বিশ্বব্যাপী সেই খাদ্য উৎপাদন পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। ইউক্রেন এবং রাশিয়া মিলিতভাবে বিশ্বের মোট দানাদার খাদ্যের ৩০ শতাংশ যোগান দিয়ে থাকে। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন তার দেশে উৎপাদিত খাদ্য পণ্য বাইরে রপ্তানি করতে পারেনি। ৩০ শতাংশ খাদ্য তারা মাঠ থেকে উত্তোলন করতে পারেনি। অনেক দিন ধরে খাদ্য পণ্য বোঝাই জাহাজ বন্দরে বসে ছিল। যেসব দেশ ইউক্রেনের খাদ্যের উপর নির্ভরশীল তারা বিপাকে পড়ে যায়। ইউক্রেন যুদ্ধজনিত কারণে যে খাদ্যাভাব বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছিল তা প্রোডাকশন ঘাটতি জনিত কারণে হয়নি। এটা হয়েছিল সাপ্লাই সাইড ভেঙ্গে পড়ার কারণে। কাজেই কোনো দেশে খাদ্য শুধু পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদিত হলেই সেই দেশ তার নাগরিকদের জন্য খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে পারবে তা নয়। উৎপাদিত খাদ্য পণ্য সহজে টার্গেট গ্রুপের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা না গেলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। 

বিগত ৮০ বছরে বাংলাদেশ দু’বার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয় তৎকালীন বৃহত্তর বাংলায়। সেই সময় দুর্ভিক্ষের কারণে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। এরপর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয় ১৯৭৪ সালে। সেই দুর্ভিক্ষেও লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দু’টি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পেছনে খাদ্যাভাব যতটা না দায়ী ছিল তার চেয়ে বেশি দায়ী ছিল মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বা পারচেজিং পাওয়ার কমে যাওয়ার বিষয়টি। একজন মানুষ ভালো থাকবে কি থাকবে না তা অনেকটাই নির্ভর করে তার পারচেজিং পাওয়ারের উপর। প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০০ টাকা হলেও কোনো অসুবিধা নেই যদি আমার কাছে ডিম কেনার জন্য ৫০০ টাকা থাকে। আবার ডিমের হালি যদি ৫০ টাকা হয় তাহলেও কোনো লাভ নেই যদি আমার নিকট ডিম কেনার জন্য ৫০ টাকা না থাকে। তৎকালীন সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তিনি সেখানে দেখতে পান দুর্ভিক্ষের সময় বাংলায় খাদ্য পণ্যের তেমন একটা ঘাটতি ছিল না। মাত্র কয়েক সপ্তাহের খাদ্য ঘটিতি ছিল। এই সামান্য পরিমাণ খাদ্য ঘাটতির কারণে এত ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হতে পারে না। ১৯৪৩ সালে যখন বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয় তখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুেেদ্ধ অংশ নেবার জন্য ইংরেজ  সৈন্যরা কোলকাতায় আসে। এই সময় সৈন্যদের জন্য বাড়তি খাদ্য পণ্য ক্রয় করতে হয়। এসময় চারিদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে দেশে খাদ্য পণ্যের অভাব সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে কোনোভাবেই বাজারে খাদ্য পণ্য পাওয়া যাবে না। তাই যারা সামর্থ্যবান তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য ক্রয় করতে থাকেন। যার হয়তো ২ মন চালের দরকার তিনি ১০ মন ক্রয় করতে থাকেন। এভাবে অতি অল্প দিনের মধ্যেই বাজারে খাদ্য পণৌর তীব্র অভাব দেখা দিলো। সেই সময় ব্যবসায়ীরা তাদের নিকট থাকা খাদ্য পণ্য গুদামজাত করে রাখে বেশি মূল্য পাবার আশায়। খাদ্য পরিবহন এবং যোগান ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙ্গে পড়ে। এক পর্যায়ে জাপানি সৈন্যরা নাফ নদীর অপর পাড়ে বার্মা সীমান্তে অবস্থান গ্রহণ করে। সেই সময় ইংরেজ বাহিনী নাফ নদীর পশ্চিম তীরে ন্যাটং পাহাড়ে ঘাঁটি স্থাপন করে। জাপানি সৈন্যরা যাতে নাফ নদী পেরিয়ে আসতে না পারে সেই জন্য নাফ নদী তীরবর্তী এলাকার সব নৌকা ডুবিয়ে দেয়। এসব সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যে ইংরেজরা স্থানীয় অধিবাসীদের জীবিকা কেড়ে নিয়ে খাদ্য এবং পানির সমস্যায় মেরে ফেলতে চায়। এতে স্থানীয় অধিবাসীগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বাংলার সর্বত্রই নানা গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বেশি পরিমাণে খাদ্য ক্রয় করতে থাকে। মানুষ তাদের জীবিকা হারিয়ে ফেলে। ফলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা সাংঘতিকভাবে কমে যায়। বাজারে যে পরিমাণ খাদ্য পণ্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাও মানুষ ক্রয় করতে পারছিল না।

নিকট অতীতে ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয় সেটাও খাদ্য পণ্যের স্বল্পতার কারণে হয়নি। এক শ্রেণির অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে খাদ্য পণ্য উধাও করে দেয়। স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের একটি বড় অংশই খাদ্য পণ্য কালো বাজারে বিক্রি করতে থাকে। এমনকি দেশের বাইরে পাচার করে দিতে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তাদানকারী পিএল-৪৮০ নামক কর্মসূচি মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে দুর্ভিক্ষ তীব্রতর হয়। সেই সময় খাদ্য পরিবহন ব্যবস্থা যদি স্বাভাবিক রাখা যেতো তাহলে হয়তো দুর্ভিক্ষে এত মানুষের প্রাণহানি হতো না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। দেশে খাদ্যাভাব তেমন একটা না থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যাভাব প্রচণ্ড আকার ধারণ করে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সাংঘাতিকভাবে কমে গেছে। একটি সংবাদে জানা যায়, গত এক বছরে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীর সংখ্যা হাজারেরও বেশি কমেছে। এদের বেশির ভাগই তাদের আমানত উত্তোলন করে নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটিয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতিতে বিদ্যমান বা সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কোনো সাফল্য প্রদর্শন করতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্তত ৭৭টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের পলিসি রেট বাড়িয়েছে। পলিসি রেট বাড়ানোর ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হারও আনুপাতিক হারে বেড়েছে। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ আগের তুলনায় ব্যয়বহুল হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও অন্তত ৫বার ব্যাংক রেট বাড়িয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগ পর্যন্তও ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে সীমিত রাখে। ফলে সিডিউল ব্যাংকগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়লেও তারা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণদানের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়াতে পারেনি। ফলে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করা আগের তুলনায় স্বল্প ব্যয় হচ্ছে। এতে এক শ্রেণির ঋণ গ্রহীতা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে সেই ঋণের অর্থ বিভিন্নভাবে স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করিয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি যেভাবে হ্রাস পাবার কথা তা হয়নি। 

মানুষের হাতে অর্থ সরবরাহ বাড়ানো না গেলে কোনোভাবে তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো যাবে না। আর ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো না গেলে বাজারে পণ্যের উপস্থিতি থাকলেও মানুষ অর্থাভাবে তা ক্রয় করতে পারবে না। ফলে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। তাই এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

https://www.dailysangram.info/post/543692