২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ২:০২

অযোগ্য হয়ে পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক ভেঙে পড়ছে সেতু

সড়ক মহাসড়ক তৈরি হয় মানুষের উন্নত যাতায়াত, দ্রুত পরিবহনসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য। আর এসব সড়কের ভারবহন ক্ষমতাও নির্ধারণ করা হয়ে থাকে কি পরিমাণ ওজনের পরিবহন যাতায়াত করবে তার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আমাদের দেশে সড়ক মহাসড়ক নির্মাণ হয় ঠিকই কিন্তু সে সড়ক মহাসড়ক কি পরিমাণ ওজনের পণ্যের ভার বহন করতে পারবে তা কেউ ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করে বলে মনে হয়না। আর এ কারণে সড়ক মহাসড়কগুলো অল্পদিনেই চলাচলের অযোগ্য ও সড়কের উপর নির্মিত সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর সৃষ্টি করে মানুষের দুর্ভোগ। সম্প্রতি এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সীমাখালীতে। অধিক ওজনের যানবাহনের কারণে সেতু ভেঙে ৪ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

চরম দূর্ভোগের কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনকি স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব ভাঙা সেতুর করুণদশা পরিদর্শন করে দ্রæত ৪ লেনের সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন। সেতু ভেঙে পড়ায় যশোর খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী পরিবহন বর্তমানে ঝিনাইদহ হয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের নষ্ট হচ্ছে সময় এবং গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। অপর দিকে পণ্যবাহী যানবাহনে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে আসা যাওয়া করায় জ্বালানী ব্যয় হচ্ছে বেশী। সাধারণ মানুষের জন্য অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানবাহন অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলাচল করার ফলে পণ্যমূল্যের উপর পড়ছে প্রভাব। মাগুরা জেলার ওপর দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে রয়েছে ৮৫০ কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক এবং সড়ক জনপথ বিভাগের তত্ত্ববধানে রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার সড়ক। এসব সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে ১৫ মেট্রিক টন ওজন সীমার স্থলে ৩০-৩৫ টন পাথর-বালী ১০ চাকার ২২ মেট্রিকটন ওজন সীমার ট্রাকে ৫০-৫৫ মেট্রিক টন ওজনের পাথর বালী, বিদ্যুতের খাম্বা, রড সিমেন্টসহ ভারী মালামাল পরিবহন হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ৩০ চাকার এক ধরনের যান চলছে যাতে একশত মেট্রিক টন ওজনেরও বেশী ওজনের যন্ত্রপাতি পরিবহন করা হচ্ছে। মাগুরার ওপর দিয়ে মংলা বন্দর, বেনাপোল পোর্ট এমন কি ভারত থেকে আমদানীকৃত বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি বোঝাই করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে অবাধে।

http://www.dailyinqilab.com/article/66173