১০ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ১২:২৯

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে কমলো

গতবারের চেয়ে কমিয়ে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কে কোরবানির পশুর চামড়ার এ মূল্য ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারা দেশে ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২০-২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩-১৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৫-১৭ টাকা। তবে মহিষের চামড়ার দামের বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার এবং চলমান বাণিজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বছর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চামড়া পাচাররোধ ও উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে দেশের প্রচারমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীগণ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন বলে সরকার আশা করে।
গত বছরের চেয়ে এবার চামড়ার দাম কেন কমিয়ে ধরা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাঁচ টাকা ডিফারেন্ট তেমন বেশি কিছু নয়। কারণ ব্যবসায়ীরা অপারগতা প্রকাশ করেছে। তারা যদি চামড়া কিনতে না পারে তাহলে তো হবে না।
তিনি বলেন, ট্যানারির জন্য সাভারকে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারিনি। কাজেই চামড়া শিল্পে একটু খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এ ছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও বাঁচাতে হবে। আবার মাঝখানে যারা ব্যবসা করে তাদেরও দুটো পয়সা রোজগারের সুযোগ রাখতে হবে।
প্রতি বছরই চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সময় ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর দাবি জানান, প্রতিবারই সমস্যা থাকে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যাই আলোচনা করি না কেন এ খাতের ব্যবসায়ীদের সাথে পরামর্শ করেই মূল্যটা নির্ধারণ করেছি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত ঈদুল ফিতরসহ সারা বছর দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ছিল। ঈদুল আজহায়ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয় অসাবধানতাবশত চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রতি বছর প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার আর্থিক তি হয়। তাই চামড়া ছাড়ানোর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।
সভায় টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, প্রধান আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, এনবিআর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট চামড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/340285