৯ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৪

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিমান্ডে নেয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে

বিবিসি

রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন ছাত্রকে রিমান্ডে নেয়ার পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক শিার্থী বলছেন, এ ঘটনা তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার বসুন্ধরা এবং বাড্ডা এলাকায় সংঘর্ষ ও সহিংসতার সাথে জড়িত সন্দেহে এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এসব শিার্থীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ৯ দিন ধরে চলা আন্দোলনের সময় সংঘটিত নানা ঘটনায় ঢাকার ১৬টি থানায় ৩৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক শিার্থী বলেছেন, অভিযুক্ত করায় তাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থী।

নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনে সরব উপস্থিতি ছিল স্কুল-কলেজের শিার্থীদের, তবে তাদের কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকার দমননীতির দিকে এগোচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান। তিনি এমন অভিযোগও করেছেন যে, যারা হেলমেট পরে, লাঠিসোটা নিয়ে শিার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, মামলাগুলোতে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া এবং সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে স্কুল শিার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দেয়া এবং সামাজিক নেটওয়ার্কে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে এসব মামলায়।

বেসরকারি নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ছাত্রলীগের একদল সদস্য লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে গত সোমবার দফায় দফায় তাদের ওপর হামলা করেছিল, অথচ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিার্থীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে এখন গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে তারা জানাচ্ছেন।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার রাস্তায় আন্দোলনের পর স্কুল শিার্থীরা এরই মধ্যে কাসে ফিরে গেছে। এই আন্দোলনের শেষের দিকে গত রোববার ও সোমবার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা বিােভ করেন।
সোমবার ইস্ট ওয়েস্ট ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের ওপর হামলার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং বাড্ডায় পুলিশের সাথে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় দু’টির কাস এখন বন্ধ।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/339925