৮ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ১০:২৫

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি : চড়া মূল্যে খাদ্য কিনছে মানুষ

জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে গড় মূল্যস্ফীতির হার কমলেও খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার শহর ও গ্রামে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষকে তাই বেশি দামে খাদ্যসামগ্রী কিনতে হচ্ছে। জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে। কিন্তু খাদ্যমূলস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যে এ কথা জানা গেছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএসের এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
তিনি জানান, সার্বিক গড় মূল্যস্ফীতির হার জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি জুনে ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এ দিকে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হার বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছে। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা জুনে মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্থানীয় বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক আছে। এ ছাড়া আমাদের মুদ্রা বিনিময় হার কিছুটা বাড়লেও যেসব পণ্য আমরা আমদানি করি, সেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ফলে, মূল্যস্ফীতি কমেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোরবানি ঈদে মসলা পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না।
খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কেন বাড়ল জানতে চাইলে বিবিএসের আবুল কালাম আজাদ বলেন, চাল, মাছ-গোশত, ডিম, পেঁয়াজ, মসলা ও ফলজাতীয় খাদ্যসামগ্রীর মূল্য জুলাই মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণেই খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/339721