৬ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১১:১৫

কূটনীতিকরা উদ্বিগ্ন

ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে আচমকা হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কূটনৈতিক সম্প্রদায়। এ নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে টেলিফোনে এবং দেখা করেও অনেকে তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন। গতকাল দিনভর হামলার ঘটনাটিই কূটনৈতিক অঙ্গনে মুখ্য আলোচ্য ছিল। এটি কি পরিকল্পিত হামলা? এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে? হামলায় রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরই কি টার্গেট ছিল? এমন নানা প্রশ্ন আসে। ঘটনা পরবর্তী সরকারের উদ্যোগ, পুলিশি অ্যাকশন বিষয়েও কথা হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- গতকালই পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত এবং বৃটেন ও কানাডার হাইকমিশনার। সেগুনবাগিচায় জ্যেষ্ঠ ওই ৩ কূটনীতিকের বৈঠকটি এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো, বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক এবং কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফন্টেইন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহীদুল হকের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটসহ সম-সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলার ঘটনা তাদের আলোচনায় স্থান পায়। এ ঘটনায় তারাও যে উদ্বিগ্ন সেটি প্রকাশ করেন। কর্মকর্তারা পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ ৩ কূটনীতিকের বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত না বললেও তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এ হামলার ঘটনায় কূটনৈতিক সম্প্রদায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ওই ঘটনার পূর্ণ এবং বিস্তারিত তদন্ত চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হামলাকারী সশস্ত্র ক্যাডারদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন- পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

 

http://mzamin.com/article.php?mzamin=129432