৬ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১১:০৬

সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর

ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ফটোসাংবাদিক এম আহাদ। ধানমন্ডি, ঢাকা, ৫ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলোক্যামেরা দেখলেই তেড়ে আসছিলেন তাঁরা। তাঁদের মাথায় হেলমেট আর হাতে লাঠিসোঁটা, রড। কারও হাতে রামদা-কিরিচের মতো ধারালো দেশীয় অস্ত্র। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে চলছিল এ যুবকের দল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামা শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে পেটাচ্ছিলেন তাঁরা। রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করার সময় অন্তত পাঁচজন সাংবাদিককে মারধর করেছেন ওই যুবকেরা।

স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত। পান্থপথ, ঢাকা, ৫ আগস্ট।

আর রোববার বেলা ২টার দিকে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে (সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়) লাঠিসোঁটা হাতে যুবকদের হাতে মারধরের শিকার হন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত। দীপ্ত জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছিলেন ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে। সেখানে তিনিসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় ঢাকা কলেজের দিক থেকে লাঠিসোঁটা হাতে আসা ছাত্রলীগের একটি মিছিল শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। ধাওয়ায় সেখানে কর্মরত সংবাদকর্মীরা দৌড় দিলে হামলাকারীদের একজন তাঁর পায়ে রড দিয়ে আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। এরপর ২০-২৫ জন মিলে লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন তাঁকে। মারের কারণে দীপ্তর মাথার হেলমেট ভেঙে যায়। মাথা বাঁচাতে গিয়ে হাতে আঘাত পান দীপ্ত। তাঁর পুরো শরীরে কালশিটে রক্তাক্ত দাগ।

সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকাতেই আরও মারধরের শিকার হন এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফটো সাংবাদিক এ এম আহাদ, দৈনিক ‘বণিক বার্তা’র পলাশ শিকদার ও ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক রাহাত করিম। আহত সাংবাদিকদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছ।

হামলাকারীরা রাহাতের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে তাঁকে রক্তাক্ত করা হয়।

লাঠিসোঁটা হাতের যুবকদের মধ্যে মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547791