৬ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১১:০২

রাস্তায় রাস্তায় পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্য

যাত্রীকে নামিয়ে মারধর * সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ * আটকে দেয়া হচ্ছে পণ্যবাহী যানবাহনও * সাজা কামানোর দাবিতে খুলনায় কর্মবিরতি

৩ দিনের অঘোষিত ‘ধর্মঘট’র পর আজ সকাল থেকে সারা দেশে বাস চলাচল করবে। বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো রোববার রাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির শীর্ষ দুই নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় রাস্তায় রাস্তায় নৈরাজ্য চালিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ সড়কেও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেননি তারা। চালকের কাছ থেকে অটোরিকশার চাবি ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা। একই ঘটনা ঘটেছে সিলেটেও। শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের নামিয়ে মারধর করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েক জেলায় শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। যান আটকে দিয়ে হেনস্তা করেছেন যাত্রীদের। প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে সাজা কমানোর দাবিতে খুলনায় ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছে বিভাগীয় ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিকদের চার সংগঠন। রাজধানী ঢাকায় মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেন কয়েকশ’ শ্রমিক। তাদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও দেখা গেছে। নিরাপদ সড়ক দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘট রোববার তৃতীয় দিনও অব্যাহত ছিল। ঢাকাসহ বিভিন্ন নগর, ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা এবং আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। ফলে দেশে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে আটকে আছেন বহু যাত্রী। এর ওপর রোববার শ্রমিকদের এমন নৈরাজ্যে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। বিকল্প হিসেবে লঞ্চ ও ট্রেন বেছে নিয়েছেন অনেকেই, কিন্তু সেখানেও পা রাখার ঠাঁই ছিল না। আর মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকায় ঢাকায় উবার, পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং সেবাও বন্ধ ছিল রোববার। ফলে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ ছিল বর্ণনাতীত। রোববার ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও তা স্থগিত করেন মালিকরা।

রোববার রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ঢাকাসহ সারা দেশে স্বাভাবিক বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সারা দেশে বাস চলাচল শুরুর সিদ্ধান্তের কথা ফোনে ফোনে জানিয়ে দেয়। পরিবহন নেতারা বলছেন, বাস চলাচল করবে। যাত্রীরা সকাল থেকে সব ধরনের কাউন্টারও খোলা পাবেন। রাত ১১টার দিকে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ যুগান্তরকে বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় সবার সঙ্গে আলাপ করে গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। তখন পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিত। কিন্তু এবার পুলিশ অনেকটা নীরব ছিল। এমনকি কোথাও কোথাও পুলিশের সামনে গাড়ি আক্রান্ত হলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেছে। রোববার পুলিশ মাঠে নেমেছে। আশা করি নিরাপত্তার সমস্যা হবে না। তাই গাড়ি নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২৯ জুলাই ঢাকায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলনে নামে। পরিবহন শ্রমিকদের নেতা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগেরও দাবি ওঠে। কিছু গাড়িও ভাংচুর করা হয়। এরপর শুক্রবার থেকে বেসরকারি সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
বিভিন্ন জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের রাস্তায় অবস্থান নেয়া ও যান চলাচলে বাধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর কাছে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এ পর্যন্ত ৩২০টি গাড়ি ভাংচুর ও ১০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে শ্রমিকরা আতঙ্কে আছেন। এ কারণে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন না। তবে শ্রমিকদের রাস্তায় নামার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহিংসতায় কেন জড়াবে? এতে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ পাবে। আমরা শ্রমিকদের শান্ত থাকার জন্য বলেছি।

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, গেল দু’দিনের মতো রোববারও রাজধানীতে বেসরকারি কোনো বাস চলাচল করেনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ব্যক্তিরা। তবে সরকারি সংস্থা বিআরটিসির কিছু বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনালে সব বাস কোম্পানির কাউন্টার বন্ধ ছিল। মহাখালী বাস টার্মিনালে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশে আসেন মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার বোন দু’দিন ধরে চিকিৎসাধীন। গাড়ি বন্ধ থাকায় যেতে পারিনি। আজও মহাখালী এলাম কোনো গাড়ি ছাড়ে কিনা, তা দেখার জন্য। কিন্তু গাড়ি পেলাম না। ট্রেনের টিকিটও পাচ্ছি না।
আরও দেখা গেছে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই ভ্যানে চড়ে আবার কয়েকজন মিলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে গন্তব্যে গেছেন। কেউ কেউ মাইলের পর মাইল হেঁটেই গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন। রামপুরায় বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার শুধু শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছাড়তে বলছে, কিন্তু পরিবহন নেতাদের বাস ছাড়তে বলছে না কেন?

রোববার ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর সেকশনে কয়েকশ’ পরিবহন শ্রমিক অবস্থান নেন। সনি সিনেমা হলের সামনে তাদের সঙ্গে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগেরও কয়েকশ’ নেতাকর্মী। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে সকাল ১০টার দিকে সনি সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন তারা। যেখানে কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ছিল, সেখানে অবস্থান নেয়ার কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে তা প্রতিরোধে এ কর্মসূচি।
শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরলেও চট্টগ্রামে শ্রমিকদের নৈরাজ্য : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়- চট্টগ্রাম নগরী, জেলার বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা মহড়া দেন। অরাজকতা চালান। পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচলও বন্ধ করে দেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগামী লোকজন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগামী রোগীরাও শিকার হয়েছেন পরিবহন শ্রমিকদের অরাজকতার।

নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, ২ নম্বর গেট, কালুরঘাট, আন্দরকিল্লা, নিউমার্কেট, কাজীরদেউড়ি, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাজারও মানুষ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। দূরপাল্লার সব বাস কাউন্টার ছিল বন্ধ। যাত্রীদের ফিরে যেতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাটে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা নাসির উদ্দিন হাসান যুগান্তরকে বলেন, রাস্তায় কোনো গাড়িই নেই। শুধু রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। তারা ভাড়া চাইছে তিনগুণ।
ব্যাংক কর্মকর্তা জাবেদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নিউমার্কেট যেতে বহদ্দারহাট মোড়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে গণপরিবহন না পেয়ে অটোরিকশায় উঠি। কিন্তু চকবাজার গোলজার মোড়ে পৌঁছলে মারমুখী ৩ শ্রমিক অটোরিকশা থামিয়ে চাবি কেড়ে নেন চালকের কাছ থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাথায় কাপড় বেঁধে বা লাঠিসোটা নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা এভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে মহড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট গাড়ি এমনকি কোথাও কোথাও মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছ থেকেও চাবি কেড়ে নেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছা বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট আহ্বান করিনি। শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করায় গাড়ি চালাচ্ছেন না। যতদিন পরিবহন শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীন বোধ করবেন, ততদিন গাড়ি বন্ধ থাকবে। চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ যেখানে আমাদের নিরাপত্তা দেবে, সেখানে উল্টো আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছি। পরিবহন শ্রমিকরা কোথাও নৈরাজ্য করেননি।

খুলনায় কর্মবিরতি : খুলনা ব্যুরো জানায়- পরিবহন ধর্মঘট তো রয়েছেই, প্রস্তাবিত সড়ক আইন শিথিল করার দাবিতে রোববার সকাল থেকে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোতে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রাখে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিকদের চারটি সংগঠন। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা শ্রমিক কল্যাণ সমিতি। খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিম বলেন, সড়কে চালকরা ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটান না। দুর্ঘটনার জন্য ভাঙাচোরা সড়ক দায়ী। পথচারীদের অসতর্কতার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেটে যাত্রীদের মারধর : সিলেট ব্যুরো জানায়- সকালে পরিবহন শ্রমিকরা নগরীতে বিক্ষোভ করেন এবং বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে বাধা দেন। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চড়াও হন শ্রমিকরা। এ সময় কয়েকজন যাত্রীকে তারা মারধরও করেন। এ ব্যাপারে সিলেট পরিবহন মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, ‘শ্রমিক ও গাড়ির নিরাপত্তার কারণে পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কোথাও হালকা যান চলাচলে বাধা না দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কেউ তাতে বাধা দিলে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’ অঘোষিত ধর্মঘটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ পড়ছে ট্রেনে। এছাড়া সিলেটে চতুর্থ দিনের মতো রোববার সকালেও রাস্তায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
গাড়ি চলাচল বন্ধ গাইবান্ধায় : গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, রোববার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ছিল না। তবে জেলার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শুধু ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে।
মানিকগঞ্জে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় : মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জ থেকে সারা দেশে বাস চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক গাড়ি মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার নবীনগর পর্যন্ত চলাচল করছে। এসব গাড়িতে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়। এছাড়া যাত্রীরা বিশেষ প্রয়োজনে কয়েকজন মিলে মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঢাকা যেতে দেখা গেছে।
মানিকগঞ্জ বাস মালিক সমিতির নেতা ও মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, যানবাহন ভাংচুরের আশঙ্কায় মালিকরাই গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছেন না। লোকাল বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলে খোঁজ নিয়ে তা বন্ধ করা হবে। এছাড়া সাতক্ষীরা, বরিশাল, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, শেরপুর, জয়পুরহাটসহ দেশের অন্য জেলাগুলোয় রোববার গাড়ি চলাচল করেনি।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/77564