৬ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১০:৫৪

হামলাকারীদের টার্গেট সাংবাদিক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলে আসা কোমলমতি শিশুদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গত শনিবার হঠাৎ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আহত হয় বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর রাজপথে নেমে আসেন। সায়েন্সল্যাব এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালায়। এ ছাড়া পৃথকভাবে ধানমন্ডি ও মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে অনন্ত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন নয়া দিগন্তের ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ শরীফ, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এ এম আহাদ, দৈনিক বণিক বার্তার পলাশ শিকদার, ফ্রিল্যান্স ফটো সাংবাদিক রাহাত করিম, নাগরিক টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল্লা সাফী ও ক্যামেরাপারসন রিপন হাসান প্রমুখ। ধানমন্ডি-১ নম্বর সড়কে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত।
আহত সাংবাদিকদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলাকারীরা রাহাতের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে তাকে রক্তাক্ত করে। লাঠিসোটা হাতে যুবকদের মধ্যে মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

মিরপুর-১০ গোলচত্বরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দায়িত্ব পালনকালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলার বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম সামদানীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। গোলাম সামদানী জানান, আন্দোলনরত ছাত্রদের লাঠিসোটা হাতে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধাওয়া দেয়। সেই ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারে এবং তার আইডি কার্ড ছিঁড়ে ফেলে। ছবি তোলার কারণে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে গালাগাল করতে থাকে

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/339162