৫ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ১০:১৬

সড়কে লাখো শিক্ষার্থী ট্রাফিক শৃঙ্খলায় দিনভর চেষ্টা

টানা সাত দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ, মানববন্ধন করেছে। তাদের মুখে মুখে ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। বিক্ষোভ করার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায়ও দিনভর কাজ করেছে। দিনের কর্মসূচি শেষে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে একই দাবিতে আজও অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে উত্তরা, বিমানবন্দর সড়ক, মহাখালী, মিরপুর, বাড্ডা, ফার্মগেট, মতিঝিল, বেইলি রোড, শাহবাগ, তাঁতীবাজার, সায়েন্স ল্যাবসহ আরো কয়েকটি এলাকায়।

সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে কর্মসূচি শুরু করে। তাদের কেউ কেউ সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল। অন্যরা অবস্থান নিয়ে নিরাপদ সড়কের বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

পুরান ঢাকায় হঠাৎ উত্তেজনা: সকাল ১০ দিকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তাঁতীবাজার ও কোর্ট কাচারি মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সরকারি কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ইসলামিয়া স্কুলসহ পুরান ঢাকার প্রায় সব স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে তিনটি রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনের জন্য ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে যায় তারা। এভাবে তাঁতীবাজার টু কেরানীগঞ্জ, গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী রাস্তার দুই লেনের প্রতিটির মাঝে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে গাড়ি ও রিকশা আলাদা লেনে চলতে বাধ্য করে। অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থী গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে।

কারো কাগজ না থাকলে বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তাকে সার্জেন্টের কাছে নিয়ে মামলা দিয়ে ছেড়ে দেয় তারা। অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়িগুলোকে যানবাহন ও রিকশার মাঝ দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন তৈরি করে পার করে দেয়ার ব্যবস্থা করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকে এসব খুদে ট্রাফিকের কাজ। তবে দুপুরে ধানমন্ডির ঝিগাতলা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তাদের মধ্যে। এ সময় কয়েকশ’ শিক্ষার্থী মিলে কোর্ট কাচারি মোড় থেকে তাঁতীবাজার মোড় পর্যন্ত দফায় দফায় মিছিল নিয়ে টহল দিতে থাকে। মিছিলে তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন জবাব চাই- জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। রাস্তায় মিছিল করলেও অর্ধেক রাস্তা যান চলাচলের জন্য ছেড়ে দেয় তারা। ছাত্রদের এই মিছিলের সময় উৎসুক জনতা রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেন। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিলের কারণে পুলিশও রাস্তার পাশে সতর্ক অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে সকাল থেকেই মামলা দেয়া ছাড়া ট্রাফিক পুলিশকে আর কোনো দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। মামলা দিতেই তাদের হিমশিম খেতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক: রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং, বিমানবন্দর সড়ক, জসীম উদ্দীন মোড় এলাকায় গতকাল সকাল ১১টা থেকে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা মুহুমুহু স্লোগান দিতে থাকে। দুপুরে সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ কয়েক নেতা। গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের নিজের পরিচয় দিয়ে রাজপথ ছেড়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমিও উত্তরা রাজউকের ছাত্র ছিলাম। তোমরা আমার ভাই-বোন। তোমাদের সব দাবি প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। তোমরা ঘরে ফিরে যাও। শিক্ষার্থীরা এ সময় মুখের কথায় বিশ্বাস করি না জানালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাতারাতি তো ওভারব্রিজ নির্মাণ সম্ভব না। আস্তে আস্তে সবই পূরণ করা হবে। যদি না হয় আমি কথা দিলাম তোমাদের সঙ্গে রাজপথে থাকবো।

ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানতে চান, শুক্রবারে মিরপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলো কেন? এভাবেই একের পর শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করতে থাকলে এক পর্যায়ে স্থান ত্যাগ করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। একইভাবে সকাল থেকে জসিম উদ্দীন মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। তাদের কাছে ‘লাশ নিবেন ভাই লাশ, এক পিস ২০ লাখ’ স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। তখন রাস্তায় যানবাহন আটকে গেলেও শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে অ্যাম্বুলেন্স এবং হজযাত্রীদের গাড়ি ছেড়ে দেন।

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান : মতিঝিলে মোটরসাইকেল, বাস, মিনিবাসের লাইসেন্স পরীক্ষা করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকে নটর ডেম, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে এই কার্যক্রম করে।

একই সঙ্গে সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শত শত শিক্ষার্থী। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ও ‘রাজপথে হত্যা আর না আর না‘ স্লোগান দেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ শাপলা চত্বরের সামনে মানববন্ধন করেছে। এ সময় রাস্তায় চলাচল করা মোটরসাইকেল, বাস, মিনিবাসের লাইসেন্স পরীক্ষা করে শিক্ষার্থীরা। যেসব গাড়ির লাইসেন্স নেই তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। দায়িত্বরত পুলিশও মামলা দেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছে, আমরা পেপার পত্রিকা ও টেলিভিশনে দেখতে পাচ্ছি সরকার নাকি সব দাবি মেনে নিয়েছে অথচ তার কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। তারা বলছে, এখনো রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছে চালকরা। শুক্রবারও রাস্তায় অনেকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। চলাচলের রাস্তা নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানায় তারা।

একদিন গোটা দেশটাকেই আমরা পরিচ্ছন্ন করবো: পান্থপথের আইবিএ হোস্টেলের সামনে বেলা ২টায় একদল শিক্ষার্থীকে হ্যান্ডগ্লাভস পরে রাস্তা পরিষ্কার করে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। তারা বলেছে, রাস্তার সকল ময়লা আবর্জনা দূর করে একদিন গোটা দেশটাকেই আমরা পরিচ্ছন্ন করবো। রাস্তার গাড়িগুলোর মতো সবাইকে এক লাইনে নিয়ে আসতে চাই। দুপুর পৌনে চারটায় একই চিত্র দেখা যায় ডেইলি স্টার পত্রিকার সামনের রাস্তায়। এ সময় মূল সড়ক দিয়ে কোনো প্রকার রিকশা চলতে দেয়া হয়নি। রিকশাগুলোকে কোন প্রকার নির্দেশনা ছাড়াই গলির ভেতর দিয়ে সিরিয়াল মেইনটেন করে চলতে দেখা যায়। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ফার্মগেটের দু’পাশের রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র যাচাই কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করে যেন বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য তাদের পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সকাল থেকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কের দুপাশেই হিউম্যান চেইন করে রাস্তার মাঝে ও রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান। এ সময় অনেককে কাপড় ও পতাকা দিয়ে মুখ বেঁধে রাস্তায় দাঁড়াতে দেখা য়ায়। ছবি তুলতে গেলে এক শিক্ষার্থী থামিয়ে দিয়ে বলেছে, প্লিজ ভিডিও ডিলিট করেন। গতকাল রাতে ভিডিও দেখে অনেক শিক্ষার্থীকেই ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। এ সময় তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেছে, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমরাতো গাড়ি ভাঙচুর কিংবা মানুষের ক্ষতি করছি না। সাধারণ জনগণ আমাদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে। দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ চিত্র পালটে যায়। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাসায় চলে যেতে বলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল শিক্ষার্থী ওই এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, খবর পেয়েছি আমাদের ওপর হামলা হতে পারে। ঠিক এরই আধা ঘণ্টা পরে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী সড়কে অবস্থান নেন।

মিরপুরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ: সকাল থেকেই মিরপুর এলাকায় বিক্ষোভ করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে তারা মিছিল করে গিয়ে অবস্থান নেয়। আশেপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে। এ সময় তারা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে। তারা গাড়ি চালকদের সিগন্যাল মানতে সচেতন করে। নিজ নিজ লেন ধরে গাড়ি চলতেও বাধ্য করে। দুপুর ১২টার পর শিক্ষার্থীদের চাপে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। মিরপুর ১০ নম্বরে হারুন মোল্লা পুলিশ বক্সের চারপাশে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়।

স্লোগানে স্লোগানে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি: দিনভর নতুন বাজার, শাহজাদপুর, উত্তর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, মেরুল বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্লোগানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। রামপুরা ব্রিজে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন কর্মসূচিতে দুপুরে যোগ দেন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজসহ কমপক্ষে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো ছাত্রছাত্রী ভিড় করে সেখানে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির নাফিস নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নের নাম নেই। আর আমাদের দাবির মধ্যে প্রধান হলো নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ। কিন্তু তিনিই পদত্যাগ করছেন না? আমাদের ভাইবোনরা বাসচাপায় মারা যায় আর তিনি হাসেন। এর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কি হতে পারে? আমাদের প্রতিবাদ চলবে। এই নৌমন্ত্রীকে আমরা আর দেখতে চাই না। গত দুইদিন আমরা রাস্তায় গাড়ি চলাচলে কোনো বাধা দিইনি। কিন্তু তারপরও পাবলিক বাস ছাড়েনি মালিক শ্রমিকরা। এসব নৌমন্ত্রীরই নির্দেশেই চলছে। মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে শাহিন নামের এক পথচারী জানান, এই মন্ত্রীর কোনো লজ্জা নেই। কেন এখনো বসে আছেন? তার জন্যই আজ এতকিছু। এদিকে দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে করতে লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল এক দল যুবক। শিক্ষার্থীরা একযোগে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।

এদিকে শাহবাগে দিনভর অবস্থানের পর বিকালে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে যান। রোববারও ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়ে যান তারা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই ওই এলাকায় অবস্থান করেন। দুপুরে একজন বিদেশিকে বহনকারী গাড়িকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই গাড়ির চালক লাইসেন্স না দেখিয়ে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ এসে গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শাহবাগের সমাবেশ থেকে নৌ মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা বন্ধের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। তারা বলেন, হামলা বন্ধ না হলে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করবো।

 

http://mzamin.com/article.php?mzamin=129271&cat=2/