ইমারজেন্সি লেনে সারিবদ্ধভাবে অ্যাম্বুলেন্স। ছবিটি ইতিমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে
৩ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪২

রাজপথে ইমার্জেন্সি লেন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্ত স্থাপন

হঠাৎ জরুরি কোনো সমস্যা হলে যানজট কাটিয়ে কোনোদিক দিয়ে যাওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। যার কারণে অনেক সময় রাজপথে অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী নিয়েও রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয় ভুক্তভোগীদের।
পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্য ও উন্নত দেশগুলোর রাজপথে আলাদা ‘ইমার্জেন্সি লেন’ থাকে। প্রচণ্ড যানজটের মধ্যেও এই লেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের গাড়ি যেতে পারে।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও ঢাকার রাস্তায় এই দৃশ্য কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। অথচ সেটাই করে দেখালো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। মেধাবী এ ছেলে-মেয়েরা ঢাকার রাজপথে ইমার্জেন্সি লেন তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বিমানবন্দর সড়কের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অবরোধের মধ্যে লম্বা যানজটে পড়েছে প্রাইভেট গাড়ি। এই ছেলে-মেয়েরা রোড ডিভাইডারের পাশে একটি আলাদা লেন তৈরি করে দিয়েছে। সেই লেন দিয়ে একে একে করে বেরিয়ে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। যানজট নামের কোনো দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে না জরুরিযাত্রীদের।
অবিশ্বাস্য লাগছে তাই না? এই কিশোররা তো প্রমাণ করে দিল যে, সামান্য সদিচ্ছা থাকলেই এই দেশকে আমরা সুন্দরতম করে গড়ে তুলতে পারি। সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করতে পারেনি, সেটাই করেছে কিশোর-কিশোরীরা। ওরা রাজপথ থেকে ঘরে ফেরার পর এই 'ইমার্জেন্সি লেন' কি ঠিক রাখতে পারবে সরকার?
মেডিটেক্স গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার বায়েজীদ আহম্মেদ মন্তব্য করেন, অনেক কষ্ট করছে আমাদের বাচ্চারা, শিশু শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে শিক্ষা দিয়েছে এবং প্রশাসন তথা সরকারি দায়িত্বরতদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। সুফিয়ান নামের একজন লিখেছেন, ইচ্ছাই শক্তির মূল ছাত্ররা দেখিয়ে দিল।
শহীদুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, পৃথিবীর সব দেশে ইমার্জেন্সি লেন আছে, বাংলাদেশে এই লেনে রিক্সা চলে, দেখার কেউ নাই।
মোহাম্মদ আলী নামের একজনের মন্তব্য, এই রকম সড়কের ছবি বাংলাদেশে দেখতে পারব কোন দিন কল্পনাও করি নাই। তোমাদের প্রতি দোয়া রইল।

 

https://www.jugantor.com/national/76710/