২৮ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১১:০৩

ডিম মরিচ মুরগির দামে কোনো সুখবর নেই

ডিমের হালি ২৪ টাকা থেকে বেড়ে হঠাৎ ৩৫ টাকা হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। একই সময় বেড়েছে মুরগি এবং কাঁচা মরিচের দাম। ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা হয়ে যায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম। আর ৬০ টাকার কাঁচা মরিচ হয়ে যায় ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ পার হলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, এসবের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা তো নেইই উল্টো টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গতকাল রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, চিচিঙ্গা প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ এবং কাকরোল এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। শসা ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, প্রতি পিস জালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনিয়া পাতার কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাচকলার হালি ২৫ থেকে ২৮ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়ার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

খুচরা বাজারে ফার্মের লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া ফার্মের লেয়ার মুরগি গতকাল খুচরা বাজারে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। পাকিস্তানি জাতের কক মুরগি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হয় ২৪০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি আকারের এক হালি কক মুরগির দাম হাঁকা হয় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। আর দেশী মুরগির দাম তো আকাশ ছোঁয়া। কেজি পড়ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা। খাসির গোশতের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
সরবরাহ কম থাকায় কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সবধরনের মাছের। খুচরা বাজারে গতকাল মাঝারি আকারের একেকটি ইলিশ বিক্রি হয় ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা দরে। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

কাঁচা মরিচের দাম সহসা কমার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে খিলগাঁও তালতলা কাঁচাবাজারের বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন কাঁচা মরিচের সরবরাহ তুলনামূলক কম। যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মরিচের সরবরাহ আরো কমে যেতে পারে। কারণ বৃষ্টির পানিতে জমিতে কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে অনেক চাষির ক্ষেতের মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামনে দাম তো কমবেই না বরং আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে ডিমের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে বিক্রেতারা জানান, বড় খামারগুলো দাম কমিয়ে দেয়ায় লোকসান দিতে দিতে অনেক ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। পুঁজিহারা হয়ে গেছে অনেক খামারি। তাদের খামারে এখন আর ডিম হয় না। সেই সুযোগে বড়রা এবার দাম বাড়াচ্ছে। কাজেই ডিমের দাম আপাতত কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। একই অবস্থা ফার্মের মুরগির ক্ষেত্রেও। বাজার এখন বড়দের দখলে। কাজেই ভোক্তাদের জন্য আপাতত কোনো সুসংবাদ নেই।


http://www.dailynayadiganta.com/first-page/336757