২৪ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ৪:৩৪

বড়পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারি : তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সারা দেশে তোলপাড়

২শ’ কোটি টাকার প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা গায়েব * খাতাপত্রে মজুদ ১ লাখ ৪৬ হাজার টন, বাস্তবে আছে ২ হাজার টন * বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে দুদকের অভিযান, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ * খনিতে কয়লা সংকট এক মাসের মধ্যে সমাধান -প্রতিমন্ত্রী * আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন

দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। খনির কয়লা কোথায় গেল তা ‘পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ঘটনায় পেট্রোবাংলার পরিচালক কামরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক অনুসন্ধানে খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও’র আলামত পেয়েছে দুদক। দুদকও তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় চলছে।

সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা সাংবাদিকদের জানান। কয়লা সংকট এক মাসের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিমন্ত্রী। কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় মামলা করার জন্যও ইতিমধ্যে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার বিকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্থানীয়ভাবে কয়লা খনিতে অভিযান চালিয়েছে। এতে তারা কয়লা গায়েব হওয়ার আলামত পেয়েছে। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বড়পুকরিয়া কয়লা খনির কোল ইয়ার্ডে কাগজে-কলমে কয়লার মজুদ দেখানো হয় ১ লাখ ৪৬ হাজার টন। কিন্তু বাস্তবে রয়েছে মাত্র ২ হাজার টন। গায়েব বা আত্মসাৎকৃত কয়লার মূল্য ২০০ কোটি টাকা।

সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও জনপ্রশাসন পদক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে যান। সেখানে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট সচিব, পিডিবি ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) পূর্ণ তদন্ত করতে বলেছেন।’

এদিকে স্পর্শকাতর এই দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোমবার তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে। এছাড়া দুদকের দিনাজপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম সোমবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকারী দলটি কয়লা খনি সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত জব্দ করে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুর্নীতির আলামত পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযানকারী দলের প্রধান উপপরিচালক বেনজির আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপি এবং অডিট রিপোর্টের ফটোকপি আমরা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছি। এছাড়া কর্তৃপক্ষকে বলেছি, বিভাগীয় প্রতিবেদনসহ আরও কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে। অন্যদিকে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গঠিত অনুসন্ধান টিম আজ দুর্নীতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেবে বলে জানা গেছে। খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে চক্রটি অন্তত ২২৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদক থেকে সোমবার সকালে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। দুদকের অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও তাজুল ইসলাম। এ অনুসন্ধান তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল ইসলামকে। আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে রিপোর্ট দাখিলের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা সংকট ১ মাসের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘ ২ মাস আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বলা হচ্ছিল যে, আমাদের কয়লার সংকট চলছে। কিন্তু ওখানকার যে প্রধান প্রকৌশলী তিনি বলছিলেন, না কোনো সংকট নেই। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে তদন্ত দল পাঠানোর পর তথ্যটা উদ্ঘাটন হয়। কয়লার এ অবস্থা জানাজানির পর বৃহস্পতিবার রাতে এক অফিস আদেশে খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ওই রাতেই খনির শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দফতরে সংযুক্ত করা হয়। আর মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান। ঢাকা থেকে গিয়ে এরই মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পেট্রোবাংলার তদারকিতে কোনো সমস্যা ছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলব, অবশ্যই সমস্যা ছিল। পেট্রোবাংলার অধীনের কোম্পানি। ওভারঅল তার মনিটিরং তো থাকতেই হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন শুরু হয়। ১৩ বছরে কয়লা উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টন। এক কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকে এ পর্যন্ত যত কর্মকর্তা কোল মাইনিং কোম্পানির এমডি বা দায়িত্বশীল পদে এসেছেন তারাই নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। এর পেছনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন বলে সূত্রটি জানায়।

কয়লা সংকটের কারণে রোববার (২২ জুলাই) রাত ১০টা ২০ মিনিটে বড়পুকুরিয়া কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। পিডিবি জানায়, কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালাতে হলে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হতে পারে।

আমাদের দিনাজপুর সংবাদদাতা একরাম তালুকদার জানান, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উধাওর ঘটনা তদন্তে দুদক দিনাজপুর সমন্বি^ত কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে দলটি সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় কয়লা খনিতে প্রবেশ করে। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তদন্ত শেষে উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, তারা কয়লা খনির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন। খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু কোল ইয়ার্ডে আছে মাত্র ২ হাজার টন কয়লা। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লার কোনো হদিস নেই। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তারা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় দুদক অফিসে জানিয়েছেন।

কয়লা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, ২০১৭ সালে ৩০০ টন কয়লা চুরি হয়, যা পরবর্তী সময়ে ফাঁস হয়ে যায়। এরপর খনির কর্মকর্তারা রাতারাতি সেই ৩০০ টন কয়লার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে সমন্বয় করেছে। তিনি জানান, এরকম অনেক চুরির ঘটনা রয়েছে, যা প্রকাশ পায়নি। কয়লা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে এখানে কয়লা বিক্রি করে আসছে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। কয়লা খনির স্বার্থে জড়িত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সদ্য অপসারণ হওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবউদ্দীন আহমদ জানান, ১ লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা সিস্টেম লস। তিনি দাবি করেন, ১১ বছরে ১ কোটি ১০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা সিস্টেম লস। কোল ইয়ার্ড কখনোই খালি না হওয়ায় তারা এই সিস্টেম লস আগে বুঝতে পারেননি।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০ জুন খনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে নিশ্চিত করে খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত এ কয়লা দিয়ে আগস্ট পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল রাখা যাবে।

কিন্তু জুলাইয়ের শুরু থেকেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হঠাৎ কয়লার সরবরাহ কমিয়ে দেয় খনি কর্তৃপক্ষ। খনি কর্তৃপক্ষ ৪-৫ দিন আগে পিডিবিকে জানিয়ে দেয়, কোল ইয়ার্ডে মজুদ শেষ পর্যায়ে। বেশিদিন কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় রোববার থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় খনি কর্তৃপক্ষ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।

বিকল্প পথে রংপুরের বিদ্যুৎ সংকট নিরসন : ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর বিভাগের আট জেলা বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানে বিকল্প পথ খুঁজছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, উত্তরাঞ্চলে বৃহত্তর রংপুর ও রংপুর সদর অঞ্চলে বিদ্যুতের অবস্থা ‘স্বাভাবিক’ হতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। শিফট পরিবর্তন করে অগাস্টের শেষে নতুন করে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় চালু হবে বলে জানান তিনি। সাময়িক ভোগান্তির জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। একটা মাস ধৈর্য ধরার জন্য আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি। আমরা দুঃখিত। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম কামাল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রতিদিন ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এর বেশিরভাগই আসত বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এর বাইরে রংপুর ও সৈয়দপুরে ২০ মেগাওয়াট করে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তেলভিত্তিক দুটি ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের কেন্দ্রগুলো থেকে রংপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে পরিস্থিতি ‘কিছুটা’ সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, কয়লা ছাড়াও কিভাবে সিস্টেমটা ঠিক রাখা যায়, সে চেষ্টাই করছি আমরা। তিনি জানান, সিরাজগঞ্জে ৪৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র চালু আছে এবং ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরেকটি নতুন কেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এ কেন্দ্রটি ২৭ জুলাই থেকে চালু হবে। রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ১০০ মেগাওয়াটের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানান খালেদ মাহমুদ।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/73280