২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ১১:৩৭

অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করছে ইইউ

ন্যূনতম মানদণ্ড চায় জার্মানি

বছর শেষে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচন আশা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের সাথে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) শেষে ইইউর সফররত প্রতিনিধিদলের প্রধান ও এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড গতকাল তার সংস্থার এ প্রত্যাশার কথা জানান সাংবাদিকদের। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।

উইগান্ড বলেন, বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চাপ সামলাতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ইইউ। আমরা চাই এ সঙ্কট মোকাবেলায় আরো বেশি দেশ এগিয়ে আসুক। মানবিক সঙ্কট মোকাবেলায় ইইউর প্রতিশ্রুতি সন্তোষজনকভাবে পূরণ হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য আরো কাজ করতে হবে। প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে আমরা চাই রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরু হোক।
উইগান্ড বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনজনিত একটি সমস্যায় পড়েছিল ইইউ। ইইউ নিয়মমাফিক অভিবাসনকে উৎসাহিত করে, তবে অবৈধ অভিবাসনকে প্রশ্রয় দেয় না। ইইউর সদস্য দেশগুলো থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার গ্রহণযোগ্য উপায় নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে ইউরোপে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে ইইউর সাথে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে সরকার।
বৈঠককে ফলপ্রসূ হিসেবে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি ইইউর সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নসহ সব ইস্যুতেই আলোচনা হয়েছে। আমরা জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছি।

বৈঠকে বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত রিনসে তিরিঙ্কসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইইউর সাথে পরবর্তী এফওসি অনুষ্ঠিত হবে ব্রাসেলসে।
নির্বাচনে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক মানদণ্ড চায় জার্মানি : জার্মান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নেইলস আনেন তিন দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন। গতকাল তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠক করেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রীর সফরের প্রাক্কালে জার্মান পররাষ্ট্র দফতর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের ওপর গুরুত্বারোপ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা হবে। প্রতিমন্ত্রী আনেন বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানার চেষ্টা করবেন। চলতি বছর শেষে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক মানদণ্ড বজায় রাখার ওপর জার্মানি গুরুত্বারোপ করেছে।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/334414