২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ১১:৩৫

কোটা পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ বাড়ল ৯০ কার্যদিবস

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেয়ার জন্য গঠিত কমিটির মেয়াদ ৯০ কার্যদিবস বাড়িয়েছে সরকার। এ কমিটির মেয়াদ ১৫ কার্যদিবসের অতিরিক্ত আরো সময় বাড়িয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কোটা সংস্কারে নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধার প্রোপটে গত ২ জুন সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিতে সাত শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়। কমিটি গঠনের দিন থেকে ১৫ কর্মদিবস অর্থাৎ আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মাদ শহিদুল হক, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব আকতারী মমতাজ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

কোটা পর্যালোচনা কমিটি গত ৮ জুলাই তাদের প্রথম সভা করে কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত দেশী-বিদেশী সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘোষণার’ ২ মাস ২২ দিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করে। তবে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সংসদে বলেছেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাইকোর্টের রায় আছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিতেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কোটা। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান এ কোটা সংস্কারের দাবিতে শিার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/334467