২৮ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:২১

কলেজে ভর্তি নিয়ে বিপাকে ২৯ হাজার শিক্ষার্থী

আরেক দফা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা ভর্তির আবেদন নেয়া হলেও ২৮ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে কোনো কলেজ পাননি। এরমধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯১৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ করে দিতেই চতুর্থ দফা আবেদনের সুযোগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। অপরদিকে শিক্ষার্থীর অজান্তে ভূঁইফোড় ও ব্যাণিজ্যিক কলেজগুলো ভর্তির জন্য তাদের কলেজ পছন্দ দেয়ায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবেন কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আজ থেকে ভর্তি শুরু হলেও অনেক কলেজ আগেই টাকা নিয়ে ভর্তি করিয়েছে। এ নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গতকাল মঙ্গলবার সরজমিন ঢাকা বোর্ডে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে সারা দেশের ১০৩৬টি কলেজ শিক্ষার্থী শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে ১৭৩টি কলেজ কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। আর ৮৬৬টি কলেজে ভর্তি হতে পছন্দ দিলেও শিক্ষার্থী পায়নি। তবে আরও দুই দফা ভর্তি নিশ্চয়নের সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী শূন্য থাকলে কলেজগুলো বন্ধ করে দেয়ার আভাস দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। অপরদিকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেই ভূঁইফোড় ও বাণিজ্যিক কলেজের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার তৃতীয় দফায় ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে নতুন করে এক লাখ পাঁচ হাজার ৪১২ জন ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ২৮ হাজার ৬৬৭ জন ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত রয়েছেন। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯১৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রথম দফায় ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন ভর্তি হতে আবেদন করে। এরমধ্যে ১০ হাজার ভুয়া আবেদন চিহ্নিত করেছে ভর্তি কমিটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. হারুন-আর-রশিদ বলেন,‘শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু কলেজ পছন্দ করছেন। এসব কলেজে প্রথম দফায় আসন পূরণ হয়ে গেছে। শূন্য আসন দেখে শিক্ষার্থীদের আবেদন করার পরামর্শ দিলেও তারা বারবার একই ভুল করছেন। পছন্দের কলেজে আসন শূন্য না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। পাসের চেয়ে ১০ লাখ আসন বেশি রয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির বাইরে থাকবে না। ১ থেকে ৭ই জুলাইর মধ্যে আরেক দফা সুযোগ দেয়া হবে কলেজ নির্বাচনের। তখন সবাই ভর্তির সুযোগ পাবেন। তিনি আরও বলেন, মেধাবীদের ভালো মানের কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। বোর্ডের চেয়ারম্যান দেশে ফিরলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ঢাকা বোর্ডের ওয়েব সাইটের নির্দেশনা দেখার অনুরোধ করেন তিনি। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি নিশ্চয়ন শেষে গতকাল আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। তবে এর আগেই রাজধানীর ব্যাণিজ্যিক কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির জন্য অর্থ নিয়ে নিয়েছেন। এসব কলেজে জোর করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করতেই এ বছর বোর্ড ভর্তি নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া চালু করে। নিশ্চয়ন শেষে এক যোগে সারা দেশে ভর্তি করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাজধানীসহ সারা দেশের অসংখ্য কলেজ আগাম ভর্তি করছে।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=123200