২৭ জুন ২০১৮, বুধবার, ১০:৫১

মাওলানা সাঈদীর ডিভিশন চেয়ে রিটের শুনানি মুলতবি

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য জেলখানায় ডিভিশন চেয়ে রিট আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপাতি মো: ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গতকাল আংশিক শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাইলে আদালত আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

মাওলানা সাঈদীর পক্ষে তার বড় ছেলে শামীম সাঈদী গত রোববার রিট আবেদন দায়ের করেন।
মাওলানা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন, আমার পিতা ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সাবেক একজন সংসদ সদস্য হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ডিভিশন-১ প্রাপ্ত বন্দী হিসেবে ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আমার পিতার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলে তার ডিভিশন বাতিল হয় এবং কারাগারে ফাঁসির আসামির কনডেম সেলে অন্তরীণ থাকেন। এরপর ২০১৩ সালে আমরা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করি। ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আমার পিতার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের ফলে আমার পিতা জেল কোডের বিধান অনুযায়ী ডিভিশন প্রাপ্তির অধিকারী হন। জেল কোডের ১৯২ পৃষ্ঠার ১৫ নং অধ্যায়ের ক্লাসিফিকেশন শিরোনামের অধীন ৬১৭ নং বিধি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমার পিতা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী।
এসব বিষয় উল্লেখ করে আমরা জেল কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছি আমার পিতাকে ডিভিশন প্রদানের জন্য। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর প্রায় চার বছর হতে চলেছে কিন্তু আমার পিতাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।

মাওলানা সাঈদী বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ডিভিশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়ের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তার বয়স বর্তমানে ৭৯ বছর। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টের করোনারীতে ৫টি রিং পরানো রয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় তার হার্টে ৩টি রিং পরানো হয়। তিনি আর্থাইটিস রোগে ভুগছেন। তার হাঁটু ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা। বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি উঠতে বসতে ও চলাফেরা করতে দারুণ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। ইদানীং তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/328200