২৭ জুন ২০১৮, বুধবার, ১০:৫০

ভোটের দিনেও গণগ্রেফতার

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে ভোটের দিনেও গাজীপুরে গণগ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। ভোর থেকেই এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ডিবি পুলিশ ধানের শীষের এজেন্ট ও কেন্দ্র কমিটির ১৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার অনেককে গাজীপুরে আটক করা হলেও গ্রেফতার দেখানো হয় গাজীপুরের বাইরে থেকে।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ করা হয়, সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয় পুলিশের এই গণগ্রেফতার অভিযান। স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের বাড়ির সামনে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রসহ অনেক কেন্দ্রে কোনো এজেন্টকে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। এমনকি পথ থেকে এজেন্ট ধরে নেয়া হয় বলে অভিযোগ মিলেছে। দিনব্যাপী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়ে বিএনপির এজেন্ট ও কেন্দ্র কমিটির কর্মকর্তারা আকুতি জানালেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

গাসিক নির্বাচনে ধানের শীষের মিডিয়া সেল জানায়, সকাল সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আঞ্জুমান হেদায়েতুল উম্মত মাদরাসা কেন্দ্রের এজেন্ট হাবীবুর রহমান, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড টিডিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের এজেন্ট ওমর ফারুক, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম জি কে আদর্শ উচ্চবিদ্যলয় কেন্দ্র এজেন্ট সেলিম রেজা, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড বনমালা এলাকা থেকে ছাত্রদল নেতা রাজন ও বিএনপি কর্মী জাকির, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সাহারা খাতুন কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্রের এজেন্ট মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র থেকে সাবেক পৌর কমিশনার ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শরিফ মিয়া, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড শরিফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মনির হোসেন মোতাহার, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড টঙ্গী থানা ছাত্রদল সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ধূমকেতু স্কুল কেন্দ্রের এজেন্ট ডা: আবদুল হামিদ, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আরিচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র কমিটির সদস্য কাজী শাহীন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়ির কেন্দ্র নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢোকার সময় এজেন্ট আলমগীর হোসেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ড আমবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে কোনাবাড়ি শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাদল, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড পূবাইল রহমানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে থেকে মো: খোরদ মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাবেক কাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ মাস্টার, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে টঙ্গী কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্র থেকে সোহাগকে, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুলকে, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়াব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের এজেন্ট শরিফ এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় গাছা অঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতে তৃতীয় দফায় এজেন্টদের ঢোকাতে গিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন গাজীপুর সদর থানা জিসাস সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান। তাদের মধ্যে অনেককে কেন্দ্রের ভেতর থেকেই ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ।


 

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/328218