২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ১১:৪৮

খুচরা বাজারে বেড়েছে মোটা চালের দাম

বোরো মৌসুমের নতুন চাল বাজারে আসায় দাম কমার কথা। আড়ত ও খুচরা বাজারে চালের মজুদ পর্যাপ্ত। তবু খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল কিনতে কেজিতে ৩ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এদিকে ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বাজারে পণ্য সরবরাহ কম থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আলুসহ বিভিন্ন সবজির দামও বাড়তি। তবে ব্রয়লার মুরগি ও আদার দাম কমেছে।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও শুল্ক্ক পুনর্বহালের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে ঈদের আগেই পাইকারি বাজারে আমদানি করা গুটি, স্বর্ণাসহ সব ধরনের মোটা চালের দাম বেড়ে যায়। ফলে এখন খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটির আমেজ এখন কাটেনি। খুচরা বাজারের বিক্রেতারা ঢাকায় না ফেরায় এখনও অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। তেমনি বাজারে ক্রেতা কম আসছেন। এতে কেনাবেচা কম হলেও চালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে। এখন এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৩৯ থেকে ৪০ টাকা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মিরপুর শাহআলী মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বোরো মৌসুমের নতুন চাল আসায় এখন বেশিরভাগ চালের দাম কম। কিন্তু আমদানি করা চালের দাম বেশি। বাজারে বিক্রি হওয়া আমদানি করা চালের মধ্যে মোটা চাল বেশি। তিনি বলেন, মৌসুমের এ সময়ে চালের দাম বাড়ার কথা নয়। এর পরেও মোকামে মোটা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

খুচরা বাজারে পাইজাম, লতা ও বিআর আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজিতে। মৌসুমের নতুন চাল আসায় ঈদের আগে থেকেই কেজিতে ২ টাকা কমে এই দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা কমায় প্রতি কেজি আদা পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

ছুটির কারণে রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে বেশিরভাগ সবজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে প্রায় ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁরশ ও করলা কিনতে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পোটল ৪০ টাকা হয়েছে। শাকের আঁটি প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। পুঁইশাকের প্রতি আটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ডাঁটাশাক ও কলমিশাক প্রতি আটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদে বাড়তি চাহিদার কারণে মাংস ও মুরগির দাম বাড়লেও এখন কিছুটা কমেছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই হারে কমে লেয়ার মুরগির কেজি এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংস কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি।

http://samakal.com/todays-print-edition/tp-khobor/article/18063704