ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মমুখী মানুষ
২০ জুন ২০১৮, বুধবার, ১১:১৯

ঢাকায় ফিরেই বাড়তি ভাড়া ও বৃষ্টির ভোগান্তি

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মমুখী মানুষ। রাজধানীর সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকলেও বিভিন্ন স্টেশনের সামনে গাড়ির জটলা দেখা গেল মঙ্গলবার।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিভিন্ন বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। ঢাকামুখী গণপরিবহনে যাত্রী চাপ বেশি না থাকায় অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন এসব মানুষ।

তবে ঢাকায় পা দেয়ার পরই তাদের বৃষ্টি ও অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে। বৃষ্টিতে কাকভেজা তার ওপর অটোরিকশা, রিকশা ও বাসের অতিরিক্ত ভাড়া মিটিয়ে তাদের বাসায় ফিরতে হয়েছে।
অটোরিকশা ও বাসের সংকট ভোগান্তির এই মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা জানান, মহাসড়কে যানজটের ধকল না থাকলেও ঢাকায় এসে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়ার ধকল ঠিকই সইতে হয়েছে। রংপুর থেকে রাজধানীর গাবতলীতে আসা হানিফ পরিবহনের যাত্রী শরীফুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় ফেরার টিকিট পেতেই যা কষ্ট হয়েছে। তবে পথে তেমন ভোগান্তি হয়নি।

কিন্তু ঢাকায় এসেই ভোগান্তিতে পড়েছি। কাউন্টার থেকে খানিকটা দূরে বাস থেকে নামতে হলো বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে। মিরপুরের বাসায় যাব। ওই গন্তব্যে যাওয়ার মতো অটোরিকশা কিংবা রিকশা কোনোটাই মিলছে না।
সন্তান আর লাগেজ নিয়ে বিপাকে পড়েছি। রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা সোলাইমান মিয়া বলেন, বরিশাল থেকে লঞ্চে বেশ আরামেই ঢাকা এসেছি। প্রত্যেক ঈদে লঞ্চে খুব ভিড় থাকলেও এবার তা দেখা যায়নি।

তবে বিপত্তি বেঁধেছে সদরঘাটে আসার পর। একদিকে লঞ্চ থেকে নেমেই বৃষ্টিতে ভিজেছি, অপর দিকে বাসের ৪০ টাকার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১০০ টাকা। তিনি বলেন, সদরঘাট পর্যন্ত বাস আসা নিষিদ্ধ হলেও পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব বাস ভোররাতে সদরঘাটের সামনে চলে আসে। সিটিং ও গেটলক সার্ভিসের নামে সুপ্রভাত বাসে ১০০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী তুলেছে।
বৃষ্টিতে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ার ওই বাসে উঠতে হয়েছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় আসা শাহজাহান মিয়া বলেন, মা, ছোট বোন ও ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। বাড়িতে যাওয়ার সময় যে ভিড় ছিল, আসার সময় সেই ভিড় নেই। লঞ্চে অনেক জায়গা খালি ছিল, যে যার মতো জায়গা নিয়ে শুয়ে-বসে ঢাকায় ফিরেছি।

মঙ্গলবার রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে দূর-দূরান্ত থেকে ফিরছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। আগের দিনের চেয়ে মঙ্গলবার ঈদফেরত যাত্রীর সংখ্যা বেশি বলে জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার যাত্রী চাপ বাড়বে বলে ধারণা তাদের।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/60950