কুশিয়ারা নদীর ভাঙন দিয়ে হাওর জনপদে ঢুকছে পানি
২০ জুন ২০১৮, বুধবার, ১১:১৭

মৌলভীবাজার ও সিলেটে কুশিয়ারার বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ

মৌলভীবাজার ও সিলেটে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে নতুন করে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগের শেষ নেই দুর্গত মানুষের। বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজারে মনু নদী তীরবর্তী এলাকার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও কুশিয়ারা তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নদীর পানি কাওয়াদীঘি হাওরে ঢুকে পড়ায় হাওর জনপদে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
মঙ্গলবার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের হলদিরগুল চাঁদনীঘাট সড়কের (বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ) কালাইরগুল রংপুরটিলা এলাকায় ভোরে ভাঙন দেখা দেয়। ৩৫ ফুট ভাঙন দিয়ে কাওয়াদীঘি হাওর অঞ্চলের উত্তরভাগ ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সোমবার থেকে ভাঙন স্পটের নিচ দিয়ে লোকালয়ে পানি চুয়ে আসছিল। বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় রাজাপুরের ইউনুছ মিয়া ও হলদিরগুলের ফেরদৌস মিয়ার সাথে। তারা বলেন, যখন ভাঙন স্থানের নিচ দিয়ে পানি চুয়ে আসছিল তখন আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের জানাই। কিন্তু তারা প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেননি।
উত্তরভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক বলেন, এলাকাবাসী আমাকে জানালে আমি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। তারা আসতে গড়িমসি করেছে। এই ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করায় উত্তরভাগ ইউনিয়নের রাজাপুর, সুপরাকান্দি, সোনামপুর, সুরিখাল, কান্দিগাঁও, কেশরপাড়া, ওমরপুর, জোড়াপুর, সাপাতপুর, রুস্তমপুরসহ ৩০ গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া জানান, এ ভাঙনে হাওর জনপদের বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তার ইউনিয়নের কাজিরহাট, সোনাটিকি, মেদিনীমহল, চালবন, মৌলভীরচক, নিদনপুর, জামুরা, আলিচরগাঁও, মিয়ারকান্দি, মনতলা, পথেরগাঁও, গজনাইর কান্দিসহ ২৫টি গ্রামে বন্যা দেখা দেবে। দু’টি ইউনিয়নে ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।

ভাঙনস্থলে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে স্পটে এসেছি। সেনাবাহিনীসহ আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। আশা করি পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিকেল পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ চলছিল।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, কুলাউড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মনু নদীর ১০টি ভাঙনকবলিত স্থান দিয়ে গতকাল থেকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে না। কিন্তু বন্যায় বিধ্বস্ত বাড়িঘর মেরামত না করে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে পারছে না অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের সহযোগিতায় আসা সেনাসদস্যরাও গতকাল ফিরে গেছেন।

কুলাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৯৪টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৮ কিলোমিটার কাঁচাপাকা রাস্তা ও ৩৬০টির বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই হাজার ৯৭৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯০০ হেক্টর আউশ ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় ধান, চাল, ক্ষেতখামার ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুনাব আলী ও হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু জানান, তাদের ইউনিয়নের রাস্তাঘাট লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। এসব ঘরবাড়ি মেরামত করার পর আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষকে ফিরতে হবে।
ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, তার ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো: গোলাম রাব্বি জানান, মঙ্গলবার শরীফপুর, হাজিপুর ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘর ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা ঘর পুনর্নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এক লাখ টাকা করে পাবেন।
রাজনগর (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, রাজনগরে মনু নদীর ভাঙনে কামারচাক, মনসুরনগর ও টেংরা ইউনিয়নে বন্যার পর এবার কুশিয়ারা নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙনে উত্তরভাগ ও ফতেহপুর ইউনিয়নের আবারো বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উত্তরভাগ ইউনিয়নের কালাইগুল এলাকার ভাঙন মেরামতে সেনাবাহিনী, পাউবো ও স্থানীয় জনসাধারণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাউবোর গাফিলতির কারণে কালাইগুল এলাকার ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন অভিযোগ করেছেন। কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে নদী তীরের ১৪-১৫টি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় ওইসব গ্রামের মানুষজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। মনু নদীর পানি কমে যাওয়ায় ত্রাণকার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার কামারচাক মনসুরনগর ও টেংরা ইউনিয়নে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করেছে।

মনসুরনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিলন বখত বলেন, সরকারি ত্রাণের অপেক্ষা না করে শুরু থেকেই আমার উদ্যোগে ত্রাণকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মঙ্গলবার এক হাজারেরও বেশি পরিবারে ত্রাণ দিয়েছি। তালিকা চলছে, দ্রুত বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।
কামারচাক ইউনিয়নের খাসপ্রেমনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, ৮ নম্বর মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখতসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী ছিলেন। কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম ও মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত জানিয়েছেন, বিগত দুই দিনে প্রায় তিন হাজার বন্যাকবলিত পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গতকাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য রওনক আহমদ অপুসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রসহ মনসুরনগর এলাকায় বাঁধে আশ্রয় নেয়া বন্যাকবলিত পরিবারে খাবার বিতরণ করেন।
মঙ্গলবার মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুর রহমান বন্যাকবলিত এলাকা ও উত্তরভাগ ইউনয়িনের কুশিয়ারা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে প্রায় ১০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে রাজনগর উপজেলার মানুষের অসন্তোষ রয়েছে। জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণে বৈষম্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজনগরের সচেতন মানুষের। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, সোমবার পর্যন্ত যে বরাদ্দ ছিল তা বিতরণ করা হয়েছে। এর পর আর কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতা জানান, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে বন্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। দুই উপজেলার পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর ডাইকের ২৫-২৬টি স্থানে ভেঙে শতাধিক গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষের ঘরবাড়ি, চলাচলের রাস্তাঘাটে পানি উঠে পানিবন্দী রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ওসমানীনগরের তিন ইউনিয়নে বন্যার্তদের জন্য ১২ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বালাগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্তদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ না বলে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।

পূর্ব পৈলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, তার ইউনিয়নে ১৩টি গ্রামই প্লাবিত রয়েছে। এসব গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি, মসজিদ-মক্তব, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত থাকায় ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়নের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা ডাইকের ২০-২২টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে পূর্ব ঐয়া, পশ্চিম ঐয়া, কিত্তেজালালপুর, পশ্চিম ইছাপুর, পূর্ব ইছাপুর, ফাজিলপুর, পৈলনপুর, ভাটপাড়া, গালিমপুর, জালালপুর, সাদেকপুর, হামছাপুর, রশিদপুর।
পূর্ব গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস জানান, ইউনিয়নের ২-৩টি স্থানে কুশিয়ারা ডাইকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে এলাকার মানুষকে নিয়ে ডাইকের ভাঙনকৃত স্থানে বস্তা দিয়ে মাটি ভরাট করলে আপাতত কিছুটা রক্ষা হয়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব জানান, লামা তাজপুর ও সৈয়দপুরে কুশিয়ারা ডাইকের ভাঙনে বিভিন্ন গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করছে। লামা তাজপুরে কুশিয়ারা ডাইকের ভাঙন বস্তা দিয়ে আটকানোর প্রচেষ্টা চলছে। নদীর পানি না কমলে ভাঙন আটকানো সম্ভব নয়।
বালাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালাগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়ার্টার, বালাগঞ্জ সদরের পূর্ব বাজার, মদনপুর, নবীনগর পানির নিচে রয়েছে। উপজেলা হেডকোয়ার্টারে এক ফুট পানি রয়েছে। তা ছাড়া রাধাকোনা, কড়চারপাড়, শাহজানপুর, কালীগঞ্জ, কালিয়ারগাঁও, উত্তর হাসামপুর গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বোয়ালজুর ইউপি চেয়ারম্যান আনহার মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের মাকড়সি, মকবেলপুর, সিংড়াকোনা, সর্বানন্দপুর, একালিমাসহ ছয়টি গ্রাম সম্পূর্ণ ও মনোহরপুর, সোনাপুর, মোহাম্মদপুর, মজলিসপুর, কাদিপুর গ্রাম আংশিক পানির নিচে রয়েছে। এসব ইউনিয়ন ছাড়াও উপজেলার দেওয়ানবাজার, পশ্চিম গৌরীপুর, উছমানপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গা, উমরপুর, গোয়ালাবাজার, তাজপুর ও দয়ামীর ইউনিয়নের নিম্নœাঞ্চলের গ্রামগুলোয় পানি উঠেছে। পানিবন্দী রয়েছে দুই উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের হাজার হাজার গ্রামের বাসিন্দা।

এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হক বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের চাহিদার আলোকে ত্রাণ বরাদ্দ চলছে। তার পরিমাণ কত সঠিক করে বলা যাবে না।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে ১২ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। আরো বরাদ্দের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) সংবাদদাতা জানান, গোলাপগঞ্জে এক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার শরিফগঞ্জ, উত্তর বাদেপাশা, ভাদেশ্বর, বুধবারীবাজার, ঢাকা দক্ষিণ, আমুড়া ও ভাঘা ইউনিয়নসহ সাতটি ইউনিয়নের নিম্নœাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ দিকে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন তীর্থের কাকের মতো বসে আছেন ত্রাণসমাগ্রীর অপেক্ষায়। এসব এলাকায় সরকারি কোণ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়নি বলে বন্যার্ত মানুষ অভিযোগ করেছেন। কুশিয়ারা নদীর পানি গতকাল মঙ্গলবার কিছুটা কমলেও সুরমা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ দিকে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী শরীফগঞ্জ, বাদেপাশা, ভাদেশ্বর, বুধবারীবাজার, ঢাকা দক্ষিণ, আমুড়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, এসব এলাকায় খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েল বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাবও দেখা দিয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তাউহীদ আহমদ জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় মেডিক্যাল টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় এখনো কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/326347