১৪ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৫

নন-এমপিও শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় তিন নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর প্রেস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। তবে শিক্ষকরা বলছেন, এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। শিক্ষকরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে সরে যেতে বলে শিক্ষকদের। এতে তারা রাজি না হলে সেখান থেকে তিন নারী শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায় শাহবাগ থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের পিটুনিতে তিন শিক্ষক আহত হন বলে দাবি করেন শিক্ষকরা। তবে আটকের কিছু সময় পরই শিক্ষক দু'জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তিন নারী শিক্ষককে ছাড়া হয় দুপুর ২টার পর। শিক্ষকদের আটকের সময় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। দুপুর ২টার পর গতকাল পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহদুন্নবী ডলার। তিনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। তবে দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত এ আন্দোলন চলতে থাকবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) একই সময়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ১০ বছর ধরে বলে আসছেন, বাজেটে বরাদ্দ থাকলে এমপিওভুক্ত করা হবে। অথচ উনি নতুন করে আবার মিথ্যাচার করছেন যে বাজেটে বরাদ্দ জরুরি বিষয় নয়। এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট বক্তব্য বা গেজেট প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, বাজেটে অনেক বিষয়ে উল্লেখ করে দেওয়া নেই। এটা জরুরি বিষয় নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটা ফয়সালা করে এমপিওভুক্ত করা হবে। তবে কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে করা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। পরে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন অর্থবছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৭ জুন যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।

http://samakal.com/todays-print-edition/tp-last-page/article/18062899