নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার মুখে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ বড়টালীয়া দক্ষিণ মাদরাসার শিক্ষক ফাতেমা বেগম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়
১২ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ২:০৩

নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের দাঁড়াতেই দিল না পুলিশ

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়াতেই দিল না আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গতকাল সোমবার থেকে আবার রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষক কর্মচারীরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এমপিও করার আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও তা এই বাজেটে কার্যকর না করায় তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। গতকাল সকাল এগারটার দিকে তারা প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের এখানে সমাবেত হওয়ার সুযোগ নেই। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে দুইজন শিক্ষক আহত হয় বলেও জানান শিক্ষকরা।

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার দৈনিক সংগ্রামকে জানান, গতকাল সারাদিন তারা চেষ্টা করেছেন প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের সমবেত হতে দেয়নি পুলিশ। বিকালে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তবে তারা আশা ছেড়ে দেননি। আজ মঙ্গলবার আবার সমবেত হওয়ার চেষ্টা করবেন বলেও জানান এই শিক্ষক নেতা।
এদিকে বাজেটে কোনো ঘোষণা না থাকলেও নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এমপিও দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষকদের রোজার মধ্যে কষ্ট না করে ঘরে ফিরে যাওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে এফসিসিআইয়ের দুটি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী একথা বলেন।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি শর্ত দিয়ে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হবে বলে বাজেটের আগে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজেটে অনেক বিষয়ে উল্লেখ করে দেওয়া নেই, কোন টাকা কোন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমপিওভুক্ত করার জন্য আগেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীও এটা জানেন। সেই হিসেবে আমরা এখন থেকেই এমপিওভুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটার একটা ফয়সালা করে আমরা পরবর্তীতে দেব। দেব না, তা মোটেই না। কিন্তু আমরা কীভাবে দেব, না দেব, সেটা ডিলের ব্যাপার। বাজেটে উল্লেখ না থাকলেও এটা কোনো বাধা না, এটা সম্ভব। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বোর্ডের আওতায় একটি কমিটি গঠন করেছি, আরও উচু স্তরের একটি (কমিটি) করব। অবশ্যই সত্যতা প্রমাণ করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব, এ ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ। দুর্নীতি, অন্যায় ও অনিয়মে জিরো টলারেন্স, ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে।

http://www.dailysangram.com/post/333977