১০ জুন ২০১৮, রবিবার, ১১:১৫

বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা মাদক সমস্যার সমাধান নয় সমাধান উন্নততর জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ করা

মাদক বিরোধী অভিযান সম্পর্কে ভয়ঙ্কর কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপিতে কারা মাদক ব্যবসায়ী সেটি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকার বারবার বলছেন যে, মাদক বিরোধী অভিযানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দলমত নির্বিশেষে যারাই এই অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরকেই ধরা হবে। কে প্রভাবশালী আর কে প্রভাবশালী নয়, সেগুলোর কোনো বাছ বিচার করা হবে না। এই সব কথা যখন সরকারের অনেকেই বলছেন তখন আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারির মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি বেছে বেছে বিএনপির কথা বললেন কেন? কেন তিনি বললেন না যে আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা মাদক ব্যবসায়ী আছে তাদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে? কেন তিনি বললেন না যে, জাতীয় পার্টির মধ্যে যারা মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে? তিনি বেছে বেছে শুধু বিএনিপকেই টার্গেট করলেন কেন? তাহলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এতদিন ধরে যা বলছেন সেটাই তো সত্য হতে যাচ্ছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন যে, মাদক বিরোধী অভিযানের আড়ালে বিএনপির নেতাকর্মীকে ধরে ধরে মাদক ব্যবসায়ীর অপবাদ দিয়ে ভিক্টিমাইজ করা হবে। এখন ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য বিএনপির আশঙ্কাকেই সত্য বলে প্রমাণ করতে যাচ্ছে।

মাদক বিরোধী অভিযান মাত্র এই কয়েক দিনেই দারুণভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে। এখানে দৈনিক সংগ্রামের তরফ থেকে আমরা পরিস্কার বলতে চাই যে, আমরা মাদক বিরোধী অভিযানের বিরোধী নই। মাদক এই সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আমাদের যুব সমাজ মাদকের ছোবলে ক্ষত বিক্ষত। তারা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। তারা ধ্বংস হলে এ জাতিই ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং সমাজ থেকে মাদক নির্মূল হোক সেটা আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু সরকার যে পথে এবং পদ্ধতিতে মাদক নির্মূলের অভিযান চালাচ্ছে সেটিকে আমরা সঠিক পথ বলে মনে করি না। বন্দুকযুদ্ধ বলে যেভাবে এ পর্যন্ত ১৩৮ ব্যক্তিকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটিকে কোনো অবস্থাতেই সমর্থন করা যায় না। টকশো’তে সমস্ত আলোচকই একটি কথা বলেন যে, মাদক যতই ধ্বংসাত্মক হোক, এটি মানুষকে মেরে ফেলে না। কিন্তু মাদক বিরোধী অভিযানের নামে যা করা হচ্ছে সেটি হলো মানুষকে হত্যা করা। আর সেই হত্যা কা-ের শিকার একজন দুইজন নন, ১৩৮ জন শিকার হয়েছে। অন্য একটি হিসাবে বলে যে, এ পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ১৫০ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।

সরকার এটিকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলতে চান না। তারা বলেন এটি হলো বন্দুকযুদ্ধ। বন্দুকযুদ্ধ মানে দুই পক্ষের যুদ্ধ। মাদক ব্যবসায়ীরা কি এতই পাওয়ারফুল যে তারা পুলিশ এবং র্যা বের সন্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? সুতরাং বন্দুকযুদ্ধের এসব কাহিনী জনগণ শুরু থেকেই বিশ্বাস করেননি। এর মধ্যে ঘটে গেল টেকনাফের পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের নির্মম হত্যা কাণ্ড। এই হত্যা কাণ্ড নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাকে পুলিশ গুলী করার আগে এবং গুলী করা পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে তার অডিও টেপ প্রকাশিত হয়েছে। গত ১লা জুন ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রধান সংবাদে যে স্টোরি ছেপেছে সেটি সারা দেশে প্রচণ্ড আলোড়ন তুলেছে। খবরটির প্রধান শিরোনাম ‘Murder it was। দ্বিতীয় শিরোনামটি বড়। সংক্ষেপে বলা হয়েছে যে, একটি অপরিক্ষিত অডিও টেপ থেকে যে সংলাপ শোনা যায় সেটি শুনলে শিরদাঁড়ায় ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায়। বলা হয়েছে যে, একটি প্ল্যান মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর ডেইলি স্টারের ওয়েব সাইট কিছু সময়ের জন্য ব্লক করা হয়েছিল। সাথে সাথে বিভিন্ন মহলের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেটি অবশেষে আন ব্লক করা হয়। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে ঐ কাহিনী সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। গত ২রা জুন একটি টেলিভিশন টকশো’তে ৩ জনের মধ্যে ২ জন আলোচক বলেছেন যে, এর ফলে সরকারের যে ড্যামেজ হওয়ার সেটি ইতো মধ্যেই হয়ে গেছে। সেটি পুনরুদ্ধার করার আর কোনো পথ নেই।
॥দুই॥
সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বর্গ এবং নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ এই অভিযানের বিভিন্ন দিক নিয়ে কঠোর সমালোচনা করছেন। গত ৬ জুন বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ সম্পর্কে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আমরা তার স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু উদ্ধৃত করে দিলাম। আসিফ নজরুল লিখেছেন, “সারাদেশে মাদক নির্মূল অভিযান নিয়ে বিশিষ্ট জনেরা বিভিন্ন মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় সবার কাছেই এই অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আশঙ্কা করছেন, অভিযানের নামে ইলেকশনের আগে বিএনপির লোকদের মেরে ফেলা হবে।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, পত্রিকায় দেখলাম, ওবায়েদুল কাদের বলেছেন যে,“ বিএনপিতে কারা মাদক ব্যবসায়ী তা খোজ করে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করা লোককে যদি সরকার মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মেরে ফেলে, তাহলে বিএনপির লোকদের ক্ষেত্রে কি করবে তা সহজেই অনুমেয়।”
বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে এই অভিযানের সমালোচক যদি শুধু আসিফ নজরুল হতেন তাহলে আওয়ামী লীগ হয়তো বলতে পারতো যে, আসিফ নজরুল তো এমন কথা বলবেনই। কারণ তিনি তো সব সময় সরকারের সমালোচনা করেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, বাঘের ঘরে ঘোঘ। খোদ সরকার পন্থী বুদ্ধিজীবীরাই এই মাদক বিরোধী অভিযানের পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন।
এর মধ্যে গত ৩রা জুন ১০ বিশিষ্ট নাগরিক একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। ঐ বিবৃতিতে তারা মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ ও র্যা বের বন্দুক যুদ্ধকে স্পষ্ট ভাষায় বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ড বলেছেন। এই বিবৃতিটিও সরকারকে একটি অস্বস্তিকর অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। কারণ এই ১০ জন বিশিষ্ট নাগরিকই আওয়ামী ঘরানার। এরা হলেন প্রফেসর আনিসুজ্জামান, কবি হাসান আজিজুল হক, নাট্য শিল্পী রামেন্দু মজুমদার, নাট্য শিল্পী আতাউর রহমান, নাট্য শিল্পী মামুনুর রশীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, নাট্য শিল্পী নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুস এবং হাসান আরিফ। বিবৃতিতে তারা বলেন, “আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে প্রতিদিন বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের ফলে অনেক লোক মারা যাচ্ছেন। এসব ঘটনাকে বন্দুক যুদ্ধ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। আমাদের সংবিধানে জীবনের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তাকে এভাবে হরণ করা যায় না। কয়েক ব্যক্তিকে হত্যার লোমহর্ষক খবর পত্র পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামূল হকের বিরুদ্ধে এর আগে মাদক সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। একরামূলের পরিবার একটি সংবাদ সন্মেলন করেন এবং সাংবাদিকদেরকে অডিও ক্লিপ সরবরাহ করেন। একরামূলের মৃত্যুর আগে যে কথোপকথন সেটি সেই অডিও ক্লিপে রয়েছে। তাকে হত্যা করার যে সব কথা বার্তা ঐ অডিও ক্লিপে রয়েছে সেটি একটি গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনাও করা যায় না। এই মাদক বিরোধী অভিযান প্রশ্ন বিদ্ধ হওয়ার মতো এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট। এই ১০ জন নাগরিক এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন এবং তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন।

বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং তত্ত্বাাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন যে, সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার মনে হয় বন্দুক যুদ্ধকেই এক মাত্র পথ বলে মনে করছে। এমন একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখনই যখন একটি দেশে সুশাসন এবং জবাবদিহিতা অনুপস্থিত থাকে। সুলতানা কামাল বলেন,‘এই জাতি তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।’ তিনি বলেন, এই দেশে জীবন মূল্য হীন হয়ে পড়েছে। যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদেরকে এই বিষয়টি ভাবতে হবে। ঐ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সুলতানা কামাল- এরা সকলেই আওয়ামী ঘরানার লোক। বন্দুক যুদ্ধের নামে এই হত্যাকা- এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যখন এসব ঘটনা সরকারের সহযোগীদের কাছেও সমর্থন যোগ্য এবং গ্রহণ যোগ্য মনে হচ্ছে না। আর হবেই বা কোত্থেকে। এক সময় ক্রস ফায়ারকে বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ড মনে করা হতো। কিছু দিন পর ক্রস ফায়ারের আর একটি সমার্থক শব্দ শোনা গেল। সেটি হলো এনকাউন্টার। তার পরে এলো আর একটি সমার্থক শব্দ। সেটি হলো গান-ফাইট বা বন্দুক যুদ্ধ। এই সরকার এখন বন্দুক যুদ্ধকে ক্রস ফায়ার এবং এনকাউন্টার থেকে আলাদা করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সেটি দেশের বিপুল সংখ্যক সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। তারা বলছেন, ঘুরে ফিরে বিষয়টি একই বৃত্তে ফিরে আসে। যার নাম চাল ভাজা, তার নামই মুড়ি ভাজা। যিনি প্রাণ দিতে পারেন তিনিই প্রাণ সংহার করতে পারেন। আর বিনা বিচারে প্রাণ সংহারের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ পর্যন্ত অন্তত ১৫০ ব্যক্তি বন্দুক যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। এদের এক জনেরও তো বিচার হয়নি। মাদক ব্যবসাতে তারা কতখানি জড়িত সেটিওতো তদন্ত করা হয়নি এবং কোনো বিচারও করা হয়নি। সেজন্যই এগুলো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যা কাণ্ড থামাতেই হবে।
বিভিন্ন টকশো’তে আওয়ামী ঘরানার রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবিদেরকে একটি অদ্ভুদ যুক্তি দিতে দেখলাম। বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে তারা বলেছেন যে ঐসব দেশে মাদক নির্মূল অথবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। নজির হিসাবে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনস, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, ঐসব দেশে হাজার হাজার মানুষকে মাদক বিরোধী অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। কোনো কোনো দেশে ১২ হাজার মানুষ আবার কোনো কোনো দেশে ৬০ হাজার পর্যন্ত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা জানিনা, আওয়ামী ঘরানার লোকজন এসব কথা বলে কি বোঝাতে চান এবং কি করতে চান? তারাও কি বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করতে চান? যেভাবে বাংলাদেশে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছিল, সেই ট্রেন্ড যদি আজও অব্যাহত থাকতো তাহলে ইতোমধ্যেই সেটি ২০০ ছাড়িয়ে যেতো। শনিবার পত্র পত্রিকায় দেখলাম, গতকালও অর্থাৎ শুক্রবারও তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যাটি ১৫ বা ১০ থেকে নেমে গেলেও হত্যাকা- এখনো অব্যাহত আছে।
আওয়ামী ঘরানার লোকজন হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার নজির টানলেও ভিন্ন মতের আলোচকরা তাৎক্ষণিকভাবে এই বলে জবাব দিচ্ছেন যে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেও ঐসব দেশে মাদক নির্মূলও করা যায়নি, বা নিয়ন্ত্রণও করা যায়নি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদের মধ্যে মাদকাসক্তি রয়েছে। দেশে এখন আনুমানিক ৭০ লক্ষ মাদকাসক্ত রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ১০ লক্ষ মাদরাসার ছাত্রের মধ্যে একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায় নাই যে মাদকাসক্ত। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি টিটকারি মেরে বলেন যে, ওরা তো বেহেস্তে যাওয়ার নেশায় মদ বা মাদকের নেশা করে না। অন্যান্য আলোচক বলেন যে, তারপরেও তো ওরা সমাজকে মদ, গাঁজা, ভাঙ, ইয়াবা প্রভৃতি নেশা থেকে মুক্ত রাখছে।
সুতরাং বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা করার মধ্যে মাদক সমস্যার সমাধান নিহিত নাই। সমাধান রয়েছে মানুষের মানসিক পরিবর্তনে। আর সেটি সম্ভব একটি উন্নততর এবং মহত্তর জীবনাদর্শে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।
asifarsalan15@gmail.com

http://www.dailysangram.com/post/333764