৯ জুন ২০১৮, শনিবার, ৮:১৭

মাছ-মুরগির দাম বেড়েছে ঈদের অজুহাতে

কথায় আছে, বাঙালির তিন হাত। ডান হাত, বাম হাত এবং অজুহাত। অজুহাতের তাদের শেষ নেই। আর এ দেশের ব্যবসায়ীরা তো সারা বছরই থাকেন অজুহাতের অপেক্ষায়। কখনই অতিবৃষ্টি, কখনো অতি রোদ, কখনো রোজা, কখনো পূজা, কখনো ঈদ। অজুহাত পাওয়ামাত্রই সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সামনে এবার অজুহাত হয়ে দেখা দিয়েছে ঈদুল ফিতর। এ অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বেশির ভাগ পণ্যের। তবে সরকার নির্ধারিত ৪৫০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি গরুর গোশত।

এসব অসাধু ব্যবসায়ীই রোজার শুরুতে কোনো কারণ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। রোজার শুরুতে বেড়ে যাওয়া ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, তেল, মাছ, মুরগির দাম গত এক সপ্তাহ বেশ কমই ছিল। গতকাল আবার দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। কারণ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল অনেকেই বাজারে এসেছেন ঈদের প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য কিনতে। সুযোগ বুঝে মাছ, মুরগি, চিনি, তেল, মসলা প্রভৃতির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ফার্মের লেয়ার মুরগি গতকাল খুচরা বাজারে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। পাকিস্তানি জাতের কক মুরগি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হয় ২৪০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি আকারের এক হালি কক মুরগির দাম হাঁকা হয় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। আর দেশী মুরগির দাম তো আকাশ ছোঁয়া। কেজি পড়ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বাজারে গতকাল পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, চিচিঙ্গা প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেঁপে ও কাকরোল এখন পাওয়া যাচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কাঁটামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, জালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনিয়াপাতার কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাচ কলার হালি ২৫ থেকে ২৮ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়ার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সব ধরনের মাছের। বাজারে গতকাল মাঝারি আকারের একেকটি ইলিশ বিক্রি হয় ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা দরে। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/323946