৬ জুন ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৪

মাদকবিরোধী অভিযানের নামে-

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : যেখানে মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন সেখানে অতিরিক্ত সতর্কতা সব সময় জরুরি। সরকার সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। একথা কেউ অস্বীকার করবে না যে, বাংলাদেশে মাদকের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে গেছে। ৭০ থেকে ৮০ লাখ তরুণ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। গাঁজা, ভাঙজাতীয় মাদক বহুকাল থেকেই বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তাতে আসক্তের সংখ্যা কখনোই খুব বেশি ছিল না। কিন্তু হেরোইন বা ফেনসিডিল এসে সে ধারা একেবারেই বদলে দেয়। হেরোইন আসে থাইল্যান্ড, বার্মা প্রভৃতি দেশ থেকে। আর ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে। ভারতের সীমান্তবর্তী বহু গ্রামে শ’ শ’ ফেনসিডিলের কারখানা। এ সব কারখানা গড়েই উঠছে বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচার করার জন্য। সেও এক ভয়াবহ অবস্থা। তরুণ সমাজ যখন ফেনসিডিলে আসক্ত হয়ে নির্জীব হয়ে যাচ্ছিল, তখন আমরা আওয়াজ তুলেছিলাম এই ফেনসিডিল বন্ধ করতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা করা হোক। সে রকম নজরদারি তো হয়নি, বরং এই ফেনসিডিল ব্যবসার সঙ্গে সমাজের সব শ্রেণির ক্ষমতাবান মানুষ জড়িয়ে গেছে। তাতে রাজনীতিক আছে, সরকারি কর্মকর্তা আছে, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর লোকেরা আছে।

কিন্তু মিয়ানমার থেকে যখন ইয়াবা আসতে শুরু করলো তখন দৃশ্যপট একেবারে বদলে গেল। ইয়াবা কেড়ে নিল ঘুম, সাময়িকভাবে শারীরিক শক্তি দিলো আর নির্জীব করে ফেললো তারুণ্যকে। আমরা দেখতে পেলাম ইয়াবার সর্বনাশা নেশা যুবসমাজকে একেবারেই পঙ্গু করে দিতে যাচ্ছে। আমরা তখনো সতর্ক করলাম যে, ইয়াবা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক। কারণ যদি ইয়াবা পাওয়া যায়, তাহলে তরুণ সমাজ সে নেশায় আসক্ত হবেই। আবার অধিক সংখ্যায় যখন আসক্ত হবে, তখন ইয়াবার চালানও অধিক মাত্রায় আসতে শুরু করবে। সুতরাং বন্ধ করতে হবে উৎসমুখ। ইয়াবা বাংলাদেশে আসছে হাজারে হাজারে, লাখে লাখে। একইভাবে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে জনপ্রতিনিধিরা। জড়িয়ে পড়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, জড়িয়ে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কোথায়ও কোথায়ও বেকার কৃষিজীবীরাও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। সরকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে। তারা এটাও নিশ্চিত করেছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যদি তাই হয় তাহলে তাদেরকে বখরা দিয়ে এই ব্যবসা দ্রুত বিস্তার করানো সম্ভব। সেভাবেই বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসা এখন এক বড় ধরনের বাণিজ্যের নাম।

পত্রপত্রিকার রিপোর্ট-এ আমরা দেখি সামান্য দিনমজুর কিংবা গৃহকর্মী ইয়াবার ব্যবসা করে রাতারাতি প্রাসাদোপম ঘর-বাড়ি বানিয়েছে। তাদের আছে গাড়ি, এই ইয়াবা নেটওয়ার্ক কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায়, কেউ কেউ অধিক লাভের আশায় ইয়াবার কাঁচামাল আমদানি করে বাংলাদেশে কারাখানা বসিয়েছে। এই মাদক ইয়াবাসেবীদের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। এ ব্যবসার নেটওয়ার্ক এতই বিশাল যে, জেলখানায় বসেও মাদক নিয়ন্ত্রণকারীরা রীতিমতো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সে ধরনের রিপোর্টও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি যে, এই ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতাদের আটক করতে হবে। এই অসাধু ব্যবসার উৎসমুখ বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের সাজার আওতায় এনে এ সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। কিন্তু এখন যে অভিযান চলছে সে অভিযানে এ ব্যবসার গডফাদাররা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইতিমধ্যে প্রাণ গেছে সোয়া শ’ লোকের। এ অভিযান কতদিন চলবে এবং আরো কত লোকের প্রাণ সংহার হবে আমরা তা বলতে পারি না। সরকারও তেমন কোনো আভাস দেয়নি।

আমরা প্রথম থেকেই একটি বিষয়ে বলছিলাম যে, এই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ব্যবহারকারীদের চেয়ে গডফাদারদের ধরাই শ্রেয়। যদি তাদের ধরা যায় তাহলে ইয়াবা ব্যবসা আপনা আপনি স্তিমিত হয়ে যাবে। কিন্তু সরকার বন্দুকযুদ্ধ নামের এক অভিযান শুরু করেছে। বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী সব জায়গায় একই রকম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাকে ধরে নিয়ে যায়, বন্দুকযুদ্ধে শুধু সেই নিহত হয়। যারা নিহত ব্যক্তির পক্ষে যুদ্ধ করতে আসে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের টিকিটিরও নাগাল পান না। এটা কি সম্ভব? শুধু মাদকদব্য অভিযানের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য যেসব ক্ষেত্রে বন্দুকযুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেও একই কাহিনী জনগণকে শোনানো হয়। কিন্তু এ কাহিনী কেউ বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না। সুতরাং সুশীল সমাজে এ কাহিনীর নাম বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-। মাদকবিরোধী অভিযান যখন শুরু হয়, তখনই আমরা বলেছিলাম ভুল হয়ে যাবে। এই অভিযানে যেহেতু কোনো জবাবদিহিতা নেই, যেহেতু প্রশ্ন করার সুযোগ নেই, সুতরাং এই অভিযানের বিচ্যুতি ঘটবে। কেউ কাউকে মাদক ব্যবসায়ী বলে অকারণে অপবাদ দিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে। এই অপারেশন শুরু হবার পর পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে কতোভাবে এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন, তা বলে শেষ করা যায় না। তিনি বলেছেন, এটা ক্রসফায়ার নয়, এটা বন্দুকযুদ্ধ। পুলিশের ওপর কেউ যদি হামলা করে তাহলে পুলিশ কি বসে থাকবে? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশের ওপর কেউ যদি হামলা করে তাহলে পুলিশ কি গান গাইবে? এভাবেই নিহতের ঘটনাগুলোকে যৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

এই বিষয়ে গত ৩১ মে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এই অভিযানকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে তার সরকারের কঠোর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে। মাদকের কারণে সন্ত্রাস হচ্ছে, ছেলেমেয়েরা বাবা-মাকে খুন পর্যন্ত করছে। আপনারা কি চান অভিযান চলুক নাকি বন্ধু হয়ে যাক? তিনি বলেন, খুব স্বাভাবিক যে, এ ধরনের অভিযান চালাতে হলে কিছু একটা ঘটনা ঘটতেই পারে। নিরপরাধ কেউ এ অভিযানের শিকার হচ্ছে না। এ পর্যন্ত যে কয়টা ঘটনা ঘটেছে মনে হয় না একটাও নিরীহ ব্যক্তি শিকার হয়েছে। তবে নীরিহ ব্যক্তি এসব অভিযানের শিকার হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। এ ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটে। চলমান অভিযানে কোন গডফাদারও রেহাই পাবে না। যে যতো প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আমি যখন যা করি, ভালো করেই করি। এ অভিযান হঠাৎ শুরু হয়নি। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য নিয়ে, নজরদারি চালিয়ে এরপর এ অভিযান চালানো হচ্ছে। তার সুরে সুর মিলিয়ে মন্ত্রীরা একই কথা বলেছেন।

তবে এ পর্যন্ত এই অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকের পরিবারই সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন যে, তাদের স্বজন কোনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। দু’টি পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে পুলিশ টাকা চেয়েছিল টাকা দিতে পারি নাই বলে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু এদের মধ্যে সবেচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরাম হত্যা নিয়ে। একরাম এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। এলাকার সকল মানুষ এটা জানে যে, উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ফলে সেখানকার গডফাদারদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। কেউ কেউ বলছেন, সেই বিরোধের সূত্র ধরে একরামকে মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিহিত করে বন্দুকযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। একরামুল হকের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন যে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাধারণত দেখি যে, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে। দামি গাড়ি রয়েছে, তাদের চলন-বলন অন্য রকম হয়ে ওঠেছে। কিন্তু একরাম সে ধরনের লোক নয়। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি একটি বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটি একতলার ছাদ পর্যন্ত উঠেছিল। এখন পরিত্যক্ত, লতা-পাতার শেওলা মাকসার জাল ঝুলে সেটি তার দারিদ্র্যের সাক্ষ্যও বহন করছে। তার দুই মেয়ে। তাদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করতো তার ভাই। পার্টির সাহায্য সহযোগিতায় তার সংসার চলত। কিন্তু গত ২৬ মে র্যা বের সঙ্গে কথিত বন্দুযুদ্ধে একরামের মৃত্যু হয়। টেকনাফের পৌর মেয়র এই মুত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন এবং তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছিলেন। এলাকায় একরাম এতোটাই প্রভাশালী ছিলেন যে, রাতের বেলায় অনুষ্ঠিত তার নামাজে জানাজায় প্রায় ৩০ হাজার লোক শরীক হয়েছিল। এলাকার মানুষ কেউ বলেনি যে, একরাম মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল।

এই নিয়ে গত ৩১ মে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তাতে তিনি অডিও টেপও সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা বলেন, আমি আমার স্বামী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, ২৬ মে রাতে একটি গোয়েন্দা সংস্থা মেজর পরিচয় দিয়ে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্বামী মোবাইলে আমার মেয়ে ও আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন তার কণ্ঠে আতঙ্ক ছিল। এরপর আমার বোমাইল সারাক্ষণ খোলা ছিল। এতে রেকর্ড হচ্ছিল। ওইদিন রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিৎকার ও গুলীর শব্দ শুনেই আমি ও আমার পরিবার আঁতকে উঠি। তখনই বুঝতে পারি আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গুলী করে হত্যা করা হয়েছে। ৪টি অডিও ক্লিপ মিলিয়ে ১৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডে ওই অডিও রেকর্ডের কয়েকজনের কন্ঠ, গুলীর শব্দ আর চিৎকার সাংবাদিকদের শুনিয়ে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেছেন তার স্বামীকে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই অডিওতে গুলীর শব্দ, পুলিশের সাইরেন, চিৎকার, হাঁক-ডাক ও গালিগালাজ এবং এ প্রান্তে নারী ও শিশুদের আহাজারি মিলিয়ে লোমহর্ষক এক পরিস্থিতির চিত্র পাওয়া যায়।

এতে বাবা একরাম ও তার মেয়ের মধ্যে আবেগঘন কথা হয়েছিল। একরামের কণ্ঠে আতঙ্কও ছিল। একরাম কাঁদছিল, তারপর ওই ওডিওতে বোঝা যায় গালিগালাজ, আর অস্ত্র কক করার শব্দ। তার পর শোনা যায় ২টি গুলীর শব্দ। মরণাপন্ন মানুষের চিৎকার, আর এ প্রান্তে চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন একরামের স্ত্রী ও তার মেয়েরা। আয়েশা তাদেরকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, একরাম কোনো অপরাধ করে নাই, সে নির্দোষ। সুতরাং তাকে কেন মারা হচ্ছে, কেন তাকে গালিগালাজ করা হচ্ছে, তার গুলী, গুলীর খোসা খোঁজাখুঁজি। সাইরেন এবং শেষে লাইনটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এ এক মর্মন্তুদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। প্রথম প্রথম সরকার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। তারপর এখন বলছে এটা তদন্ত হবে। কিন্তু সবাই তো বললেন যে, এরকম দু-একটা ঘটনা ঘটতেই পারে। কি নিষ্ঠুর এই উক্তি! এই তথাকথিত দু-একটা ঘটনা যে কি বেদনার সৃষ্টি করেছে সেটা যার গেছে সে ছাড়া আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। এ দু’একটি ঘটনায় স্বামী হারিয়েছেন একরামের স্ত্রী, বাবাকে হারিয়েছে তার সন্তানরা কিন্তু একরাম যে দোষী সে কথা কোথায়ও কোনোভাবেই প্রমাণিত হয় না।

আমরা বার বার এই কথাই বলছি যে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ে যদি সংঘটিত হতে থাকে তাহলে এরকম বহু একরামকে প্রাণ দিতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযান শেষ পর্যন্ত পরিবারে পরিবারে ক্রন্দন আর হাহাকারের সৃষ্টি করবে। সে কারণেই আমরা বার বার বলছি যে, যে কোনো ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক। সে যদি অপরাধী প্রমাণিত হয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। কেননা, ন্যায়বিচারের বাণী হলো, দশজন দোষী খালাস পেলে পাক। কিন্তু একজন নির্দোষও যেন শাস্তি না পায়। আমরা নির্দোষের পক্ষে দাঁড়াচ্ছি।

http://www.dailysangram.com/post/333277