২ জুন ২০১৮, শনিবার, ১১:৩১

মুরগির বাজার অস্থির বেড়েছে মরিচের দাম

রমজান ঘিরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা কমছে না। গত সপ্তাহে দাম কিছুটা কমলেও শুক্রবার সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহের মতো মাছের দাম একই আছে। এ ছাড়া সবজি, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দামই ছিল স্থিতিশীল।
কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা দেখা গেছে এ চিত্র।
কারওয়ান বাজারের চিকেন মার্কেটের মুরগি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের বুধবার ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে আসে। তবে শুক্রবার সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে।

সে ক্ষেত্রে ১০-১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে আকারভেদে বিক্রি হয় ৩৫০-৪৫০ টাকায়।
বাজারে ক্রেতারা বলেছেন, গরু ও খাসির মাংসের দাম অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে মুরগির দাম তুলনামূলক কম। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারে মাংসের আমিষের চাহিদা পূরণে মুরগির ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু রমজান উপলক্ষে এ পণ্যটিরও দাম বেড়ে গেছে। যার কারণে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম কমলেও শুক্রবার কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর নয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আড়তে কাঁচা মরিচের সংকট আছে।

যার কারণে চাহিদার তুলনায় কম বিক্রি করছে পাইকারি বিক্রেতারা। আর গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করছে। যার কারণে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা। রসুন মানভেদে বিক্রি হয়েছে ১০০-১১০ টাকা কেজি এবং আদা ১১০ টাকা কেজি। অন্যদিকে এদিন সবজির দাম ছিল স্থিতিশীল।
শুক্রবার প্রতি কেজি শসা ও গাজর বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা, বেগুন ৫০-৫৫ টাকা। পেঁপে বাজারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকায়। এ ছাড়া পটোল, বরবটি, ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০-৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রানা মিয়া বলেন, ধীরে ধীরে কমে আসছে পেঁয়াজসহ সব ধরনের সবজির দাম। আড়তে দেশি পেঁয়াজ যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি আমদানিও হচ্ছে প্রচুর।
বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার ফলে দামটা কমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি। যে কারণে কম দামে এনে কম দামে বিক্রি করছি।
একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা সরকারি কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জানান, শুক্রবার বাজারের অবস্থা ভালো। তবে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল। তাই একটু স্বস্তিতে আছি। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে বাজার ভালোভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
যার কারণে ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা করার জন্য দাম বাড়াতে পারছেন না। তাই মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।

এদিকে মাছের বাজারেও স্বস্তি বিরাজ করছে। শুক্রবার বাজারে রুই ও কাতলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৩০-৩০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হয়েছে। বড় আকারের চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ৭০০ টাকা ও ছোট আকারের ৫০০ টাকা।
তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা, কই ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সিলভার কাপ ১০০-১২০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০, নলা ১২০-১৩০ টাকা ও সরপুঁটি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা।
অন্যদিকে রাজধানীর বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭২০-৭৪০ টাকা।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/55353