২ জুন ২০১৮, শনিবার, ১১:১৬

অর্থ পাচার আর কালো টাকা গ্রাস করছে অর্থনীতি

মুদ্রা পাচার আর কালো টাকা গ্রাস করছে অর্থনীতি। কোন আইনেই পাচার আর কালো টাকা রোধ করা যাচ্ছে না। দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত এর কোন সঠিক হাল নাগাদ পরিসংখ্যান নেই। অর্থনীতিবিদের মতে, প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতে ৭০ হাজার কোটি কালো টাকা যুক্ত হচ্ছে। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে দেশের বাইরে পাচার হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা। এই অর্থ বর্তমানে বাংলাদেশের দুটি বাজেটের সমান। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর মধ্যে অর্থ পাচার সবচেয়ে বেশি হয়েছে বাংলাদেশ থেকেই। এই দুই রাহুর গ্রাস থেকে অর্থনীতিকে মুক্ত করা না গেলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ।

এনবিআর বলছে, কালো টাকা বলতে কিছু নেই। আসলে এগুলো হচ্ছে অপ্রদর্শিত আয়। আর ‘অপ্রদর্শিত আয়’ বলতে করের আওতায় আনা হয়নি, কিন্তু বৈধভাবে অর্জন করা হয়েছে এমন অর্থের কথাই বলা হচ্ছে। অবৈধভাবে (যেমন কালোবাজারি, চোরাচালান, ঘুষ-দুর্নীতি ইত্যাদি) অর্জিত আয় এর আওতায় পড়বে না। জরিমানা আর আয় কর দিলেই তা বৈধ বা সাদা হয়ে যাবে। আগামী বাজেটও এ সুযোগ থাকবে। তবে দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ সুবিধার কারণেই কালো টাকার পরিমাণ বাড়ছে। এতে করে প্রকৃত টাকার মালিকরাও কর দিতে উৎসাহ হারান।
বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণ কত তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে কালো টাকার পরিমাণ জিডিপি’র ৩৭ শতাংশ। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব মতে, দেশে কালো টাকার পরিমাণ জিডিপি’র ৪২ শতাংশ থেকে ৮২ শতাংশ বলা হয়। তবে কালো টাকার কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। যদিও এ প্রক্রিয়ায় খুব বেশি সাড়া মেলেনি।
অর্থ বিভাগের এক সূত্রমতে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গত ৪৪ বছরে ১৩ হাজার ৩৭২ কোটি ‘কালো’ টাকা সাদা করা হয়েছে। এর বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ১৯৭৬-৮০ সাল পর্যন্ত ৫০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ১৯৮১-৯০ সাল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, ১৯৯১-৯৬ সাল পর্যন্ত ১৫০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ১৯৯৭-২০০০ সাল পর্যন্ত ৯৫০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত ৮২৭ কোটি ৭৪ লাখ, ২০০৭-০৮ সাল পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৮২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা, ২০১৩-১৬ সাল পর্যন্ত ৮৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা সাদা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এক সময় ব্যাংকিং খাতে কালো টাকা জমা রাখার জন্য ‘বিয়ারা সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট’ (বিসিডি) নামে এক ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব চালু ছিল। এই একাউন্টে টাকা রাখতে আমানতকারীদের নাম-ঠিকানার কোনো প্রয়োজন হতো না। কেবল একটি নম্বরের মাধ্যমে টাকা জমা রাখা এবং মুনাফাসহ আসল টাকা তোলা যেতো। কিন্তু ২০০২ সালে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে ব্যাংকিং খাতে কালো টাকা রাখার আর কোনো সুযোগ নেই। কারণ এখন ব্যাংকে কোনো একাউন্ট খুলতে গেলে বা টাকা জমা রাখতে গেলে টাকার উৎস সম্পর্কে ব্যাংককে অবহিত করতে হয়।

গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার স্থায়ী বিধান তৈরি করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ (ই) ধারা অনুযায়ী, অতীতের যে কোনো বছরের আয় গোপন করা হয়ে থাকলে তা প্রদর্শন করা যাবে। যে বছরে ওই আয় করা হয়েছিল, সেই বছরের বিদ্যমান আয়ের করহার প্রযোজ্য হবে। এর সঙ্গে যোগ করা হবে প্রদত্ত করের ওপর ১০ শতাংশ হারে জরিমানা। সংযোজিত নতুন ধারায় পুরোনো একাধিক বছরের কালোটাকা সাদা করারও সুযোগ রয়েছে। এজন্য বার্ষিক আয়কর বিবরণীর সঙ্গে পৃথক ফরমে নাম, কোন্ খাতের আয় ও পরিমাণ এবং কর ও জরিমানার পরিমাণ ঘোষণা করতে হবে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের অর্থ পাচারের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এই অর্থ বর্তমানে বাংলাদেশের দুটি বাজেটের সমান। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর মধ্যে অর্থ পাচার সবচেয়ে বেশি হয়েছে বাংলাদেশ থেকেই।
প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৯১১ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। বলা হয়েছে, আমদানি-রপ্তানিতে আন্ডার ভয়েস এবং ওভার ভয়েসের মাধ্যমেই প্রধানত এই অর্থ পাচার করা হয়।
জিএফআইয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুধু ২০১৩ সালেই অবৈধভাবে বাংলাদেশের বাইরে চলে গেছে ৯৬৬ কোটি ডলারের বেশি। আর ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ১ হাজার কোটি ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অস্বচ্ছ ব্যবসায়িক লেনদেন বা মিস ইনভয়েসিং ছাড়াও দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মাধ্যমে এ অর্থ পাচার হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জিএফআই।

জিএফআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়ালেও ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর আগের বছর পাচার হয় ৭২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এছাড়া ২০০৮ ও ২০০৯ সালেও অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়। ওই দুই বছরে পাচার হয় যথাক্রমে ৬৪৪ কোটি ৩০ লাখ ও ৬১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. এম এম আকাশ বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে দেশের ছয় লাখ কোটিরও বেশি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে, যা অর্থমন্ত্রীর তথাকথিত বিগ বাজেটের দেড়গুণ। এন্টি মানিলন্ডারিং আইন এবং দুদক, এনবিআর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক থাকা সত্ত্বে¡ও অর্থ পাচার কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। চলতি প্রস্তাবিত ২০১৭-২০১৮ সালের বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অতিরিক্ত করারোপের কারণে অর্থ পাচার রেকর্ড ছাড়াতে পারে বলেও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ভ্যাট আইনকে অনেকে এ বছরের বাজেটে নতুন সংযোজন বললেও তা সঠিক নয়। কারণ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আগেও ছিল। তিনি বলেন, ভ্যাট দেয় ভোক্তা। কিন্তু হইচই করছেন ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে মূল কারণ হচ্ছে, আগে ব্যবসায়ীরা ভোক্তার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতেন না। নিজেরাই খেতেন। এ বছর যেহেতু অনলাইনে ভ্যাট আদায় হবে, সেহেতু আদায় করা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
অধ্যাপক আকাশ বলেন, বিগ এন্ড বেস্ট বাজেট বলে অর্থমন্ত্রী যা বলছেন তা মিথ্যা। আর যারা এ বাজেটকে নিকৃষ্ট বলছেন তারা অর্থমন্ত্রী বা সরকারের সঙ্গে শত্রুতা থেকে বলছেন।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এটা দিয়ে কেবল বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকার ব্যাপকতা বোঝা যায়। পাচারকৃত টাকার পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। দৃষ্টান্ত হিসাবে তিনি রেমিটেন্স ও হুন্ডির প্রসঙ্গ টানেন।

তিনি জানান, যখন প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেল বেশি ব্যবহার করত, তখনও অন্তত ৫ বিলিয়ন ডলার হুন্ডিতে দেশে যেত, টাকার অঙ্কে যেটা ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো দাঁড়ায়। বিষয়টা হচ্ছে, যে পরিমাণ টাকা প্রবাসীরা হুন্ডিতে পাঠায়, সে পরিমাণ টাকা আসলে পাচার হয়ে যায়।
ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন বলেছে, ১৯৭০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ৪০ বছরে যে অর্থ পাচার হয়েছে তার পরিমাণ ২০১০ সালে বাংলাদেশের মোট জিডিপির (১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি) ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানায় জাতিসংঘের এই সংস্থা।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, অর্থ পাচার এখন সারা বিশ্বেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। রফতানি আয়ে বাংলাদেশের যা অর্জন, তার সঙ্গে তুলনা করলে বেশ বড় পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এখন অনেকে ইলেকট্রনিক পন্থা ব্যবহার করেও টাকা নিয়ে যায়। এগুলো আমরা শনাক্তের চেষ্টা করছি। যদিও দুষ্টচক্র এ পন্থায় এরই মধ্যে আমাদের ক্ষতি করেছে। বেটার সিকিউরিটি সিস্টেম পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে বিদেশিদের সাহায্যও নিচ্ছি আমরা। আর দেশের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে অর্থ পাচার রোধের চেষ্টা আরো জোরালো করা হয়েছে।

সূত্রমতে, আমদানিকারকদের একটি বড় সিন্ডিকেট কয়েক বছর ধরেই আমদানির নামে অর্থ পাচার করছে। অল্প কিছু জরিমানা দিয়ে পারও পেয়ে যাচ্ছে তারা। অর্থ পাচারে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যমূল্য বেশি দেখাচ্ছে, অন্যদিকে ঘোষণার সঙ্গে আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণেও মিল থাকছে না। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হলেও চট্টগ্রাম, বেনাপোল ও মংলা শুল্ক গোয়েন্দার কায়িক পরীক্ষায় মিলেছে খালি কনটেইনার।
কিছু কনটেইনারে কাঁচামাল আমদানির ঘোষণা দেয়া হলেও তার বদলে আনা হয়েছে ছাই, ইট, বালি, পাথর ও সিমেন্টের ব্লক। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের ওয়ানটাচ বিজনেস সেন্টার কোম্পানি থেকে বিপি শিটের ৪৭৪ টনের দুটি চালান আমদানি করে ঢাকার সিএপি ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল। আগামপত্র অনুযায়ী, একটি চালানে ১৩ কনটেইনারে ২৮৪ টন ও অন্য চালানে নয় কনটেইনারে ১৯০ টন বিপি শিট থাকার কথা থাকলেও কায়িক পরীক্ষায় তা পাননি শুল্ক কর্মকর্তারা।
এসব কনটেইনারে বিপি শিটের আদলে মাটির তৈরি ব্লক পাওয়া যায়। গত বছরের আগস্টের শুরুতে সরিষা বীজ আমদানির নামে ৪৩টি খালি কনটেইনার আনে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান লাকি ট্রেড। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একটি বেসরকারি ডিপোয় নেয়ার সময় ৪ নং গেটে স্ক্যানিং করে কনটেইনারগুলো খালি পান শুল্ক কর্মকর্তারা।

ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ট্রেড মিস প্রাইসিংয়ের মাধ্যমেই অর্থ পাচারের ঘটনা বেশি ঘটছে। মোট পাচারের ৮০ শতাংশই হচ্ছে ট্রেড মিস প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে। এছাড়া বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফার মিস প্রাইসিংয়ের মাধ্যমেও অর্থ পাচার হচ্ছে।
আহসান মনসুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এটা হয়ে আসছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ কারণে এটা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সজাগ দৃষ্টি দরকার।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালকের মতে, কোনো কারণে অনিশ্চয়তা বাড়লে অর্থ পাচারের প্রবণতাও বাড়ে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যেমন পাচার করেন, তেমনি ব্যবসায়ী বা আমলারাও অর্থ বাইরে নিয়ে যান। একইভাবে বেড়েছে কালো টাকার পরিমাণও। মূলত টাকার উৎস জানাতে রাজি নয় একারণেই টাকা কালো হচ্ছে কারণ সুদ ঘুষ আর ব্যবসা দখলের মাধ্যমে অর্জিত টাকা সে কিভাবে আয় দেখাবে এ কারণেই টাকা কালো করতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে গত দশ বছরে কয়েক শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল হয়েছে, দখল হয়েছে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। একইভাবে সুদ-ঘুষ আর আত্মসাতের পরিমাণও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। কালোবাজারি নারী পাচার আর মাদক ব্যবসায় হাজার হাজার কোটি আয় হচ্ছে। এসব টাকা কিভাবে তারা বৈধ দেখাবে। আর এ কারণেই কালো টাকা আর পাচার বাড়ছে।

http://www.dailysangram.com/post/332704