৩১ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:০০

ঝুঁকি নিয়ে ঈদযাত্রা ৫ কোটি মানুষের

সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে এবারের ঈদযাত্রা ভোগান্তির শংকা। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ বর্ষা মৌসুমে ও উত্তাল নৌ-পথে যাতায়াতের ঝুঁকি, রেলপথে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন, কোচ ও ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শিডিউল বিপর্যয়ের শংকার মধ্যদিয়ে ঈদ যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। ঈদ যাত্রার বহরে ৫ কোটি যাত্রীর ১৫ কোটি ট্রিপ সামাল দিতে সড়ক রেল ও নৌ-পথ প্রস্তুত নয় বলে দাবী করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভাঙাচুরা সড়ক, দীর্ঘ যানজট, দুর্ঘটনা, বাসের ট্রিপ-সংখ্যা ঠিক রাখতে বেপরোয়া গতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদে মহাসড়কে দুর্ভোগে পড়তে হবে ঘরমুখো লাখো যাত্রীকে। নিমার্ণে সঠিক মাত্রায় উপকরণ ব্যবহার না করা, সময় মতো সংস্কার না করা, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেশের ৪০ শতাংশ সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা। তাই এবারও পথে দুর্ভোগের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বের হতে হবে ঈদে ঘরমুখি যাত্রীদের। এই ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ, দেশব্যাপী এক জেলা থেকে অপর জেলায় যাতায়াত করবে আরো প্রায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ যাত্রী। সব মিলিয়ে ৬ দিনে প্রায় ১৫ কোটি ট্রিপ যাত্রী ঈদ যাত্রার বহরে থাকবে। এই বিশাল যাত্রীর চাপ সামাল দেয়ার মতো গণপরিবহন ব্যবস্থা অথবা রাস্তা আমাদের নেই।
এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনে সড়ক পথে ৪৪,৩৭৪ টি বাস, ২৭,৯৬২ টি মিনিবাস, ৩,৩৫,৬৬০ টি প্রাইভেট কার, ২,৪৯,০৯১ টি সিএনজি অটোরিক্সা , ৯৮,১৭৫ টি মাইক্রোবাস, ২১,৪৫,৬৫৯ টি মোটরসাইকেল, ৫৪,৪৩৭াট জীপ, ১৭,৫১৬ টি হিউম্যান হলার, ২০,৪২২ টি অটো টেম্পু , ৭৩ লক্ষ প্যাডেল চালিত রিক্সা, ১৫ লক্ষ ব্যাটারি চালিত রিক্সা রয়েছে। নৌ-পথে ৪,২২১ টি ছোট-বড় লঞ্চ, ৪২৮টি ট্রলার, ৮২ হাজার নৌকা, ১২ শত স্পিডবোড। রেল পথে পূর্বাঞ্চলে ৪৮ টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৪৪ টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৭ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন, ৭৩ টি লোকাল ও কমিউনিটার ট্রেন আমাদের যাতায়াতের বহরে রয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ কম। এইসব সংকটের মধ্যদিয়ে এই বিশাল যাতায়াত বহর সামাল দিতে বাড়তি যা যোগান দেয়া হয় তা হলো সড়কে ফিটনেস বিহীন লক্কড় ঝক্কড় কিছু বাস-মিনিবাস মেরামত করে বহরে সংযুক্ত করা, সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে সংযুক্ত করা, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাক পিকআপে যাত্রী বহন করা। তবে রেল পথে কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ বগি মেরামত করে বহরে সংযুক্ত করা পাশাপাশি বেশ কয়েক জোড়া ট্রেন বাড়তি সার্ভিস হিসেবে যুক্ত করা হয়। নৌ-পথে গত কয়েক বছরে বেশ কটি নতুন যাত্রীবাহী লঞ্চ বহরে সংযুক্ত হলেও তা চাহিদার তুলনায় নগন্য বলে প্রতিবেদনে দাবী করে সংগঠনটি।।
সংগঠনের পর্যবেক্ষণ মতে, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতর কাজ চলমান থাকায় প্রায়শ যানজট হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রায় সারাবছরই দুর্ভোগ থাকে। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে তা অসহনীয় মাত্রায় রূপ নেয়। এই ঈদেও এ ঘাট দিয়ে চলাচলকারীরা যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগে পড়বে। বাড়তি মানুষের চাপের কথা মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ প্রতি ঈদেই দুর্ভোগ লাঘবে নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসে না। এবারও নৌপরিবহনমন্ত্রী সরেজমিন ঘাট পরিদর্শন করে ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী সামাল দিতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ফোরলেন মহাসড়কের দুই কিলোমিটার খানাখন্দ সংস্কার, দৌলতদিয়ার চারটি ফেরিঘাট সর্বক্ষণ সচল রাখা ও ঘাটের সংখ্যা আরও বাড়ানো এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অন্তত ২০-২২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা করা জরুরী।
সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা। মহাসড়কের প্রবেশপথ যানজটমুক্ত করতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। এখন ঢাকা থেকে রূপগঞ্জ পার হতে সময় লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা। ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের কারণে গাউছিয়া মার্কেট থেকে ভুলতা মোড় পর্যন্ত মহাসড়ক সরু হয়ে গেছে। নির্মাণ এলাকার পর সড়ক যতটুকু অবশিষ্ট রয়েছে, তাতে স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। গত ঈদেও এখানে দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। এবারের ঈদেও একই আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও এই মহাসড়কের সুফল আটকে গেছে কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু ও টোলঘরে ও ফেনী ফতেহপুরের নির্মানাধীন ফ্লাইওভারে। সড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও সেতুগুলো আগের মতোই দুই লেনের। এছাড়াও ফেনী রেল গেইট এলাকা অতিক্রম করতে ঘন্টার পর ঘন্টা দুর্ভোগে পরছে যাত্রী সাধারণ। এই কারণে ৩/৪ ঘন্টার যাত্রাপথে ১০/১৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগছে। গত ঈদে এই চার সেতুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে ছিল।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম। গোলড়া বাসস্ট্যান্ড ও এখানে সবজির পাইকারি বাজার, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বানিয়াজুড়ি বাসস্ট্যান্ড, উথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন এলোপাতাড়ি রাখায় যানবাহনের জট লেগে যায়। এই মহাসড়কে সাভারের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, উলাইল, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, নয়ারহাট, কালমাপুর এবং নবীনগর-চন্দ্রার দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চার লেনের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ডিইপিজেড থেকে ভলিভদ্র বাজার পর্যন্ত ৬০০ মিটার সংস্কার হলেও প্রায় ৩০০ মিটার অংশের কাজ শেষ হয়নি। নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ডিইপিজেড মহাসড়কের সংযোগস্থল বাইপাইল ত্রিমোড়ে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক থ্রি হুইলার বেড়ে যাওয়ায় যানজট হচ্ছে।
বরিশাল-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের শেখ জামাল সেতু থেকে কলাপাড়ার পাখিমারা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার অত্যান্ত নাজুক। কোথাও কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও ইট-খোয়া সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল জোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কটির এ দশা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়বে কুয়াকাটা মুখী পর্যটকসহ স্থানীয়রা। ভোলার পরানগঞ্জ বাজার থেকে ইলিশা ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটারের অবস্থা আরো নাজুক। জাতীয় মহাসড়কের আওতায় থাকলেও প্রায় একযুগ ধরে এ অবস্থায় রয়েছে সড়কটি। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে সড়কটি সংস্কার করা হলেও বেশিদিন টেকেনি।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়া, শান্তিরহাট, দোহাজারী, কেরানীহাট, চকরিয়া মেইনরোড এলাকায় সরু রাস্তায় তীব্র যানজটের পাশাপাশি চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা অত্যান্ত নাজুক এই সড়কে পর্যটকদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হবে।।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট, কাপ্তাইরাস্তার মাথা, কালুরঘাট রেল সেতু, শাহ আমানত সেতু, অলংকার মোড়, একেখান মোড়, সিটিগেইট, নিউমার্কেট, ইপিজেট, মুরাদপুর, অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী পর্যন্ত রাস্তা খুড়াখোড়ির কারনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই ঈদে আরো ভোগান্তি বাড়বে।
প্রতি ঈদে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এই কারনে দূরপাল্লার বাস ঢাকা ছাড়তেই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশপথ কাঁচপুর মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করা হলেও সুফল মেলেনি। দু'পাশের দুই লেন চলে গেছে পার্কিংয়ে। আর দুই লেনে গাড়ি চলে উল্টো পথে। গাবতলী এলাকায় অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হলেও তা আবার ফিরে এসেছে। টার্মিনালের সামনের রাস্তায় বাস থামিয়ে যত্রতত্র যাত্রী তোলা হচ্ছে। এছাড়াও গাবতলী, মাজাররোড, আশুলিয়া, ইপিজেড, চন্দ্রা, হেমায়েতপুর চৌরাস্তা, বলিয়াপুর, আমিনবাজার, নবীনগর ২০ মাইল, টঙ্গী ষ্টেশন রোড, গাজীপুর চৌরাস্তা, শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার উড়াল সেতু, মীরের বাজার, উলুখোলা, কাঞ্চনব্রীজ, ভুলতা, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোর্ড, মদনপুর, কাজলা, ডেমরা ষ্টাফ কোয়াটার চৌরাস্তা, সুলতানা কামাল ব্রিজ, কাঁচপুর ব্রিজ, মধাবদী, ভৈরব, দুর্জয়মোড়, পাঁচদোনা, কদমতলী চৌরাস্তা, ইকুরিয়া পোস্তাগোলা ব্রিজ, বাবুবাজার, তাতী বাজার, সদরঘাট গুলিস্থান সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স প্রভৃতি এলাকায় নিয়মিত যানজট হচ্ছে। ঈদে যানজট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ হলেও সুফল আটকে দিয়েছে অবৈধ পার্কিং ও বাজার। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের ভালুকা পর্যন্ত দু'পাশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। মাঝে গাজীপুরের শ্রীপুরের শালবন পথ দিয়ে পুরো মহাসড়কেই গড়ে উঠেছে অবৈধ পার্কিং। শিল্পকারখানার বড় বড় কাভার্ডভ্যান মহাসড়কেই পার্ক করা হয়। এ কারণে মহাসড়কে কাক্সিক্ষত গতিতে চলতে পারে না যানবাহন। ময়মনসিংহের সিডস্টোর থেকে গাজীপুরের জৈনা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পথে আটটি বাজার গড়ে উঠেছে। আগের ঈদযাত্রায়ও এসব বাজার হয়ে দাঁড়ায় যানজটের কারণ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে ২৩ জেলার প্রায় আট হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদ মৌসুমে যান চলাচল প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়। গত ঈদুল আজহার আগের দিন বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ৩১ হাজারের বেশি গাড়ি পারাপার হয়, যা এই সেতু চালুর পর থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এখন চন্দ্রা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পথে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত যাচ্ছে যানজটে। চান্দুরা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত অংশে চার লেনের কাজ চলছে।
পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও পাথর উঠে গেছে। সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে গাইবান্ধার রহবল পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটারের ২৫ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দময়।
বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রামের জামাদারপুকুর থেকে গাড়ীদহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গভীর খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের পৌরসভা এলাকার এবং জেলার বেশির ভাগ আন্ত জেলা সড়কগুলো খানাখন্দে ভর্তি হয়ে ওঠায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে নৌ-পথে দুর্যোগপূর্ণ মৌসুম চলছে, প্রতিবছর ঈদে ছোট-বড় অসংখ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারের নিয়োজিত ইজারাদাররা অস্বাভাবিক যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে নৈরাজ্য চালিয়ে আসে। এর পাশাপাশি ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে এই পথে যাতায়াত চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে। মেয়াদত্তীর্ন নৌ যান রং করে ঈদে য়াতায়াত করার তোড়জোড় চলেছে।
রেল পথে ৬৮.৩৫ শতাংশ ইঞ্জিন, ৪৬.১৪ শতাংশ কোচ মেয়াদ উত্তীর্ণ। এছাড়াও ৮০ শতাংশ ট্রেনে স্বাভাবিক সময়ে কোচ ও আসন সংকটে যাত্রীরা হেন্ডেলে ঝুলে বা ছাদে ভ্রমণে বাধ্য হয়। তার মধ্যে ঈদের এক সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ গুন বাড়তি যাত্রী যাতায়াত করলেও কার্যত বাড়তি কোন ব্যবস্থা নেই।

http://www.dailysangram.com/post/332458-