৩০ মে ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৫

মৃত্যুর মিছিলে ১১৯

সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়েছে। ২৬ দিনে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিহতদের স্বজনরা দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেয়ার পর কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটছে। কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরাম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। স্থানীয়রা বলছেন, একরামকে ভুল তথ্যে জীবন দিতে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এ ঘটনার পর টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযান থমকে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে গতকাল সারা দেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে আরো ১২ জন।

রাজধানীর দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে আসিয়ান সিটি পার্কে বড় মাদকের চালানের গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। এরপর মধ্যরাতে অভিযানে নামে পুলিশের একটি টিম। পার্কে পৌঁছাতেই অন্ধকারে পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়। পুলিশ অগ্রসর হলে গুলিবিদ্ধ এক মাদক ব্যবসায়ীকে পড়ে থাকতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৪টি ককটেল ও পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো ১ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। পরে নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায় বলে জানায় পুলিশ। তিনি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া খুকু সুমন বলে উল্লেখ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ওই থানায় ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আহত দক্ষিণখান থানার এএসআই আলামিন ও কনস্টেবল শওকতকে টঙ্গী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এছাড়া গতকাল রাজধানীর উত্তরায়ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বিভিন্ন থানা, গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল আর্মড ফোর্স ডগ স্কোয়াডসহ এসব অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৩১ মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কেজি গাঁজা ও ৫ হাজার ১০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট। এই সঙ্গে ওই এলাকায় মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। অপরদিকে গতকাল রাজধানীর লালবাগের চকবাজার এলাকায়ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

রাজধানী ছাড়াও সোমবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও র্যা বের পরিচালিত মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীর প্রাণ গেছে।
সোমবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে যশোরে ৩, কুমিল্লা ও কুষ্টিয়ায় ২ জন করে ৪, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ ও আখাউড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন করে মোট ১০ মারা গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া বরগুনায় র্যা বের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৪ঠা মে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। এরপর গত ৭ই মে বগুড়ায় ৫ মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার হয়। এরপর গত ১৫ই মে থেকে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাদক ব্যবসায়ীর ধারাবাহিক মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। ১৫ই মে ২ জনের মৃত্যু হয়। ১৭ই মে থেকে গতকাল পর্যন্ত শেষ ১২ দিনে প্রতিদিন যথাক্রমে ৩, ৬, ৩, ৪, ১০, ১১, ৮, ৯, ১১, ১২, ১১ ও সর্বশেষ গতকাল ১২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র্যা ব-পুলিশ। গতকাল নিহত ১২ জনের মধ্যে রাজধানীতে ১ ও বাকি ৭ জেলায় অপর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওসব জেলায় কর্মরত মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানা গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান: সোমবার রাতে যশোর সদর উপজেলার রায়পাড়া ও নঙ্গরপুর এলাকায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সোমবার মধ্যরাতে প্রথম ঘটনাটি ঘটে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় সরকারী প্রাইমারি স্কুলের সামনের রাস্তায়। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, এরা মাদকের কারবারি। যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চাঁচড়া এলাকায় দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র মাদক বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দুটি মরদেহ মেলে। এছাড়া দুটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা এবং দুই প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ভোর পৌনে চারটার দিকে পুলিশ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম লাশ দুটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। হতভাগ্য ওই দুই ব্যক্তির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

এর আগে মধ্যরাতে ডাকাতি করার সময় গণপিটুনির শিকার হয়ে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে এক ব্যক্তি নিহত হন বলে পুলিশ দাবি করেছে। পুলিশের দাবি, ডাকাতি করার সময় গণপিটুনির শিকার হন ওই ব্যক্তি।

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, মুরাদনগরে বন্দুকযুদ্ধে কানা লিটন ও বাতেন নামে ২ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪শ’ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাইপগান, একটি কার্তুজ ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এসআই মোজাম্মেল, এএসআই মাসুদর রহমান ও এএসআই রোকন আহত তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। এতে ৫৩ রাউন্ড গুলিবিনিময় ঘটে। স্থানীয়, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় গুঞ্জর এলাকায় গোমতী প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশে ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন ওরফে কানা লিটন উপজেলা পৈয়াপাথর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ও অপর নিহত বাতেন বাখর নগর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। কানা লিটন বিরুদ্ধে ৭টি মামলা ও বাতেনের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, দৌলতপুরের শেহালা মাঠে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী মুকাদ্দেস আলী (৪২) ও ফজলুর রহমান ওরফে টাইটেল (৪৮) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) আজগর আলী জানান, একদল মাদক ব্যবসায়ী দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা মাঠে মাদক ক্রয় বিক্রয় করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের টহল দল সোমবার রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৫ রাউন্ড গুলি. একটি পিস্তুলের ম্যাগজিন ও ২৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইয়ের ৮টি করে মামলা রয়েছে এবং এরা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে দৌলতপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে হারুন অর রশিদ ওরফে ট্যাবলেট হারুন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি সে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। একাধিক মাদক মামলার আসামি। হারুন শীতলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। মঙ্গলবার ভোরে হরিপুরের শীতলপুর এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ। পুলিশ জানায়, পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হারুন মারা যায়।

ভালুকা প্রতিনিধি জানান, ভালুকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিজান (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন, তিনটি গুলির খোসা, ১টি রামদা ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মিজান উপজেলার দক্ষিণ কাঁচিনা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলম আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার পাড়াগাঁও চটনপাড়া সামাদ ফকির বাড়ি এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। মাদক ব্যবসায়ীর মিজানের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ ৯টি মামলা রয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলি চালান আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনায় র?্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯শে মে) ভোররাতে বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালি এলাকায় এ কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মো. ফিরোজ মৃধা। সে বেতাগী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত হাসেম মৃধার ছেলে। তার বিরুদ্ধে নয়টি মাদকের মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, রিভলভারের দুই রাউন্ড গুলি, একটি শুটারগান, বন্দুকের তিন রাউন্ড গুলি, ২৫০টি ইয়াবা ও ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে র্যা ব।

আখাউড়া প্রতিনিধি জানান, আখাউড়ায় ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি জনি মিয়া (২৮) এর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পৌরসভার খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। নিহত জনি মিয়া আখাউড়া রেলওয়ে বাগানবাড়ী এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে। পুলিশের ভাষ্য, ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি ও মাদক ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে সহযোগীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জনি মিয়া নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, একটি কার্টুজ, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ২টার দিকে পৌরসভার খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রাস্তার কুদ্দুস মিয়ার বাগানের পাশে গোলাগুলির শব্দ শুনে এসআই কামাল হোসেন ও এসআই হাদিস উদ্দিন জনি মিয়া (২৮) এর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করেন। নিহত জনি মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার খাইয়ার গ্রামে। এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, নিহত জনি মিয়ার বিরুদ্ধে আখাউড়া ও অন্যান্য থানায় ডাকাতি, দস্যুতা, মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে।

 

http://mzamin.com/article.php?mzamin=119501