৩০ মে ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৪

বহরমপুরের পর ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি

মধুখালী-মাগুরায় নির্মিত হচ্ছে ব্রডগেজ রেলপথ

বহরমপুরের পর এবার ভারতের ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এক হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমিল্লাতে ৫০০ মেগা ওয়াট ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া এক হাজার ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুখালী-মাগুরায় ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ত্রিপুরা থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি প্রকল্পসহ মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভাশেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান। মন্ত্রী জানান, ১৩ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা দেয়া হবে জিওবি খাত থেকে। আর প্রকল্পসাহায্য ২ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
একনেক সূত্র জানায়, ‘সূর্যমণিনগর (ত্রিপুরা, ভারত) থেকে কুমিল্লা উত্তরে (বাংলাদেশ) বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কুমিল্লা উত্তরে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের পূর্বাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহদিা পূরণে ত্রিপুরা ও আসাম থেকে ৫০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ আমদানরি লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নিশ্চিতকরণ।

বিদ্যুৎ খাতে ভারত-বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ১২তম বৈঠক ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সূর্যমণিনগর থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কুমিল্লার উত্তর (বাংলাদেশ) দিয়ে সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ১২তম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যৌথ কারিগরি টিম সম্ভাব্যতা জরিপ করে একটি বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থাপন করবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ১৩তম বৈঠকে জেটিটি একটি প্রকল্প প্রতিবেদন দাখিল করে। বর্তমানে ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের (বর্তমান প্রাথমিকভাবে ১৩২ কেভিতে চার্জ করা) মাধ্যমে ত্রিপুরার সূর্যমণিনগর থেকে কুমিল্লা (দক্ষিণ) উপকেন্দ্রের মাধ্যমে রিডিয়াল মোডে বাংলাদেশে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই লাইনের মাধ্যমেই সূর্যমণিনগর থেকে আলোচ্য প্রকল্পের নির্মিতব্য (উত্তর) ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন দিয়ে ৫০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/321251