৩০ মে ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৮

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় ও দুদকের গোয়েন্দা টুলস

নিবন্ধটির কয়েকটি বাক্য লেখে ফেলেছি, এমন সময় এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী, ক্লাসমেইট ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার তুখোড় কলামিস্ট, লেখক ও সাংবাদিক টেবিলের পাশে এসে উপস্থিত। যাকে সাথে নিয়ে তদানীন্তন পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন ও ভাসানী ন্যাপ করেছি। মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চে সামিল হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানষাট পদ্মার পাড় পর্যন্ত গিয়েছি। সেই ঐতিহাসিক মিছিলে ছিলেন, মশিউর রহমান (যাদু ভাই), কাজী জাফর আহমেদ, এনায়েত উল্ল্যা খান, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ফজলে লোহানী, মওলানা ভাসানীর পুত্র আবু নাসের খান ভাসানী, নূর মোহাম্মদ খান, নাজমুল হক নান্নুসহ নাম না জানা অগণিত রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন ও সমাজের সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সময় দুজন এক সাথে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ছনের ঘর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বাড়িতেও একসাথে অনেক রাত কাটিয়েছি। তদুপরি একই সাথে কারাগারেও ছিলাম।

নিবন্ধের শিরোনাম দেখে বন্ধুবর তাতে দুই তিনটি শব্দ চয়ন সংযোগ করতে বললো। তারপর লেখাটির শিরোনাম হয় বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় দুদকের গোয়েন্দা টুলস। তখন বন্ধুবরকে বললাম কথা নেই, বার্তা নেই হঠাৎ নিবন্ধের শিরোনামটির সাথে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় শব্দ চয়ন সংযোগ করা হলো- আসলে ব্যাপার কী। তখন বন্ধুবর বলছিল ন্যায়নিষ্ঠা, আদর্শবান ও যথেষ্ট সুনামের অধিকারী ভালো একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার পরিচয়। তিনি কর্মজীবনে যেখানেই চাকরি করেছেন জনগণ ও সহকর্মীদের অফুরন্ত স্নেহ, ভালোবাসা, অভিনন্দন ও গর্বিত স্মারকলিপি নিয়েই একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। যাকে কর্মক্ষেত্রে তুলনামূলক বিবেচনায় মডেল হিসেবে গ্রহণ করা হলেও অত্যুক্তি হওয়ার মতো তেমন কিছু মনে না হওয়ারই কথা। তাঁর কথাবার্তা, আচার আচরণে হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ও দেমাগের কোন অনুসর্গ লক্ষ্য করা যায়নি। মানুষের ভালোবাসার আঁচড়ে সমৃদ্ধ সেই কর্মকর্তার অধঃস্তন এক কর্মচারী এমন আচরণ করে বসল যা না পারি বলতে, না পারি সইতে। বারবার ধৈর্য্য ধারণের চেষ্টা করেও কোনভাবেই নিজেকে বুঝাতে পারছিলাম না। তাই ভেবেচিন্তে এ নিবন্ধে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় শব্দ চয়ন সংযোগ করে ক্ষণিকের জন্য হলেও, কিছু প্রশান্তি লাভের চেষ্টা করেছি।

বরেণ্য স্বনামধন্য কর্মকর্তা তাঁর অধীনস্থ নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীর নাম জেনে লজ্জিত হবেন এবং তাঁর সামান্য কলমের খোঁচায় বেকুবের ছোট চাকরির ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা ভেবেই ওই কর্মচারীর বুকে ধারণকৃত নাম ও নম্বর এখানে উল্লেখ করা হয়নি। তবে একথা বলা চলে, সে বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল পদবীধারী। এ ব্যাপারে আদ্যোপান্ত না জানলেও এতটুকু বুঝতে পেরেছি ওই কর্মচারীর আচার আচরণে বাস্তবিকই বন্ধুবর মর্মাহত। তবে এ আচরণকে সামান্য কিছু মনে করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও সহজভাবে নিলেও এ ধরনের অপাংক্তেয়দের কারণেই সমাজের ভালো মানুষগুলো আজ বড় অসহায় বলে উল্লেখ করেছেন। পদে পদে এ ধরনের বেকুবদের এমনভাবে শৈথিল্য প্রদর্শনের কারণেই হয়তোবা শাসন, প্রশাসন, আইন ও বিচারে এত অনিয়ম, অবক্ষয়, অবিচার, ঘুষ দুর্নীতির সম্মুখগতি, লীলাখেলা ও অনিয়মের প্রবাহ বলে মন্তব্য করতে কুন্ঠাবোধ করেনি বন্ধুবর সাংবাদিক। এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণও তুলে ধরে বন্ধুবর। একবার কোন এক দুন্ধা (কানে কম শুনা) গৃহস্থ একটি কবুতরের বাচ্চা জবাই করে গৃহিনীকে বলে যায় রান্না করে রাখবা, বাহির থেকে এসে কবুতরের বাচ্চার তরকারি দিয়ে খাব। ইতিমধ্যে রান্নাঘর থেকে কবুতরের বাচ্চাটি বিড়ালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হতচকিত হয়ে গৃহিনী বাড়ীর পাশের ডুবা থেকে ব্যাঙ ধরে এনে কবুতরের বাচ্চার মতো রান্না করে রাখে। তবে এসব কিছুই গৃহিনীর মেয়ে অবলোকন করে থাকে। গৃহকর্তা যখন হালুম হুলুম করে কবুতরের বাচ্চা ভেবে ব্যাঙ খাইতেছিল, তখন গৃহকর্তার মেয়ে বারবার বলতে ছিল বাবা আমি যদি সত্য বলি তবে তুমি ব্যাঙ খাও, আর না বললে কবুতরের বাচ্চা খাও। কিন্তু দুন্ধা গৃহকর্তা কানে না শুনার কারণেই কবুতরের বাচ্চার বদলে ব্যাঙ খেয়েই আত্মতৃপ্তি লাভ করে থাকে। আজ এ ধরনের ঘটনা গতানুগতিক ট্রেডিশন (Tradition) হিসেবে চলে আসছে বলেই চোখ, কান খোলা রেখে সতর্কতা অবলম্বনই শ্রেয়। অর্থাৎ গৃহস্বামী কানে শুনলে যেমনি কবুতরের বাচ্চা মনে করে ব্যাঙ খেতে হত না, তেমনি বন্ধুবর সাংবাদিক ও কলামিস্ট ভালো না হলে একজন কনস্টেবল তার সাথে অন্যায় আচরণ (Illbehave) করে রেহাই পাওয়ার সুযোগও ছিল পরাহত। তদুপরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন কর্তব্যপরায়ন ও আইন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিপরায়ন।

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় ও দুদকের গোয়েন্দা টুলস সম্পর্কে একটু সামনে না এগুলেই নয়। যার মধ্যে রয়েছে ভুক্তভুগীদের অনাবিল ব্যথা, বেদনা, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের হৃদয় নিংড়ানা ইতিহাস। যা উপলব্ধি করেই হয়তো বর্তমান প্রজ্ঞাবান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একটু নড়েচড়ে বসেছেন এবং দুদকের গোয়েন্দা টুলস’র চিন্তাভাবনা করেছেন। তাছাড়া দুদক চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমনে আরো কিছু সময়োচিত যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে বারবার বলে আসছেন দুর্নীতি প্রতিরোধে সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ছাড়া এককভাবে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। দুর্নীতি দীর্ঘদিনের গ্যাংরিনের মতো ক্ষত ও ভয়ংকর ডিজিস (Disease)। তারপরও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে।

জানা যায়, ১৯/৪/১৮ ইং বৃহস্পতিবার সেগুন বাগিচাস্থ দুদক প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে দুদকের সকল সমন্বিত জেলা, বিভাগীয় কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক থেকে উপ-পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, দুদকের গোয়েন্দা শাখা কেবল দুর্নীতিবাজদের পেছনেই গোয়েন্দাগিরি করবে না। গোয়েন্দা টুলস দুদক কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়েও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য প্রযুক্তিসহ গোয়েন্দা টুলস ব্যবহার করে ঘরে বাইরে সব ধরনের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করে ঘরে বাইরে সব ধরনের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সভায় দুদকের গোয়েন্দা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত একজন দুদক পরিচালক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংগৃহীত একটি গোয়েন্দা তথ্য সবাইকে অবহিত করেন।
এতদিন পর হলেও, দুদুকের গোয়েন্দা টুলস জনমনে আশার আলো ও নয়াদিগন্তের উন্মেষ ঘটিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হলে এমন অনেক উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস্তবে তার তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক উপদেষ্টা লেঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মশহুদ চৌধুরী দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে “এখনই সময়” নামে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এক সময় বলেছিলেন আমি ক্লান্ত, অবসন্ন, অপারগ, অসমর্থ (I am tired, undone, unable) বলে বিদায় নিয়েছিলেন। বর্তমান দুদক চেয়ারম্যানের আমলে দুদকের গোয়েন্দা টুলস জনগণের মাঝে আশার আলো হিসেবে আবারও যথেষ্ট জাগরণ সৃষ্টি করেছে। এ সম্পর্কে রয়েছে সুশীল সমাজ, দেশের মানুষসহ অগণিত ভুক্তভুগীদের দুঃখ, বেদনা, বঞ্চনা ও নিগৃহীত হওয়ার বিষাদের কালোছায়া। যা এ নিবন্ধের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় উপস্থাপন করা বাস্তবিকই অসম্ভব। তারপরও কিছু কথা, কিছু উদাহরণ, কিছু চিত্র তুলে না ধরলেই নয়। যাতে রয়েছে সম্ভবত দুদকের গোয়েন্দা টুলস’র আত্মপ্রকাশের সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার সাথে নিবিড় ও সুনিপুন সম্পর্ক।

অনেক আগ থেকেই কিশোরগঞ্জে একটি মহকুমা দুর্নীতি দমন ব্যুরো অফিস ছিল। পরবর্তী সময় ১৯৮৪ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা হওয়ার পর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কার্যালয়টি কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ প্রধান সড়কের পাশে গাইটাল হর্টিকালচার সংলগ্ন তথা পুলিশ সুপার অফিসের অনতিদূরে অবস্থিত ছিল। যে কারণে উক্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো অফিসটি সকলের কাছে খুবই পরিচিত ছিল। এই রাস্তায় চলাফেরার সময় অনেকেই লক্ষ্য করতো এই অফিসে মাছমহালের মতো একশ্রেণীর মানুষের ভিড় লেগেই থাকত। এই ভিড় অফিস সময়ের পরও রাত পর্যন্ত লক্ষ্য করা যেত। ২০০৮ সালের প্রথম দিকে সম্ভবত অফিসটি এখান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয় এবং ময়মনসিংহ দুদক সমন্বয় অফিসের সাথে একীভূত করা হয়ে থাকে। কিশোরগঞ্জ দুর্নীতি দমন ব্যুরো অফিসটি দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য করা হলেও এখানে গিয়ে অনেক কর্মকান্ড দেখে মনে হয়েছে অফিসটি দুর্নীতি তৈরীর ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা। এখানে এনে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী অনেক নিরীহ মানুষকে দুর্নীতি মামলার অহেতুক ভয়ডর দেখিয়ে হয়রানি করার কথা জানা যায়। যে সমস্ত বিষয়ে তাদের তদন্ত কার্যক্রম করার আইনত সুযোগ ছিল না এসব ব্যাপারেও ওরা তদন্তের নামে হয়রানি করে পকেটমারদের মতো প্রায় সময় নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করার ফন্দি ফিকিড়ের কথাও ভুক্তভুগীদের মুখ থেকে কম শোনা যায়নি। ওরা এত অপকর্ম ও সীমাহীন ওপেন সিক্রেট দুর্নীতিতে আসক্ত থাকলেও ওদের মধ্যে এমনভাব পরিলক্ষিত হত যেন তাদের তদারকির আর কেউ নেই। এ অফিসের সাধারণ কর্মচারী থেকে শুরু করে অনেক কর্মকর্তাদেরকেও অন্য অফিসের কর্মচারী থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথেও অহরহ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহারের কথাও শুনা যায়। তদুপরি দুর্নীতি দমন ব্যুরো অফিসের লোক হওয়াতে খারাপ আচরণ তাদের মামলি ব্যবহারও যেন ভুষণে পরিণত হয়। ওদের হাবভাবটা এমন ছিল এবং অনেকেই মনে করতো ওরা যেমন দুধ, তুলসী পাতা ও আবেজমজমের পানি দিয়ে ধোয়া। আর অন্যসব অফিস আদালত ও সমাজের সবাই যেন তাদের দৃষ্টিতে দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত। আরো জানা যায়, ওদের কাছে অনেক সময় কেউ কোন অভিযোগ (complain) না করলেও, নিজেরাই অকপটে ভুয়া ও বেনামা দরখাস্ত সাজিয়ে X, Y, Z এর নাম লিখে অহেতুক অনেককে হয়রানি ও নাস্তানাবুদ করা নিয়ে রয়েছে অনেক শ্রুতি।

জানা যায়, একবার এ অফিসে একজন সাধারণ লোককে আনার পর তাদের আচরণে লোকটি কান্নাকাটি করতে থাকলে, লোকজন গিয়ে ভিড় করে। পরে জানা যায়, ওই লোকটির সাথে প্রতিবেশী প্রভাবশালী একজনের বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ ও মুন্সেফী আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা মোকদ্দমা চলছিল। পরিশেষে নিরীহ এই লোকটিকে অযথা হয়রানি করার জন্য নাকি মহকুমা দুর্নীতি দমন ব্যুরোও এই মর্মে অভিযোগ করে যে, সেই ব্যক্তি নাকি দুর্নীতি করে বাড়ীতে একটি টিনের ঘর করেছে। আসলে নাকি লোকটি ঠেলাগাড়ী চালিয়ে ও ছেলেপেলে নিয়ে দিনমজুরের কাজ করে সঞ্চিত অর্থের মাধ্যমে টিনের ঘরটি নির্মাণ করে থাকে। তারপর বাঘে ছুঁইলে আঠার ঘা এবং দুর্নীতি দমন অফিস ছুঁইলে নাকি ঊনপঞ্চাশ ঘা। এ কারণে অবশেষে ঠেলাগাড়ী চালক টিনের ঘর বিক্রির টাকা দিয়ে নাকি তথাকথিত এ অভিযোগ থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। এমন জানা অজানা অসংখ্য ঘটনার শেষ নেই। আজ এত বছর পর হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বাইরে ও ভিতরে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির ব্যাপারে দুদুকের গোয়েন্দা টুলস’র মাধ্যমে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, এটাকে দেশের সুশীল সমাজ সময়োপযোগী, প্রশংসনীয় পদক্ষেপ ও দুদকের গোয়েন্দা টুলস জনমনে আশার আলো হিসেবে আলোচনায় রয়েছে।

দুর্নীতি থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষাকল্পে গোয়েন্দা টুলস দুদকের বাইর ও ভিতরের (External & Internal) ব্যাপারে যে সূচনা হয়েছে, তা যেমনি অব্যাহত থাকা উচিত তেমনিভাবে অন্যান্য বিভাগ, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর, কর্পোরেশনসহ শাসন, প্রশাসন, আইন ও বিচার ব্যবস্থার যেখানেই অবক্ষয় দুর্নীতি এবং উন্নয়ন, টি.আর, কাবিখা, কাবিটা, জি.আর নিয়ে যেখানে লুটপাট সেখানেই দুদুকের গোয়েন্দা টুলস’র কার্যকারিতাকে সামনে এগিয়ে নেয়াই জনপ্রত্যাশা। তদুপরি বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় হয়ে যারা চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করে (Chain of command) ধরাকে সরা জ্ঞান করে অমার্জনীয় আচরণ করে থাকে তাদেরকেও কোন অবস্থাতেই ছাড় না দেয়ারই কথা। অতীতের মতো ক্লান্ত, শ্রান্ত, অবসন্ন, অপারগ, অসমর্থ আর না বলে দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে দুঃসাহস নিয়ে দুদকের ঘরে ও বাইরের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা টুলস’র আপোষহীন অগ্রযাত্রা সীমা লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সাফল্যম-িত হোক।
-এ.কে.এম শামছুল হক রেনু

http://www.dailysangram.com/post/332401