২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:১০

ধনী-গরীব বৈষম্য প্রকট হয়েছে ॥ খরচের সাথে তাল মেলাতে পারছে না কেউ

দেশে ধনী-গরীবের বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। ধনীরা হচ্ছেন আরও ধনী। আর গরীবরা হচ্ছেন আরও গরিব। গরীব থেকে উত্তোরণের গতি কমে গেছে। সরকারের মধ্যে থেকেও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এই নিষ্পেষণের ফলে খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে ভাঙছে পরিবার ব্যবস্থা। বন্ধ হচ্ছে সন্তানের পড়ালেখা। বাড়ছে অপরাধ, পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা, ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা, পারিবারিক কলহ, ভাঙছে সংসার। এদিকে সরকারি হিসাবে প্রতিবছর দরিদ্রের হার কমছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে দরিদ্র জনগণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কেননা সরকারি দারিদ্র্যের হার নির্ণয় পদ্ধতিতেই রয়েছে গলদ। যাদের আয় দৈনিক এক ডলারের নিচে তাদের চরম দরিদ্র হিসেবে ধরছে সরকার। অথচ জাতিসংঘের হিসাব ডলারে নয় মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণকে দারিদ্র পরিমাপের একক হিসেবে ধরা হয়। সে হিসাবে দেশে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার ধনীদের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে করে আগামীতে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মানুষের আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। ২০১৬ সালে দেশের মানুষের মোট আয়ের ০.২৩ শতাংশ আসে সবচেয়ে দরিদ্রদের পাঁচ ভাগ থেকে যা ২০১০ সালে ছিল ০.৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৬ সালে মোট আয়ে সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশের অবদান ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ যা ২০১০ সালে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ ধনীরা ২০১০ সালে যা আয় করতেন ২০১৬ সালে এসে এরচেয়ে বেশি আয় করছেন। অন্যদিকে আয় কমেছে গরিবদের। সবচেয়ে দরিদ্র পাঁচ শতাংশের খানা প্রতি আয় (হাউজহোল্ড ইনকাম) ২০০৫ সালে ছিল ১১০৯ টাকা, যা কমে ২০১৬ সালে ৭৩৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ধনী পাঁচ শতাংশের খানা প্রতি আয় ৩৮ হাজার ৭৯৫ থেকে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ৮৮ হাজার ৯৪১ টাকা। ২০১০ সালে দেশের মোট সম্পদের ৫১ দশমিক ৩২ ভাগ ছিল সর্বোচ্চ ধনী পাঁচ শতাংশের কাছে। অন্যদিকে ০.০৪ ভাগ ছিল সবচেয়ে দরিদ্র পাঁচ শতাংশের কাছে। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে দারিদ্র্য হ্রাসের হার ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ যা ২০১০ থেকে ২০১৬ সালে নেমে হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৩ থেকে কমে হয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

সিপিডির তথ্যে উল্লেখ করা হয়, সরকারের হিসাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। প্রবৃদ্ধি দিয়ে তো আমাদের কিছু হবে না। আসল কথা হচ্ছে কর্মসংস্থান ও আয় হলো কি না। উচ্চতর প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শোভন কর্মসংস্থান। কারণ যে কর্মসংস্থানটুকু সৃষ্টি হয়েছে সেটা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যেখানে আয় কম। এই পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচনের বছর বাজেট দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রাখতে সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হতে চললেও বাস্তবতা হচ্ছে দেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। দুর্নীতিপ্রবণ দেশ দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতা অর্জন করতে পারে না। এক্ষেত্রে সুশাসনের বিষয়টি জড়িত। এটা পরিসংখ্যানে প্রমাণিত যে, সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারলে দারিদ্র্য বিমোচনেও সফলতা পাওয়া যায় না। যেসব দেশ দুর্নীতির সাথে জড়িত সে দেশ দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতা পায় না। সুতরাং আমাদের এসব বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, প্রবৃদ্ধির গুণগত মানের অভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রার মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে একটি শোভন প্রবৃদ্ধির হার রক্ষা করতে পেরেছে। কিন্তু এই শোভন প্রবৃদ্ধির হারের নিচে যে অন্ধকারটি রয়েছে সেটি হল দেশের ভেতরে সে তুলনায় কর্মসংস্থান হয়নি। দারিদ্র্য বিমোচনের হার শ্লথ হয়েছে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই বৈষম্য শুধু আয়ে আর ভোগে বৃদ্ধি পায়নি। বৃদ্ধি পেয়েছে সম্পদের বৈষম্যে। অর্থনৈতিক বৈষম্য ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ২০১৬ সালের খানার আয় ও ব্যয় নির্ধারণ জরিপে দেখা গেছে, দেশের মোট ৩৮ দশমিক ১৬ শতাংশ আয় করেন উপরের দিকে থাকা ১০ শতাংশ ধনী। ছয় বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গরিবদের আয় বৃদ্ধির সুযোগ কমে গেছে আর বেড়েছে ধনীদের। দেশের সব মানুষের যত আয় এর মাত্র ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ আয় করেন ১০ শতাংশ মানুষ। ৬ বছর আগেও মোট আয়ের ২ শতাংশ এই শ্রেণির মানুষের দখলে ছিল। বিবিএস জরিপে আরো বলা হয়েছে, দেশের মোট আয়ের দুই তৃতীয়ংশের মালিক ওপরের দিকে থাকা ৩০ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশে অঞ্চলভেদেও ধনী দরিদ্রের বৈষম্য বেড়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় দারিদ্র্যের হার ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ কুড়িগ্রামে প্রতি ১০০ জনে ৭০ জনের বেশি গরিব। জরিপ অনুযায়ী সবচেয়ে দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা উত্তরবঙ্গ। সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষ থাকে রংপুর বিভাগে। দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি এমন ১০টি জেলার মধ্যে ৫টিই রংপুর বিভাগে। কুড়িগ্রাম ছাড়া এ তালিকায় আছে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট। শীর্ষ দশের তালিকায় দেখা গেছে, দেশের আরেকটি দারিদ্র্যপ্রবণ পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা। এ তালিকায় থাকা অন্য তিনটি জেলা হলো জামালপুর, কিশোরগঞ্জ ও মাগুরা।
সরকারি হিসাবে অনুযায়ী ওই সময়ে দেশে ৩৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। কিন্তু এ হিসেবেও প্রকৃত সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি হবে। কেননা বর্তমান উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে ১ ডলার দিয়ে একজন মানুষ তার দৈনিক চাহিদা মেটাতে পারছে না। ১ ডলার বাংলাদেশী ৭৭ টাকা। বর্তমান উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে একজন ব্যক্তি এ টাকা দিয়ে দু’বেলা খাবারেরই চাহিদা মেটাতে পারেন না। যেখানে ১ কেজি মোটা চালের দাম সর্ব¤িœ ৪০ টাকা। খাদ্য ছাড়াও রয়েছে বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি মৌলিক অধিকারের বিষয়।

সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, যারা একেবারে গরীব আছেন, তারা আরও গরীব হয়ে যাচ্ছেন বলে আমরা লক্ষ্য করছি। উল্টো দিকে ধনীরা আরও সম্পদের মালিক হচ্ছেন। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জনাব তৌফিক বলেন, একদিকে গরীব মানুষের আয় শতকরা ৬০ ভাগ কমেছে, অন্যদিকে ধনীদের আয় বেড়েছে ৬০ ভাগ।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৩ অনুযায়ী, ২০১০ সালে মোট জাতীয় আয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানের ৫ শতাংশ দরিদ্র মানুষের অংশীদারিত্ব কমে মাত্র দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ৫ শতাংশ ধনীর অধিকারে রয়েছে মোট আয়ের ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। এদিকে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি বছরই একাধিকবার টাকার অবমূল্যায়ন ঘটছে। ফলে ক্রেতাসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে। বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এই নিষ্পেষণের ফলে খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে ভাঙছে পরিবার ব্যবস্থা, বন্ধ হচ্ছে সন্তানের পড়ালেখা, বাড়ছে পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা, অপরাধ, ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা, পারিবারিক কলহ, ভাঙছে সংসার।

কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১৪ সালে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১১ দশমিক ৩৪ ভাগের চেয়েও বেশি। এর আগের বছরের চিত্র একই রকম। ২০১৩ সালে বেড়েছিল ৭ দশমিক ৮০ ভাগ। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আরও কয়েক দফা বাড়িয়েছে। গত ২৩ বছরে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২৫ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থা নাগরিক সংহতির এক জরিপে বলা হয়েছে, রাজধানীর নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ৫৭ শতাংশ মানুষকে আয়ের অর্ধেক খরচ করতে হচ্ছে বাড়ি ভাড়ার পেছনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আওতাধীন নগর গবেষণা কেন্দ্রের জরিপ অনুযায়ী, ঢাকার ৭০ শতাংশ মানুষ উপার্জনের ৬০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেন বাড়ি ভাড়া বাবদ। কম খেয়ে বাজার খরচ কমানো গেলেও বাসাভাড়া কমানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়লেও মূল্যস্ফীতির উচ্চহারের কারণে এর সুফল ভোগ করতে পারছে না নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেরা। এছাড়া সামগ্রিক অর্থে দেশের দারিদ্র্যও কাঙ্খিত হারে কমেনি। বরং ধনী-গরীব বৈষম্য বাড়ছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি।
এদিকে শত সমালোচনা ও বিরোধী দলের বিরোধীতা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারের চার সদস্যের থাকার সুযোগ রেখে সরকার ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে আইন পাস করেছে। সংশোধিত আইন দেশের ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করবে। একইসাথে আইনের এই সংশোধন ব্যাংকগুলোকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের পথ তৈরি করবে বলে অনেকের অভিযোগ। এতে করে সরকার ধনীদের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আরও বাড়ালেন বলে মন্তব্য করেন তারা।
বিদ্যমান আইনে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ ২জন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন। আর ৩ বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ৬ বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারেন। এরপর ৩ বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারেন। এ আইনে অনেকেরই পরিচালক থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল। সংশোধনীর ফলে কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক পদে একাদিক্রমে ৯ বছর থাকতে পারবেন। এরপর ৩ বছর বিরতি দিয়ে আবারো পরিচালক পদে পুনর্নিযুক্তি হয়ে আবারও টানা ৯ বছর থাকতে পারবেন। আর এক পরিবার থেকে পরিচালক হতে পারবেন সর্বোচ্চ চারজন সদস্য। এর মাধ্যমে ব্যাংক পরিচালকদের কাছে সরকারের নতি স্বীকার হল বলেও মনে করেন অনেকে। তারা বলেন, ব্যাংক পরিচালকদের সুযোগ বাড়িয়ে আইন সংশোধনে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তারা। সরকার তাদের দাবিই পূরণ করলেন।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ-সম্পর্কিত ধারাটি পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে। এই ধারায় ব্যাংকের পর্ষদে একজন পরিচালক কত বছর পরিচালক থাকতে পারবেন, সে কথা বলা রয়েছে। সর্বশেষ ধারাটি সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। এবার ষষ্ঠবারের মতো সংশোধন হল। আর সেটাও করা হলো ব্যক্তি স্বার্থে
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বিলটি আমাদের বিস্মিত করেছে। জনস্বার্থ বাদ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য ৬ বার এ আইনটি সংশোধন করা হলো। এ আইন ব্যাংকগুলোকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার কৌশল। তিনি বলেন, পরিচালকরা ব্যাংকিং সেক্টরের উন্নতি চায় না। আত্মীয় স্বজনের নামে ঋণ নেয়। একসময় খেলাপি হয়ে যায়। এই টাকা আদায় করা যায় না। কয়েকজন লুটেরার জন্য আইন সংশোধন হতে পারে না। তারা টাকা লুট করে বিদেশে পাঠায়।

http://www.dailysangram.com/post/332127