২৩ মে ২০১৮, বুধবার, ১০:২৭

‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরো ১১ মাদকবিক্রেতা নিহত

গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যাব ও পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অন্তত ১১ জন মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছেন। নেত্রকোনায় নিহত আমজাদ হোসেন (৩৫) ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এসব ঘটনায় র্যাব ও পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শরীফ ও পিয়ার নামে তালিকাভুক্ত শীর্ষ দুই মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের অদূরে বিবির বাজার অরণ্যপুর এলাকায় মাদকব্যবসায়ীদের আটক করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতদের মধ্যে মধ্যে মো: শরীফ জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেষপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে। অপর নিহত পিয়ার আলী আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদকের মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসছে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া, ডিবির ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা, কোতয়ালির ওসি (তদন্ত) মো: সালাহ উদ্দিনসহ ও ডিবি পুলিশের একাধিক পৃথক টিম ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ১টার দিকে মাদকব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। অভিযানে অংশ নেয়া কুমিল্লা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে শীর্ষ মাদকবিক্রেতা শরীফ (২৬), পিয়ার আলী (২৮) ও সেলিম গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার শরীফ ও পিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোনায় পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ আমজাদ হোসেন (৩৫) নামে পুলিশের হাতে আটক এক মাদককারবারি নিহত হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বড়ওয়ারী ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় পৌর এলাকার পশ্চিম নাগড়ার গাইনপাড়ার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। তিনি সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমজাদ হোসেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওমি মো: বোরহান উদ্দিন খান জানান, মাদক, হত্যা, অবৈধ অস্ত্র বহন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মোট ১৩ মামলার আসামি আমজাদ হোসেনকে সোমবার রাত ২টার সময় গাইনপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পুলিশ তাকে নিয়ে অপারেশনে বের হয়ে বড়ওয়ারী ঘাটে পৌঁছার পর পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণ শুরু করলে জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ বেধে যায়। এ সময় পুলিশের হেফাজতে থাকা আমজাদ হোসেন ক্রসফায়ারে গুলিবিদ্ধ হলে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ দাবি করে অপারেশনের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর ওই স্থান থেকে পাঁচ গ্রাম হেরোইন, একাধিক ইয়াবাহ ট্যাবলেট, ১ টি পাইপগান ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশের মাঠে মাদকব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামরুজ্জামান সাধু খাঁ (৪৫) নামের অপর এক মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছে। সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি এবং এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানার চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত কামরুজ্জামান সাধু আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী থানাপাড়ার মৃত এমদাদুলের ছেলে। তার নামে আলমডাঙ্গা থানায় ১২টি মাদক মামলা রয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক পাচারসহ ১২টি মামলা রয়েছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসক জানান, নিহতের মাথায় ও বুকে একটি করে দু’টি গুলির চিহ্ন প্রাথমি ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বাঞ্ছারামপুর সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে র্যাবের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধন মিয়া (৩৫) নামে এক মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
গতকাল ভোররাতে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তিনি উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত ধন মিয়ার স্ত্রী আরজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১০ সিপিসি-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর সদস্যরা সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে অভিযান চালায়। এ সময় ধন মিয়া ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তারা বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুরে এলে র্যাব তাদের পেছনে পেছনে সেখানে চলে আসে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতে গুলি বর্ষণ করেন ধন মিয়া। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ধন মিয়া ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তল্লাশি করে তার হেফাজত থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা, ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা, একটি বিদেশী পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি প্রাইভেট কার ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহত ধন মিয়ার স্ত্রী আরজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। ধন মিয়ার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় চারটি মামলা রয়েছে।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু খান (৩৫) নামে এক মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট ও বিদেশী অস্ত্র। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আড়াইহাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিমুলতলী নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বাচ্চু খান রাজধানী ঢাকার উত্তরার উত্তরখান এলাকার আশরাফ খানের ছেলে। এ সময় মাদকব্যবসায়ের কাজে ব্যবহৃত একটি জিপ উদ্ধার করা হয়।

র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধারের জন্য রূপগঞ্জের ৩০০ ফিট এলাকায় র্যাব টহল দিচ্ছিল। এ সময় র্যাব একটি প্রাইভেট কারকে থামানোর সঙ্কেত দেয়। প্রাইভেট কারটি র্যাবের ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে। পরে র্যাবের দল উপজেলার শিমুলতলীতে প্রাইভেট কারটি আটক করে। এ সময় গাড়িতে থাকা তিন মাদকবিক্রেতা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু নামের এক মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়। পালিয়ে যায় দুইজন। এ সময় এক র্যাব সদস্য আহত হন।

দিনাজপুর ও বিরামপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের বিরামপুরে পৌরসভার মিরপুর এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রবল হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত প্রবল হোসেন উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, গতকাল রাত প্রায় ৩টার সময় পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এমতাবস্থায় পুলিশও পাল্টা গুলি করলে প্রবল হোসেন নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা সবাই মাদকবিক্রেতা বলে ধারণা করছে পুলিশ। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের দুই এসআই রাম চন্দ্র ও খুরশিদ আলম আহত হন। তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি ককটেলসহ ৯২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি আব্দুস সবুর।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুই মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের ককটেলের আঘাতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেনÑ সৈয়দপুর পৌর শহরের ইসলামবাগ মহল্লার আব্দুল হান্নানের ছেলে জনি হোসেন (২৭) ও নিচু কলোনি মহল্লার ইউসুফ হোসেনে ছেলে শাহিন আহমেদ (৩০)। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারীর সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সৈয়দপুর উপজেলার বাইপাস মহাসড়কের গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশের সাথে মাদকব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় আটটি করে মামলা রয়েছে। আহত চার পুলিশ সদস্যকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। নিহত জনি ও শাহিনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেলার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফেনী সংবাদদাতা জানান, ফেনী শহরের অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাাম মহাসড়কের লেমুয়া ব্রিজ সংলগ্ন নিয়াজপুর জেনিথ ফিলিং স্টেশনের কাছে গতকাল ভোরে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মঞ্জুরুল আলম ওরফে কানা মঞ্জু (৪৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রূপকানিয়ায়। তিনি তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদককারবারি বলে র্যাব জানিয়েছে।
গাড়িটি না থামিয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে গাড়িটিকে ধাওয়া করে। গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে নিয়াজপুর এলাকায় মহাসড়কে হামলাকারীদের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। অপর আহত দুই র্যাব সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রামের শীর্ষ মাদককারবারি মঞ্জু বলে পরে শনাক্ত করা হয়। সাতকানিয়ার রূপকানিয়া গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে। চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার ফলের গলিতে তার আস্তানা রয়েছে।
ফেনীস্থ র্যাব-৭ এর স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি ও পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৫ সালে র্যাব তাকে ৫ লাখ ২৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়জিদ বোস্তামি থানার ডেবারপাড় এলাকায় র্যাবের সাথে ‘গুলি বিনিময়ে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। র্যাব দাবি করেছে, সোমবার রাত ২টায় নিহত ব্যক্তির নাম শুক্কুর আলী (৪৫)। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ মাদকবিক্রেতা এবং ১০টির বেশি মামলার আসামি দাবি করে র্যাব জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি ওয়ান শুটারগান এবং পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন র্যাব সদস্য আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় বলেও র্যাবের দাবি।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, শুক্কুর আলীর পিতা মো: হেলাল উদ্দিন, বাড়ি মুকুন্দপুর, (ভূঁইয়াবাড়ী), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মাদক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত মাদকের মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/11282