২২ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৩৩

‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৭ জেলায় ৯ মাদককারবারি নিহত

গতকাল দেশের সাত জেলায় পুলিশ ও র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন নিহত হয়েছেন। তন্মধ্যে যশোরে সর্বাধিক তিনজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে গত তিন দিনে বন্দুকযুদ্ধে মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা সবাই মাদককারবারি এবং একাধিক মামলার আসামি।
যশোর অফিস জানায়, যশোরে মাদককারবারিদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন মাদককারবারি নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে যশোরে শহরতলিতে এ ঘটনা ঘটে। সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় মিলেছে। তার মধ্যে একজন শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ট্যাংরা জামতলার রহমান গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম দুঃখী ও অন্যজন একই উপজেলার মহিষকুড়া গ্রামের হারুনর রশিদের ছেলে মুত্তাজুল মোড়ল। নিহত সিরাজুল ইসলাম দুঃখীর ছেলে রিপন হোসেন দাবি করেন, তার বাবা একজন কৃষক। পরশু ভোরে দুইটি সাদা মাইক্রোবাসে করে সাত-আট ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। ‘এর পর আমার বাবার আর কোনো সন্ধান পাইনি। রোববার সকালে লোকমুখে খবর শুনে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে দেখতে পাই আমার বাবা খালি গায়ে একটি চেক লুঙ্গি পরা।

পুলিশের ভাষ্য, মাদককারবারিদের মধ্যে গোলাগুলিতে এ তিনজন নিহত হন। ঘটনাস্থল সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা ও মণ্ডলগাতির মাঝামাঝি স্থান এবং তরফনওয়াপাড়া। এর আগে শনিবার রাতে গুলিতে নিহত হন এক যুবক। আর শুক্রবার রাতে অভয়নগরে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন তিন মাদককারবারি। এ নিয়ে তিন দিনে যশোরে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন নিহত হয়েছে।
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে এক মাদককারবারি নিহত এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেস্তি রনি (২৭), টঙ্গীর এরশাদনগরের ৩নং ব্লকের বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন টঙ্গী থানার এএসআই মো: ওমর ফারুক ও এএসআই মো: আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া ৪০ সহস্রাধিক ইয়াবা টেবলেট ও নগদ টাকাসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক কর্মচারী ও এক নারীকে র্যাব-১ এর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর জেলা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, আট কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল, ১০০ লিটার চোলাই মদসহ ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

টঙ্গী থানার ওসি মো: কামাল হোসেন জানান, মাদক কেনাবেচার খবর পেয়ে পুলিশ রোববার রাত সোয়া ৩টায় টঙ্গীর নিমতলি মাঠ এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদককারবারি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে রনি গুলিবিদ্ধ হয় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। রনিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রনির বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মাদকের ১৪টি মাদক মামলা রয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদককারবারি নিহত হয়েছেন। তার নাম লিয়াকত আলী (৪৫)। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নামাজগ্রাম গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জাক্কার আলী মণ্ডলের ছেলে। র্যাবের দাবি, লিয়াকত পুঠিয়ার একজন শীর্ষ মাদককারবারি ছিলেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি যুবলীগের স্থানীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং বানেশ^র ইউপির ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

র্যাব জানায়, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ৮২৩ পিস ইয়াবা ও গুলির খোসাসহ মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মাদক, চোরাচালান, অপহরণসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
র্যাব আরো জানায়, রোববার রাতে পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাদককারবারি র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষায় র্যাবও তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে লিয়াকত আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় লিয়াকতকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ রামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে র্যাব জানিয়েছে।

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নরেন্দ্রপুর এলাকার র্যাবের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছব্দুল মণ্ডল (৪৫) নামে এক মাদককারবারি নিহত হয়েছেন। রোববার রাত দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছব্দুল মণ্ডল উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী নাইন এমএম পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ১৫০ পিস ইয়াবা, একটি হেলমেট ও এক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।

ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এএসপি গোলাম মোর্শেদ জানান, রোববার রাত আনুমানিক ২টায় নরেন্দ্রপুর নামক স্থানে তাদের একটি টহল টিম চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছিল। সে সময় ওই স্থান দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন লোক ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় র্যাব তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় সব্দুল ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা দেন। সে এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি বলে র্যাব জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলীতে মাদককারবারি সাথে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে জোনাব আলী (৩৫) নামের এক মাদককারবারি নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১টায় উথলীর সন্ন্যাসীতলা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোনাব আলী উথলী আমতলা-দক্ষিণপাড়ার মৃত মহসিন আলীর ছেলে। সে একজন কুখ্যাত মাদককারবারি। তার নামে জীবননগর থানাসহ পাশের দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অন্তত ১১টি মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুইটি কার্তুজ, তিনটি রামদা এবং এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে জীবননগর থানার তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, জীবননগর থানা পুলিশ রোববার রাত পৌনে ১টায় উথলী মোল্লাবাড়ি-সন্ন্যাসীতলা সড়কে টহলরত ছিল। পুলিশের গাড়িটি সন্ন্যাসীতলা নামক মাঠের কাছে পৌঁছলে ১০-১২ জনের দুর্বৃত্তদল পুলিশকে লক্ষ্য করে পাঁচ-সাত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। একপর্যায়ে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে দুর্বৃত্তদলকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০-১২ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। দুর্বৃত্তদলের সদস্যরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে গ্রামবাসী এসে বন্দুকযুদ্ধে নিহত মৃত যুবক এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি উথলী গ্রামের জোনাব আলীর লাশ বলে শনাক্ত করেন।

জীবননগর থানা ওসি মো: মাহমুদ রহমান জানান, জোনাব আলীর বিরুদ্ধে জীবননগর থানাসহ পাশের থানায় অন্তত ১১টি মাদক মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শুটারগান, দুইটি কার্তুজ, তিনটি রামদা এবং এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেনÑসহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিলন হোসেন, কনস্টেবল ওয়ালিদ রহমান এবং কনেস্টবল জুয়েল হোসেন। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতা জানান, নরসিংদীর পলাশে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ইমান আলী (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ভোর ৫টায় উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশারটেক এলাকায় এ কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র্যাবের দাবি, নিহত ইমান আলী নরসিংদীর শীর্ষ মাদককারবারি ও নিয়ন্ত্রক। বন্দুকযুদ্ধের পর ইমান আলীর কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ বিপুল ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে। র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মো: জসিম উদ্দিনের ভাষ্যমতে, ইমান আলী ঘোড়াশালের খালিশারটেক এলাকায় তার বাড়ির পাশে ইয়াবার চালান আদান প্রদান করছেনÑ এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইমান আলীর সাথে তার দুই সহযোগী ছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। তখন ইমান আলী গুলিবিদ্ধ হন। আর বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমান আলীকে পলাশ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার বলেন, ইমান আলীর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি গ্রামে। তার মায়ের নাম মমতাজ বেগম। বাবার নাম মিলন মিয়া (সৎবাবা)। তবে তার আসল বাবার নাম জানা যায়নি।

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত মাদককারবারি আবুল কালাম আজাদ (৪২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজন র্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোববার রাতে ঘাটাইল উপজেলার দেওলাবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গোলাবারুদ এবং ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল কালাম আজাদ ঘাটাইলের পূর্ব পাকুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান খানের ছেলে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ জানায়, রোববার রাত ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, ঘাটাইল উপজেলার দেওলাবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলীর ইটভাটায় পাঁচ-ছয়জন কুখ্যাত অস্ত্রধারী মাদককারবারি মাদক বিক্রির জন্য একত্রিত হয়েছে। ওই দিন রাত পৌনে ১২টায় র্যাব-১২ এর একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদককারবারি র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এভাবে ১০-১৫ মিনিট ধরে চলে গুলি বিনিময়। একপর্যায়ে মাদককারবারি পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে ইটভাটার চিমনির পশ্চিম পাশ থেকে আবুল কালাম আজাদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সাথে সাথে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ গুলাগুলির ঘটনায় র্যাবের এএসআই (এবি) ছামিদুল ইসলাম ও ল্যান্স নায়েক আনিছুর রহমান আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ১০০ বোতল ফেনসিডিল, দেড় হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন থানার ছয়টি মাদকের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/10979