প্রতীকি ছবি
২২ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১৮

বিরোধীদলীয় দাবির যৌক্তিকতা বেড়েছে

বর্তমান বিশ্বে সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে যারা নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করেন, তারা বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে নজরে রাখেন। কারণ, বিশ্বব্যাপী এ দেশের নির্বাচন নিয়ে ছলচাতুরী ও দুর্নীতি-কারচুপির কথা ছড়িয়ে পড়ায় তারা এ বিষয়ে অবগত। এ দেশে অনুষ্ঠিত একেকটি নির্বাচন থেকে তারা একেক রকম অভিজ্ঞতা লাভ করেন।

অবশ্য এসব সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার প্রায় সবই নেতিবাচক। সম্প্রতি খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন থেকে সমাজবিজ্ঞানীরা তাদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। ক্ষমতাসীন দল কীভাবে বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে নির্বাচনে জেতার ব্যবস্থা করে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে কীভাবে সরকারি দলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করা হয়, বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা দিয়ে কীভাবে চাপে রাখা হয়, বিনা মামলায় বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মীকে কীভাবে গ্রেফতার করা হয়, সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে আরপিও ভেঙে মন্ত্রীরা কীভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করেন, দলীয়করণকৃত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কীভাবে নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনের দিন সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেন, কীভাবে সরকারি প্রশ্রয়ে বহিরাগত লোকজনকে নির্বাচনী এলাকায় এনে হোটেলে রেখে তাদের নির্বাচনে কারচুপি করার কাজে ব্যবহার করা হয়- এসব ঘটনাও সমাজবিজ্ঞানীরা অবগত হয়েছেন।

তারা আরও জেনেছেন ভোটারদের কীভাবে হুমকি দেয়া হয়, কীভাবে তাদের ‘আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে’ বলে ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়, কীভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ার অনেক আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়, নির্বাচন কমিশন কারচুপির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের এজেন্টদের প্রায় অর্ধেক ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরলেও কীভাবে কমিশন একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মৃদু সমালোচনা করে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলে কীভাবে বিবৃতি দেন- এসব বিষয়ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগ্রহী বিদেশি সমাজবিজ্ঞানীরা কেসিসি নির্বাচন থেকে জেনেছেন। তারা আরও জেনেছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এক-তৃতীয়াংশ ভোট কেন্দ্রে সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের উল্লেখ না করলেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেসিসি নির্বাচনে সন্ত্রাসকারীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে যে এমনসব ঘটনা ঘটবে এবং এ নির্বাচনকে যে হুকুমবরদার ইসি গ্রহণযোগ্য বলবে তা বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা আগেই ভেবেছিলেন। তবে স্বদেশি ও বিদেশি সমাজবিজ্ঞানীদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকার হয়তো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হেরে গেলেও ওইসব নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে চাইবে। আর এ পুঁজি ব্যবহার করে সরকার রাজনৈতিক দল ও সাধারণ ভোটারদের দলীয় সরকারাধীনে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে সচেষ্ট হবে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তারা এখন বুঝতে পেরেছেন, সরকার ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ‘ওভারকিলিং দি অপজিশন’ নীতি গ্রহণ করেছে।
কেসিসি নির্বাচন দেখে নাগরিক সমাজ বুঝতে পেরেছে, সরকার শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সব নির্বাচনে জিতে ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখতে চায়। এ ব্যাপারে তারা বিরোধী দলকে একটুও ছাড় না দিয়ে পরিবর্তে তাদের হামলা-মামলায় জর্জরিত করে নির্বাচনে সক্রিয় হওয়া থেকে বিরত রাখতে চায়। আর এ কারণেই কেসিসি নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীর নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উপরিউক্ত নেতিবাচক পন্থাগুলো অবলম্বন করেছে। কাজেই কেসিসি নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোটভুক্ত এবং তাদের সমমনা দলগুলোর উত্থাপিত দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিরোধীদলীয় দাবি অধিকতর যৌক্তিকতা পেয়েছে। কেসিসি নির্বাচন দেখার পর জনমনে অবশ্যই এ প্রশ্ন উঠবে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন জেতার জন্য যদি সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা এমন দুর্নীতি-কারচুপি ও ভোট কাটাকাটির আশ্রয় নিতে পারে, তাহলে তারা দলীয় সরকারের অধীনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সে নির্বাচনে কেমন আচরণ করবেন? এ কারণে কেসিসি নির্বাচনের পর নির্দলীয় সরকারাধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি বিবেকবান নাগরিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কাজেই এ নির্বাচনের পর উন্নয়ন-অংশীদার দেশগুলো নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সরকারের ওপর নির্দলীয় সরকারাধীনে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জোরালো করবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ডিসিসিসহ আরও কতিপয় বড় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যে সরকার কেসিসি মডেল অনুসরণ করে বিরোধী দলকে দেশব্যাপী কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে তা অনুধাবন করা যায়। আর এভাবে বিরোধী দলকে দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে যদি রাজি করাতে পারে তাহলে আর পায় কে! সেক্ষেত্রে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনে জয়ী হতে হুকুমবরদার ইসিকে ব্যবহার করে যে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে, তা ধারণা করা যায়। এমন সংসদ নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা ৩০০ আসনেই জয়লাভ করতে পারবেন। তবে তারা হয়তো লোক দেখানোর জন্য বিরোধী দলকে কিছু আসনে জেতার ব্যবস্থা করে ওই নির্বাচনকে বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্য করার ব্যর্থ চেষ্টা করতে পারেন।

তবে গণতান্ত্রিক দেশগুলো যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে এবং যেভাবে বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপর চোখ রাখছে, তাতে মনে হয় না যে, দলীয় ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত দুর্নীতি-কারচুপির একাদশ সংসদ নির্বাচনকে তারা ভালোভাবে নেবে। নির্বাচন করার এ নীতি থেকে বেরিয়ে না এলে গণতান্ত্রিক বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়বে। সরকার হয়তো ভাবতে পারে, দশম সংসদ নির্বাচনকে যেভাবে তারা জায়েজ করেছে, ঠিক একইভাবে একাদশ সংসদ নির্বাচনকেও চেষ্টা-চরিত্র করে বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্য করে ফেলবে। কিন্তু কাজটি এত সোজা হবে বলে মনে হয় না। কারণ প্রথমবার সরকার যেভাবে বিরোধীদলীয় জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনকে ব্যবহার করেছিল, এবার তাদের সে সুযোগ নেই। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ অহিংস পলিসি এবার সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে।

এজন্য সরকারদলীয় নেতারা বিএনপিকে আন্দোলনে নামার উসকানি দিলেও পোড় খাওয়া দলটি তাতে সাড়া দিচ্ছে না। পরিবর্তে দলটি অহিংস নীতি ব্যবহার করে নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন-অংশীদার বিদেশিদের সরকারের একতরফা নির্বাচনের নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে, এ চেষ্টা ততই জোরালো হবে। এ প্রক্রিয়ায় জড়িত হবে গণতান্ত্রিক দেশগুলো, জাতিসংঘ এবং ঢাকাস্থ কূটনৈতিক মিশনগুলো।
সরকার যদি কারও কথায় কর্ণপাত না করে একতরফা একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়, তাহলে তার পরিণাম আগে থেকে বলা কঠিন। এ মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে গণজাগরণের কোনো লক্ষণ নেই বলে যে তেমনটি কখনও হবে না তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। প্রকৃতিতে যেমন কোনো আগাম সংকেত না দিয়ে বজ পাত বা ভূমিকম্প হয়ে থাকে, রাজনীতিতেও অনেক সময় তেমনটি হয়। এ দেশেও এমন উদাহরণ রয়েছে। কাজেই সরকার যদি বিরোধী দলকে নাস্তানাবুদ করে পাকাপোক্ত হয়ে ক্ষমতায় বসে সংবিধানের অজুহাত সৃষ্টি করে দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে সে চেষ্টার সফলতার নিশ্চয়তা নেই।
তবে এমন চেষ্টা যতদিন কাজ করবে, ততদিন গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে না। উন্নয়ন-অংশীদার গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে উপেক্ষা করে দেশ চালাতে চাইলে সরকার হয়তো তা পারবে। তবে সেক্ষেত্রে সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্বে একঘরে হয়ে পড়বে। বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পাবে। দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বাড়বে এবং এ প্রক্রিয়ায় সরকারি দলের লোকজন রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে থাকবেন। দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার বাড়বে এবং মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম কেনা বৃদ্ধি পাবে।

সুশীল সমাজের অনেক সদস্য ভেবেছিলেন, প্রহসনের দশম সংসদ নির্বাচনের পর এ সরকার অনেক স্মার্টনেসের পরিচয় দেবে। তারা হয়তো একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং উপনির্বাচনগুলোতে কোনো হস্তক্ষেপ না করে নিজদলীয় প্রার্থী হেরে গেলেও নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়ে নাগরিক সমাজের আস্থা অর্জন করবে। এভাবে কাজ করে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করে সংবিধান অনুযায়ী তাদের দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনে রাজি করাবে।

কিন্তু তাদের সে ধারণা একেবারেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সরকার উপজেলা, ইউপি ও সিটি কর্পোরেশনসহ সব নির্বাচনে যে কোনো উপায়ে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করে কোণঠাসা করে ফেলার নীতি অবলম্বন করেছে। কেসিসি নির্বাচনে ঘটেছে তারই প্রতিফলন। এর ফলে জনমনে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ যে কোনো সময়ে রাজনীতিতে দমকা হাওয়া সৃষ্টি করতে পারে।
কেসিসি নির্বাচনের মতো আগামীতে যেসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, ওই নির্বাচনগুলোতে যে কোনো উপায়ে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করার নীতি অবলম্বন করলে সরকারের বিরুদ্ধে বিবেকবান নাগরিক সমাজের মনে ক্ষোভ বাড়বে। কাজেই সরকারকে স্মার্ট ভেবে সংসদ নির্বাচনের ‘এসিড টেস্ট’ বিবেচনা করে যারা ভেবেছিলেন কেসিসি নির্বাচন হবে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ, তারা এ নির্বাচন দেখার পর হোঁচট খেয়েছেন। বুঝেছেন, সরকার নিজ দলের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অবস্থান থেকে না সরে বরং সব ধরনের নির্বাচনে নিজদলীয় প্রার্থীদের যে কোনো উপায়ে জিতিয়ে আনার নীতি গ্রহণ করবে। কাজেই কেসিসি নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক দেশগুলো ইনক্লুসিভ একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর তাদের চাপ বাড়াবে।
সরকারকে কেসিসি নির্বাচনে সহিংসকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আহ্বান তারই ইঙ্গিতবাহী। তাছাড়া বিবেকবান নাগরিক সমাজও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে গণরায়ের প্রতিফলনের নিশ্চয়তা না পেলে হতাশ হয়ে বসে না থেকে পরিবর্তন আনতে অন্য কোনো উপায়ের চিন্তা করবে। আর ওই উপায়ের প্রকৃতি ও স্বরূপ এবং লাভ-লোকসানের মাত্রা এখনই অনুধাবন করা যাবে না। প্রত্যাশিত পরিবর্তনের জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তাও সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।

উল্লেখ্য, একটি কেটলিতে জল ভরে জ্বলন্ত উনুনের ওপর বসিয়ে এর নলের মুখ বন্ধ করে দিলে তা কোনো না কোনো সময় বিস্ফোরিত হবে। একইভাবে নির্বাচনে গণরায়ের প্রতিফলনে বাধা দিলে জনগণ কখন বিক্ষোভে ফুঁসে উঠবেন তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। আসন্ন আরও কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যদি সরকারি দলের প্রভাবে দুর্নীতি-কারচুপি বাড়ে, তাহলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরোধীদলীয় দাবি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজে আরও বেশি যৌক্তিকতা পাবে। সেদিক থেকে বলা যায়, কেসিসি নির্বাচন বিরোধীদলীয় দাবির যৌক্তিকতাকে শক্তিশালী করেছে।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/51251