১৫ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩৮

খুলনা নির্বাচনে তাহলে ইসি কী করছে?

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অন্যায়ভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধে অবশেষে হাইকোর্টকে রুল জারি করতে হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে নির্বাচন কমিশন কী করছে? খুলনা নির্বাচনে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করাই কর্তব্য। অথচ বার বার অভিযোগ করা সত্বেও ইসি কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল সেখানে পুলিশ প্রশাসন তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। এমন কী যাদেরকে নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট করা হয়েছে তাদেরকেও গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এ জন্য খুলনার পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার করার জন্যও নির্বাচন কমিশনে একাধিকার দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাকে কোন কর্ণপাত করেনি। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে ইসির পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অবশেষে বিএনপি হাইকোর্টের দারস্থ হয়। গতকাল সোমবার হাইকোর্ট বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রুল জারি করেছে।

এই রুলে খুলনার বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটের প্রচারণাকারীদের খুলনা মহানগর পুলিশ গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি করলে তা কেন আপিল বিভাগের নির্দেশনার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খুলনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর খুলনায় বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে যারা নির্বাচনী কাজ করছেন তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ অন্যায় কাজ বন্ধ করতে পারেনি। পারেনি নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে। অবশেষে নির্বাচনের একদিন আগে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রুল জারি করে এ অন্যায় বন্ধ করতে হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন তাহলে ইসির কাজ কী? নির্বাচন কমিশন খুলনা সিটিতে সুষ্ঠু ও সবার জন্য সমান সুযোগ করে দেয়ার ক্ষেতে কী ভূমিকা পালন করেছে?

http://www.dailysangram.com/post/330512