১৫ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩১

মালয়েশিয়ার নির্বাচন প্রকাশ্যনায়ক মাহাথির মোহাম্মদ : নেপথ্যনায়ক আনোয়ার ইব্রাহিম

ভেবেছিলাম, আজ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন, কারামুক্তি এবং আগামী নির্বাচন সম্পর্কে লিখবো। কিন্তু লিখতে বসে দেখলাম, আজ ১৫ মে মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চ‚ড়ান্ত রায় দেবেন। যখন আপনারা এই লেখাটি পড়বেন তখন হয়তো রায় হয়ে গেছে অথবা হতে যাচ্ছে। সেকারণে অন্তত এই সপ্তাহের জন্য এ সম্পর্কে লেখা থেকে বিরত থাকলাম। অন্যদিকে দেখছি, মালয়েশিয়ার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচন এবং মাহাথির মোহাম্মদের দ্বিতীয় দফা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বশ্রেণির মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তাই ঠিক করেছি, আজ মালয়েশিয়ার নির্বাচন এবং বিশেষ করে এই নির্বাচনের দুই নায়ককে নিয়ে আলোচনা করবো। এদের মধ্যে একজন হলেন প্রকাশ্যনায়ক এবং অপর জন হলেন নেপথ্যনায়ক। প্রকাশ্যনায়ক হলেন মাহাথির মোহাম্মদ এবং নেপথ্যনায়ক হলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। এসব নিয়েই লিখবো। কিন্তু এর মধ্যে একটি খবরে আমার চোখ আটকে গেল। তাই সেই খবরটি নিয়েও দুটি কথা বলতে হচ্ছে।

গত ১২ মে শনিবার বিএনপির অন্যতম সিনিয়র নেতা এবং সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন যে, আগামী মাসে অর্থাৎ জুন মাসে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। খবরটি ছাপা হয়েছে একই দিন দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে। মওদুদ সাহেব ফেনীতে তার নির্বাচনী এলাকায় গেছেন এবং সেখানে তার বাসায় কর্মীদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে ঐ কথা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কোথায় পেলেন মওদুদ সাহেব এই খবর? সর্বত্র যখন জানাজানি হয়ে গেছে যে, সরকার বেগম জিয়াকে সহজে ছাড়ছেন না এবং জেলে রেখে তাকে ছাড়াই আগামী ইলেকশন করবে সরকার, তখন এধরনের খবর, সর্বশ্রেণির নেতাকর্মী এবং বিএনপি সমর্থকদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াবে এবং কর্মীদেরকে বিপথে চালনা করবে। বেগম জিয়ার কারাদÐ হওয়ার পর থেকেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ দুই একজন বিএনপিপন্থী আইনজীবী প্রতিনিয়তই বলছেন যে, বেগম জিয়ার জামিন এবং মুক্তি সম্পর্কে তারা আশাবাদী। প্রতিবার তারা আদালতে যান আর বেরিয়ে এসে বলেন, বেগম জিয়ার মামলার রায় সম্পর্কে তারা আশাবাদী। তারা বলেই যাচ্ছেন যে আইনি লড়াই করে তারা বেগম জিয়াকে কারা মুক্ত করবেন। মওদুদ সাহেবরা যতই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ততই ফলাফল ঘটে তার উল্টা। তারা যখন বলেন বেগম জিয়া বেকসুর খালাস পাবেন তখনই বেগম জিয়ার জেল হয়। যখন তারা বলেন, বেগম জিয়া জামিন পাবেন, তখনই তার জামিন পিছিয়ে যায়। যতই তারা বলেন আইনি লড়াই করে তারা বেগম জিয়াকে বের করবেন, ততই দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষ তার সাজার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরের আবেদন করে। এই অবস্থার মধ্যেও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১০ দিনের সফরে লন্ডন গিয়েছিলেন। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, তিনি সেখানে তারেক রহমানের সাথে দেখা করেছেন। লন্ডন থেকে ফিরে জেলখানায় তিনি বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন। আইনজীবীদের যে দলটি বেগম জিয়ার সাথে দেখা করেন সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন না। ফলে মওদুদ বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে পারেননি। তখন তিনি বলেন যে, বেগম জিয়ার সাথে তার দেখা হওয়াটা খুব জরুরি ছিল। কারণ তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ নিয়ে এসেছেন। সেই ম্যাসেজটি কী সেটি জানা যায়নি। তারপর ফেনীতে গিয়ে তিনি বললেন, আগামী মাসে বেগম জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন।

অথচ, বাস্তবতা হলো এই যে, সহসা বেগম জিয়া জেলখানা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। আজ অর্থাৎ ১৫ই মে সুপ্রিমকোর্ট হয়তো তাকে বেল দেবেন। কিন্তু তারপরেও তিনি জেল থেকে বের হতে পারবেন না। কারণ, আরও ৫টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলে পরবর্তী মামালাগুলোতে একের পর এক তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে। সুতরাং এটি খুব পরিষ্কার যে, আইনি লড়াই করে এতো সহজে তাকে মুক্ত করা যাবে না। কারণ, ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাকে জেলে ঢুকানো হয়নি। সুতরাং পরের মাসে অর্থাৎ জুন মাসে বেগম জিয়া ছাড়া পাবেন এমন কথার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না। কোন সূত্রে অথবা কিসের ভিত্তিতে মওদুদ আহমদ এমন কথা বললেন সেটি আমার কাছে বোধগম্য হয়নি।

দুই
তাকে কেন জেলে ঢুকানো হয়েছে সেটি বাংলাদেশের মানুষতো বটেই বিদেশের অনেক বিদগ্ধ জন জেনে গেছেন। ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে বেগম জিয়ার আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। বেগম জিয়ার দÐ সম্পর্কে লর্ড কার্লাইল বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া একটি রাজনৈতিক কৌশল। লর্ড কার্লাইলের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ কথা জানিয়েছে। লর্ড কার্লাইল বলেছেন, যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দÐ দেয়া হয়েছে। এটা একটা রাজনৈতিক কৌশল। বর্তমানে খালেদা জিয়ার মামলার আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন লর্ড অ্যালেক্স কার্লাইল কিউসি। মামলার নথি দেখে ব্রিটিশ এই আইনজীবী জানান, তিনি এমন কোনো প্রমাণ দেখেননি, যার মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করা যায়, সাজা দেয়া তো দূরের কথা। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছুই পাইনি, যা দিয়ে এই মক্কেল কোনো দুর্নীতিতে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়।’ তার ভাষায়, ‘চলতি বছরে দেশে (বাংলাদেশে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার কাছে সহজেই মনে হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই। তাকে এভাবে গ্রেফতার করার অবশ্যই একটি কারণ আছে। আর তা একটিই। সরকার চায় না নির্বাচনে তিনি অংশ নিন।’

বেগম জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি যে একান্তই রাজনৈতিক তার প্রমাণ হলো, লর্ড কার্লাইলকে সরকার বাংলাদেশে আসতে দেয়নি। এ ব্যাপারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, লর্ড কার্লাইল ৮ মে’র সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের শুনানিতে ডিফেন্স টিমে অংশ নিতে গত কয়েক সপ্তাহ আগে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকমিশন তাকে ‘হ্যাঁ’ও বলেনি, ‘না’ও বলেনি। এতে স্পষ্ট যে, সরকার প্রত্যক্ষভাবে আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার যে শক্তিশালী লিগ্যাল টিম আছে তা যাতে আরো শক্তিশালী না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই তাকে ভিসা দেয়া হয়নি।

আল জাজিরায় দেয়া লর্ড কার্লাইলের সাক্ষাৎকারের বক্তব্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, আজকে লর্ড কার্লাইলকে ভিসা দেয়া হলো না। অথচ ১/১১ এর সময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী যখন জেলে ছিলেন তখন তিনি কানাডার একজন আইনজীবী প্রফেসর প্যায়াম একাদাম ও ব্রিটেনের একজন আইনজীবী চেরি বেøয়ারকে নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন এবং তারা সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ব্রিটেনের আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়ামসকে । তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মেম্বারও ছিলেন। তিনি ঢাকায় এসেছিলেন এবং ঐ মামলার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবের মামলায় ব্রিটিশ আইনজীবী ঢাকায় আসতে পারেন, বাংলাদেশ আমলে শেখ হাসিনার মামলায় কানাডার একজন এবং ব্রিটেনের একজন আইনজীবী ঢাকায় আসতে পারেন অথচ, বর্তমান সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে লর্ড কার্লাইলকে ঢাকায় আসতে দেওয়া হলো না। একেই বলে, ‘কি বা গাছের গুণ/ একই গাছে পান সুপারি/ একই গাছে চুন।’
তিন
মালয়েশিয়ার নির্বাচন সম্পর্কে লিখতে গিয়ে যে বিষয়টি আমাকে বিস্ময়ে অভিভ‚ত করেছে সেটি হলো মাহাথির মোহাম্মদের বয়স। দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রায় সকলেরই স্পষ্ট কোনো ধারণা নাই। কারণ, তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে এদেশে কোনো আলোচনা হয় না। বাংলাদেশে মোটামুটি এরকম একটা ধারণা রয়েছে যে, দেশটি একটি উন্নত দেশ। গরীব মানুষ সে দেশে গেলে চাকরি পেতে পারে। বেশ কয়েক লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়াতে প্রবাসী জীবনযাপন করছে। মালয়েশিয়াতেও রয়েছে টুইন টাওয়ার। ১৯৯৮-২০০৪ সাল পর্যন্ত এই বিল্ডিংটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উচু বিল্ডিং। উচ্চতা ২ হাজার ফিট। অবশ্য পরবর্তীকালে তাইপে এবং দুবাইতে ২ হাজার ফিটেরও উচু বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে। মালয়েশিয়া আর একটি কারণে বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর বহুদেশে পরিচিত। সেটি হলো তাদের দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
চলতি সালের জানুয়ারি মাসে আমি যখন প্রথম খবরের কাগজে পড়লাম যে, মাহাথির মোহাম্মদ অবসর থেকে বেরিয়ে আবার রাজনীতিতে আসছেন এবং মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তখন হতভম্ব হয়েছিলাম। কারণ গত জানুয়ারি মাসে তার বয়স হয়েছে ৯২ বছর। এর ১৫ বছর আগে অর্থাৎ যখন তার বয়স ৭৭ বছর তখন তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তার আগে একটানা ২২ বছর তিনি মালয়েশিয়ার প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। অর্থাৎ ৫৫ বছর বয়সে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন এবং ৭৭ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন। সেই মানুষ ৯২ বছর বয়সে যখন ঘোষণা করেন যে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি আবার ইলেকশন করবেন তখন স্তম্ভিত হওয়া ছাড়া আর উপায় আছে কি? আমাদের দেশে কোনো ব্যক্তি ৮০-তে পা দিলে ধরা হয় যে, তিনি আর সক্রিয় ও কর্মক্ষম জীবনযাপন করতে পারবেন না। অর্থাৎ সক্রিয় জীবনযাপন করার মতো দৈহিক এবং মানসিক শক্তি ও স্থিতিশীলতা তার থাকে না। ৯০ বছরের কোনো বৃদ্ধকে আমিতো রাস্তা ঘাটে চলাফেরাই করতে দেখি না। সেখানে নবতিপর অর্থাৎ ৯২ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ ৫ বছরের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন কীভাবে? সেক্ষেত্রে তাকে তো ৯৭ বছর বয়স পর্যন্ত শুধু বেঁচে থাকাই নয়, কর্মক্ষমও থাকতে হবে। সেজন্যই আমি মাহাথিরের নির্বাচনে এত স্তম্ভিত হয়েছিলাম।

অবশ্য দেখা যাচ্ছে যে, বয়স সমস্যারও সমাধান হতে যাচ্ছে। মাহাথির এই নির্বাচনী বিজয়ের প্রকাশ্য নায়ক। কিন্তু এই নির্বাচনী বিজয়ের নেপথ্য নায়ক হলেন সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সেই নেপথ্যনায়ক এবার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আসন অলঙ্কৃত করবেন। এখন তিনি কারাগারে। কিন্তু তিনিই প্রকৃত রাজনৈতিক শক্তি। আনোয়ার ইব্রাহিম ছিলেন মাহাথিরের উপপ্রধানমন্ত্রী। তাকে মাহাথির সমকামিতার অভিযোগে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বেকসুর প্রমাণিত হওয়ায় তিনি বেরিয়ে আসেন। পুনরায় দ্বিতীয় দফায় একই অভিযোগে মাহাথির তাকে অভিযুক্ত করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে মাহাথির তার ভুল বুঝতে পারেন এবং প্রকাশ্যে সেটি স্বীকার করেন। তিনি আরও ওয়াদা করেন যে, তিনি তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আনোয়ার ইব্রাহিমের দলের সাথে যুক্তফ্রন্ট করেন এবং অঙ্গীকার করেন যে, প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি মালয়েশিয়ার সুলতান কর্তৃক ইব্রাহিমকে মার্জনা করার ব্যবস্থা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ তার নিকট হস্তান্তরিত করবেন। আশা করা যাচ্ছে যে, এ মাসের মধ্যেই আনোয়ার ইব্রাহিম কারাগার থেকে মুক্ত হবেন। এরপর একটি উপনির্বাচনে তাকে পার্লামেন্টের মেম্বার হতে হবে। মেম্বার হওয়ার পর মাহাথির প্রধানমন্ত্রীর পদটি ইব্রাহিমের কাছে হস্তান্তর করবেন। ইতোমধ্যেই তিনি তার নতুন মন্ত্রিসভায় আনোয়ার ইব্রাহিমের স্ত্রীকে উপপ্রধান মন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন।
মালয়েশিয়ার রাজনীতির খবর যারা রাখেন তারা জানেন যে, আনোয়ার ইব্রাহিমই হলেন, গধহ নবযরহফ ঃযব ংপবহব অর্থাৎ পর্দার অন্তড়ালের আসল নায়ক। তাই দেখা যায়, নির্বাচনী প্রচারণায় মাহাথিরের যত ছবি শোভা পেয়েছে ঠিক ততগুলিই , অথবা তার চেয়ে বেশি ছবি শোভা পেয়েছে আনোয়ার ইব্রাহিমের। তাই বলা যায়, আনোয়ার ইব্রাহিম কারাগার থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেমন তার দলের তেমনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এই নির্বাচনী প্রচারণার।

 

https://www.dailyinqilab.com/article/131304