১৪ মে ২০১৮, সোমবার, ১০:০৭

মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিলের শিক্ষা

আশিকুল হামিদ : মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি প্রধান এবং দিক-নির্ধারণী ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে আয়োজিত এই মিছিলটি সে সময়ে জাতীয় স্বার্থে খুবই ফলপ্রসূ অবদান রেখেছিল। এখনো ফারাক্কা মিছিলের তাৎপর্য বিশেষভাবে অনুধাবন করা দরকার। কারণ, পানি আগ্রাসন তো অব্যাহত রয়েছেই, ভারত একই সঙ্গে আগ্রাসনকে আরো ব্যাপকও করে চলেছে। ভারত শুধু পানির ন্যায্য হিস্যা থেকেই বঞ্চিত করছে না, টিপাইমুখসহ বিভিন্ন বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পানি-প্রতিবন্ধী রাষ্ট্রেও পরিণত করতে চাচ্ছে। তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর না করার পেছনেও দেশটির রয়েছে একই উদ্দেশ্য। সুতরাং জাতিকে পানি-প্রতিবন্ধী হওয়ার ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষার জন্য দরকার ফারাক্কা মিছিলের ইতিহাস স্মরণ করা এবং ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।

১৯৭৬ সালের ১৭ নবেম্বর ইন্তিকালের মাত্র ছয় মাস আগে, ৯৬ বছর বয়সে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এই মহামিছিলের আয়োজন করেছিলেন। নেতৃত্বও তিনি নিজেই দিয়েছিলেন। লাখ লাখ নারী-পুরুষ ফারাক্কা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। রাজশাহীর মাদরাসা ময়দানে মওলানা ভাসানীর দেয়া ১০ মিনিটের ভাষণের মধ্য দিয়ে মিছিলের শুরু হয়েছিল। রাজশাহী থেকে প্রেমতলী, নবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ হয়ে কানসাটে গিয়ে ১৭ মে মিছিলের সমাপ্তি টেনেছিলেন মওলানা ভাসানী। কানসাট হাই স্কুল ময়দানের সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, ‘গঙ্গার পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যার ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে ভারত সরকারকে বাধ্য করার জন্য আমাদের আন্দোলনের এখানেই শেষ নয়।...’
বলা দরকার, মওলানা ভাসানীর দিক থেকে ফারাক্কা মিছিল কোনো আকস্মিক বা বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন দেয়াকে পুঁজি বানিয়ে স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রাথমিক দিনগুলোতেই ভারতের আধিপত্যবাদী কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশকে অবাধ লুন্ঠনের ক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা ও সহযোগিতার সুযোগে হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ও অন্যান্য সম্পদ পাচার হয়েছে ভারতে। সমগ্র দেশ ছেয়ে গেছে ভারতীয় পণ্যে। বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমেও বাংলাদেশকে রাতারাতি ভারতের ইচ্ছাধীন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গক্রমে ১৯৭৪ সালের ১৬ মে স্বাক্ষরিত ‘মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি’র কথা উল্লেখ করা দরকার। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত পেয়েছিল ফারাক্কা বাঁধ চালু করার সম্মতি। এ ব্যাপারে ভারত নিয়েছিল চাতুরিপূর্ণ কৌশল। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ফারাক্কা বাঁধ সম্পূর্ণরূপে চালু করার আগে শুষ্ক মৌসুমে প্রাপ্ত পানির পরিমাণ নিয়ে উভয়পক্ষ যাতে সমঝোতায় আসতে পারে সেজন্য ভারত প্রথমে ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ ফিডার ক্যানেল চালু করবে। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারত ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করেছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভারত ফিডার ক্যানেল দিয়ে পানি প্রত্যাহার অব্যাহত রাখে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা চুক্তি না করেই ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুমে একতরফাভাবে গঙ্গার পানি নিয়ে যায়। এর ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মায় পানি প্রবাহ ৬৫ হাজার কিউসেক থেকে নেমে আসে মাত্র ২৩ হাজার ২০০ কিউসেকে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সর্বনাশ সূচিত হয়।
দেশ ও জাতির সে দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে প্রথম থেকেই তিনি বাংলাদেশকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন। গঙ্গার পানি বন্টন এবং ফারাক্কা বাঁধের মীমাংসাকে ‘বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের জন্য হায়াত ও মউতের প্রশ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করে এর কোনো মীমাংসা না করায় ১৯৭৪ সালের ১৭ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সীমান্তে সশস্ত্র আক্রমণ ও সামরিক তৎপরতা। ভারতের এই যুদ্ধবাদী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যাপকভাবে সীমান্ত এলাকা সফর শেষে এক ‘খোলা চিঠি’তে তিনি ‘ফারাক্কা বাঁধের দরুণ উত্তর বঙ্গের উর্বর ভূমি কিভাবে শ্মশানে পরিণত হইতেছে’ তা নিজে এসে দেখার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। (২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬)

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ার পরই ১৯৭৬ সালের ১৮ এপ্রিল মওলানা ভাসানী ফারাক্কা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ফারাক্কা মিছিলের জন্য ১৬ মে-কে বেছে নেয়ার কারণ, ১৯৭৪ সালের ওই দিনটিতেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি। ফারাক্কা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘ভারত সরকার পানি প্রত্যাহারের মাধ্যমে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের ন্যায্য অধিকারের উপর হামলা চালালে বাংলাদেশের আট কোটি মানুষ তা জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে।’ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উদ্দেশে লেখা অন্য এক চিঠিতে মওলানা ভাসানী ফারাক্কা সমস্যার সমাধান এবং বাংলাদেশকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের ৪ মে। মওলানা ভাসানীর চিঠিতে তিনি ‘ব্যথিত ও বিস্মিত’ হয়েছেন জানিয়ে ইন্দিরা গান্ধী লিখেছিলেন, ১৫৬ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ ভারতের পক্ষে ‘পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়।’ চিঠির শেষাংশে ইন্দিরা গান্ধী লেখেন, ‘যে কোনো যুক্তিসঙ্গত আলোচনার জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে। কিন্তু কারো এ কথা মনে করা উচিত নয় যে, ভারত কোনো হুমকি বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অযৌক্তিক দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করবে।’

‘শ্রদ্ধাসহ আপনার একান্ত ইন্দিরা গান্ধী’ লিখে শেষ করলেও চিঠির শেষের বাক্যে ছিল প্রচ্ছন্ন হুমকি। জবাবে ইন্দিরা গান্ধীকে মওলানা ভাসানী লিখেছিলেন, ‘সমস্যার সমাধান হতে হবে স্থায়ী এবং ব্যাপকভিত্তিক। এই সমাধান শুধু শুষ্ক মৌসুমের জন্য হলে চলবে না, সারা বছর ধরে পানির প্রবাহ একই পরিমাণ হতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষ থেকে আর কোনো সাড়া না পাওয়ায় মওলানা ভাসানী ফারাক্কা মিছিলের কর্মসূচি পরিবর্তন করেননি। আওয়ামী লীগ এবং ভারত ও রুশপন্থী কয়েকটি দল ছাড়া সব দল সমবেত হয়েছিল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে। ‘চলো চলোÑ ফারাক্কা চলো’ স্লোগান মুখে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ নারী-পুরুষ গিয়েছিল রাজশাহী। ১৭ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিশাল মিছিল শেষ হয়েছিল কানসাটে গিয়ে, বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে। এই মিছিলের আতংকে ভারত সরকার রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ভয়ে ভারতকে যখন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করতে হয়েছে তখন তার উচিত অবিলম্বে ফারাক্কা সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা।’
এ কথা সত্য যে, ভারতের সম্প্রসারণবাদী ও অবন্ধুসুলভ মনোভাবের কারণে মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিল সমস্যার স্থায়ী সমাধান অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে, মূলত এই মিছিলের জনপ্রিয়তা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর ব্যাপক প্রচারণার ফলেই ভারতকে বহুদিন পর বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে হয়েছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালেই জাতিসংঘে ফারাক্কা বাঁধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং সাধারণ পরিষদের রাজনৈতিক কমিটির ২৪ নভেম্বরের সর্বসম্মত বিবৃতির ভিত্তিতে শুরু হওয়া ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ১৯৭৭ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় ‘ফারাক্কা চুক্তি’। এই চুক্তিতে বাংলাদেশের অনুক’লে ‘গ্যারান্টি ক্লজ’ থাকায় ভারত কখনো যথেচ্ছভাবে পানি প্রত্যাহার করতে কিংবা বাংলাদেশকে কম হিস্যা দিতে পারেনি। অবস্থায় পরিবর্তন ঘটেছিল ১৯৯৬ সালে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আগত আরেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সরকার ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পর, ১৯৯৭ সালের মার্চেই স্থাপিত হয়েছিল সর্বনিম্ন পরিমাণ পানি পাওয়ার রেকর্ড। ২৭ মার্চ বাংলাদেশ পেয়েছিল মাত্র ছয় হাজার ৪৫৭ কিউসেক পানি। যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘প্রকৃতির ওপর তো কারো হাত নেই!’ অন্যদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারত ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানি আগেই উজানে উঠিয়ে নিয়েছিল। অথচ পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের সময় ১৯৯৫ সালের ২৭ মার্চও বাংলাদেশ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৮৮১ কিউসেক পানি। ১৯৭৭ সালের চুক্তির ‘গ্যারান্টি ক্লজ’ ছিল এর কারণ। এটাই ছিল মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিলের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ওই মিছিলের ফলে গঙ্গার পানির ওপর বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত দাবি ও অধিকার স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সবশেষে বলা দরকার, ফারাক্কা মিছিলের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী গঙ্গাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদ-নদীর পানির ওপর বাংলাদেশের দাবি ও অধিকার আদায়ের পথ দেখিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই পথ থেকে বহুদূরে সরে গেছে। ১৯৯৬ সালের ৩০ বছর মেয়াদি পানিবন্টন চুক্তির পরিণতি বাংলাদেশের জন্য ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা ও প্রচারণা চালানো সত্ত্বেও সরকার ভারতকে দিয়ে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করাতে পারেনি। কথা শুধু এটুকুই নয়।
তিস্তা চুক্তিবিরোধী প্রধান নেত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জনকারী পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালে উল্টো আত্রাই নদীর পানির হিস্যা দাবি জানিয়ে বসেছেন। রাজ্য বিধান সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে মমতা বলেছেন, আত্রাই একটি আন্তর্জাতিক নদী। কিন্তু বাংলাদেশ আত্রাইয়ের ওপর বাঁধ নির্মাণ করে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার ফলে পশ্চিম বঙ্গ তার পানির হিস্যা পাচ্ছে না এবং পশ্চিম দিনাজপুর জেলাসহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা শুকিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই আত্রাই নদীর পানির হিস্যা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর মধ্য দিয়ে শুধু ভারতীয়দের আগ্রাসী মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটেনি, আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার দিকটিও প্রকটভাবেই উন্মোচিত হয়েছে। আর সব কিছুর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে এসেছে মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিলের শিক্ষা ও অর্জন থেকে সরে যাওয়া।

http://www.dailysangram.com/post/330329