১৩ মে ২০১৮, রবিবার, ১১:০৩

বজ্রপাতে বিভিন্ন স্থানে ১৪ জনের মৃত্যু

দেশের বিভন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৪, সাতক্ষীরায় ৩, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে স্কুলছাত্রীসহ ২, ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১ কৃষক, নেত্রকোনার বারহাট্টায় ১ কিশোরী, নওগাঁর পতœীতলায় ১ কৃষক, মেহেরপুরের গাংনীতে ১ কৃষক, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১ নারী রয়েছেন। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুমিল্লা ও মুরাদনগর : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ পাতে মো. ইসহাক মিয়া নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বায়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া মুরাদনগরে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ পাতে তিন জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া একই গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া, কড়ইবাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রুবেল মিয়া।

সাতক্ষীরা : বজ্রপাতে সাতক্ষীরা ও শ্যামনগরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের আমের আলীর ছেলে সাঈদুর রহমান বাড়ির ছাদে খেলার সময় বজ্রপাতে মারা যায়। একই দিনে ও প্রায় একই সময়ে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ও গাংআটি গ্রামে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় আবদুল মাজেদের ছেলে আশরাফ হোসেন ও আবদুস সাত্তার শেখের ছেলে আমিনুর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় আহতরা হলেন মিজানুর রহমান ও আজহারুল ইসলাম।
হবিগঞ্জ ও বানিয়াচং : বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্রীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির আঙিনায় রান্না করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্কুলছাত্রী তারিন। সে উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের সতমুখা গ্রামের জাহির মিয়ার মেয়ে এবং সুজাতপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এছাড়া একই উপজেলার দৌলতপুর হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান ওই গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে শ্রমিক মিজানুর রহমান।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) : নান্দাইলে বজ্রপাতে মোস্তফা নামে এক কৃষক মারা গেছেন। উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের পংকরহাটি (ধনারামা পূর্বপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বারহাট্টা (নেত্রকোনা) : বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অতিথপুর গ্রামে বজ্রপাতে হাবিবুর রহমানের মেয়ে মিতু আক্তার, ছেলে রাকিব ও তার শাশুড়ি শহর বানু গুরুতর আহত হন। তাদের মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিতু আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
পতœীতলা (নওগাঁ) : পতœীতলায় বজ্রপাতে ফিরোজ হোসেন নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের হরিপুর মাঠে ধান কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ হরিপুর গ্রামের নেজাই মণ্ডলের ছেলে।

মেহেরপুর : গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের ফকিরপাড়ায় বজ্রপাতে ফেলু জোয়ার্দার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ভাটাপাড়া গ্রামে রূপানামে একজনের শরীর ঝলসে গেছে বজ্রপাতে। সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামে দেয়ালচাপায় ঘটনাস্থলেই বাছিরন নেছা মারা গেছে। বাছিরন গ্রামের ফকির আলীর স্ত্রী।
কিশোরগঞ্জ : নিকলী উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন মোমেনা খাতুন নামে এক নারী। সিংপুর ইউনিয়নের গোড়াদীঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি গোড়াদীঘা গ্রামের কালু মিয়ার মেয়ে।
কাউনিয়া (রংপুর) : কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর ড্রাইভার পাড়া গ্রামে বজ্রপাতে হারুন অর রশিদের পুকুরে থাকা ১২টি হাঁস ও শত শত মাছের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে পুকুরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা হারুন অর রশিদের স্ত্রী মরিয়ম বেগম আহত হয়েছেন।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/47498