১০ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৯

ফসলের মাঠে যেতে ভয়

হাওর-বাঁওড় আর বৃষ্টি-বাদলার এ দেশে বজ্রপাত আগে কখনো এত আতঙ্ক হয়ে দেখা দেয়নি। এখন আকাশ কালো হয়ে উঠতে শুরু করলেই মাঠ-ঘাট-ক্ষেত থেকে ঊর্ধ্বশ্বাসে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে শুরু করে মানুষ। এই দৌড়ে তাদের প্রায় হারিয়ে দিয়েই নেমে আসছে মৃত্যুদূতের মতো বজ্রবিদ্যুৎ। মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে থাকছে, ছিটকে পড়ছে প্রাণহীন শরীর। ৩০ এপ্রিল থেকে গত ১০ দিনে সারা দেশে মারা গেছে ১০৬ জনের বেশি। গতকাল বুধবার এক দিনেই মারা গেছে ২৭ জন। সরকার এরই মধ্যে বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা করে এ থেকে মানুষকে রক্ষা করার উপায় খুঁজছে। কিন্তু স্বজন হারানো পরিবারগুলোর হাহাকার আর আহাজারি বৃষ্টি ছাপিয়ে বইছে হাওরাঞ্চলসহ বজ্রাক্রান্ত এলাকাগুলোতে। যারা মারা গেছে তাদের বেশির ভাগই খাবার জোগাত পরিবারের সদস্যদের মুখে। তারা গিয়েছিল মাঠে ফসল কাটতে, ধান গোলায় তুলতে কিংবা মাঠ থেকে ঘরে ফিরছিল গবাদি পশু নিয়ে।

অবস্থা এমন হয়েছে, হাওরে এখন অবশিষ্ট ফসল কাটার জন্য শ্রমিক মিলছে না। বেশি অর্থের বিনিময়েও বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে রাজি হচ্ছে না তারা। ফসলের মালিকরাও অসহায়, বন্যার পানিতে ডোবার আগে পাকা ধান দ্রুত ঘরে তুলে আনতে হবে। কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধিরা হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাঠিয়েছেন এই ভীতিকর অবস্থার চিত্র।
সুনামগঞ্জে আতঙ্ক
ধান কাটার এ মৌসুমে হাওরে বা এর কান্দায় ধানখোলায় কাজ করার সময় মারা যাচ্ছে শ্রমিক, কৃষক-কিষানিরা। গত ১০ দিনে এ জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছে ১৭ জন। আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। গতকালও দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আকাশ কালো করে একটানা বজ্রপাত ও ঝড় হয়েছে। এই সময়ে হাওরে মারা যায় দুজন, আহত হয় একজন। তারা কৃষক। ধান কাটতে গিয়েছিল। এসব ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১০ দিনে মারা যাওয়া এই ১৭ জনের মধ্যে কয়েকজন নারী রয়েছে। তারাও ফসল তুলছিল। এইচএসসি পরীক্ষার্থী একা রানী দাসের ওপর বজ্র নেমে আসে বাড়ির পাশের হাওরের কান্দায় ধানখোলায় কাজ করার সময়। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, গাছপালাহীন খোলা হাওর বজ্রপাত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। তিনি বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতর আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানান।

সুনামগঞ্জে এখন পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ ধান কাটার কথা বলা হলেও সেই ধান গোলায় তুলতে পারেনি কৃষক। কৃষকরা জানায়, ২০১০ সালে একবার প্রায় সম্পূর্ণ পাকা ফসল তলিয়েছিল। এর পরে প্রায় প্রতিবছরই ফসল হারিয়েছে তারা। এবার এখনো বন্যা দেখা না দেওয়ায় কৃষকরা পুরো ফসলই ঘরে তোলার আশা করছে। ফলনও এবার ভালো হয়েছে। কিন্তু বজ্রপাত আতঙ্কে শ্রমিক কাজ করতে না চাওয়ায় তারাও প্রমাদ গুনছে। এমনিতেই দুই দশক ধরে তীব্র শ্রমিক সংকট বিরাজ করছে হাওরে। একসময় উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বৈশাখে ধান কাটতে দলে দলে শ্রমিক আসত। এখন সেসব এলাকা কৃষিতে বিরাট সাফল্য পাওয়ায় তারা এমুখো হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কথা উল্লেখ করেছে। বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে হাওরে তালগাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এর ফল পেতে বহু বছর লাগবে বলে কৃষকরা জরুরি ভিত্তিতে প্রতিটি হাওরে বিশেষ বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। জামালগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লুত্ফুর রহমান বলেন, ‘সরকার প্রতিটি হাওরে স্বল্প খরচে বাঁশের টাওয়ার করে একাধিক বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করলে হতাহত কমবে বলে আশা করি।’

হবিগঞ্জেও শ্রমিক সংকট
ভোরবেলা দুপুরের খাবার সঙ্গে নিয়ে দূরের হাওরে চলে যায় তারা। উদ্দেশ্য ধান কাটা। কৃষকের পাকা ধান কেটে দিলে তারা এর একটি অংশ পায়। মাসজুড়ে এই কাজ করে যে ধান সংগ্রহ করে, তা দিয়ে তাদের সারা বছরের খাবার চলে। হাওর এলাকায় যারা এ কাজ করে, তাদের হবিগঞ্জের স্থানীয় ভাষায় ধাওয়াল বলে। হাওর এলাকায় এ কাজ করার শ্রমিকদের সংকট চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এখন নতুন করে বজ্রপাত আতঙ্কে এ কাজে যেতে চাচ্ছে না আর কেউ। ফলে বোরো চাষিরা পড়েছে চরম শ্রমিক সংকটে। হবিগঞ্জে গতকাল দুপুরে বজ্রপাতে ছয়জন নিহত এবং অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।
জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কামাল হোসেইন জানান, শুধু হবিগঞ্জ নয়, সারা দেশেই বজ্রপাত নতুন একটি দুর্যোগ। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বজ্রপাত বেশি। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হিসেবে তিনি বাড়িঘরে আগে যেভাবে তার দিয়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করা হতো, সেই ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারের তালগাছ লাগানোর মাধ্যমে সমাধানের প্রক্রিয়াটি অনেক ধীর বলে মনে করেন। কারণ একটি তালগাছ বড় হতে ২০ বছর লেগে যায়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘আমরা বজ্রপাত নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’ বন ধ্বংস এবং উষ্ণায়নকে এই বজ্রপাতের মূল কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, একসময় দেশে খরা, বায়ুদূষণ, বন্যা, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, নদীভাঙন ও লবণাক্ততা ছিল প্রধান দুর্যোগ। এখন বজ্রপাতকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
বজ্রপাতের সময় সতর্ক থাকার বিষয়ে বাপার হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, বজ্রপাতের সময় ধাতব বস্তু স্পর্শ করা ঠিক নয়। এমনকি টিভি, ফ্রিজ, পানির মোটর বন্ধ থাকলেও তা স্পর্শ না করা ভালো। পাকা বাড়ি হলেও তার ধাতব জানালায় হাত রাখা বিপদ হতে পারে। বিদ্যুতের সুইচ অফ রাখা বাঞ্ছনীয়। তারযুক্ত ফোন এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারও ঠিক নয়।
‘মরছি সমানে’
কিশোরগঞ্জে এরই মধ্যে হাওরের বেশির ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এখন উঁচু জমিগুলোর ধান কাটছে কৃষক। তবে শুরুতে কৃষকদের যে উৎসবমুখরতা ছিল, তা কেড়ে নিয়েছে বাকি ফসল ঘরে তোলার দুশ্চিন্তায়। বজ্রপাতের ভয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক কাজ ফেলে বাড়িতে চলে যাচ্ছে। বাড়তি পারিশ্রমিকের লোভ দেখিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।
করিমগঞ্জের চংনোয়াগাঁও হাওর ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কৃষকের অর্ধেক আবার কোনো কৃষকের বেশির ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। তবে মাঠের বাকি ধানগুলো কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, দুই মণ ধানেও একজন শ্রমিক মিলছে না। আরেক কৃষক ফজলুর রহমান জানান, কোনো কোনো শ্রমিক এখন আর ধানের বিনিময়ে ধান কাটতে চাইছে না।
করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মনসন্তোষ গ্রামের কৃষক রহমতউল্লাহ বলেন, ‘ভাই, বড় বেয়াড়া বৈশাখ, এই ভালো এই খারাপ। মুহূর্তে বদলে যায় তার মেজাজ। ঝড়-ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি-বাদল ও বজ্রপাতের মাঝে জীবনবাজি রেখে ধান কাটছি আমরা। মরছিও সমানে।’

আগামী ৭ দিনও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সাত দিন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজলি চমকানো এবং বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বাসসকে জানান, প্রতিবছর মার্চ-মে মাস প্রাক-মৌসুম। এ সময় বৃষ্টিপাত, বিজলি চমকানো ও বজ্রপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চল এবং ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে এ সময় বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, ভারি বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সাধারণত এ মৌসুমে বিকেলের দিকে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে থাকে।

বজ্রপাতে ১৫ জেলায় নিহত ২৭, আহত ৩৪
হবিগঞ্জে ছয়জনসহ দেশের ১৫ জেলায় গতকাল বুধবার বজ্রপাতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩৪ জন। বিস্তারিত আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে—
হবিগঞ্জ : দুপুরে বজ্রপাতে ছয়জন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এবং বাকি সবাই মাঠে ধান কাটার সময় নিহত হন। নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দত্তকান্তি গ্রামের নৌশের মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (৬০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাইরপুর গ্রামের স্বপন দাশ (৩৫), নবীগঞ্জের করগাঁও ইউনিয়নের বৈলাকীপুর গ্রামের হরিপালের ছেলে নারায়ণ পাল (৩৫), লাখাইয়ের তেঘরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সহিদের ছেলে ছুফি মিয়া (৩৫), নবীগঞ্জের বড় বাকৈর ইউনিয়নের আমড়াখাই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু তালিব (২০) ও মাধবপুরের পিয়াইম গ্রামের রামকুমার সরকারের ছেলে জহরলাল সরকার (২৩)।

তানোর (রাজশাহী) : মাঠে ধান কাটতে গিয়ে সকালে তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন কামারগাঁ বাতাসপুর গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে আনছার আলী (৩০), পাঁচন্দর ইউনিয়নের দুবইল নামোপাড়া গ্রামের সামসুদ্দীনের ছেলে সোহাগ আলী (১৮) ও কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম আদিবাসী গ্রামের বেলাম হেমরমের স্ত্রী এলেনা মুরমু (৩৫)।
জলঢাকা (নীলফামারী) : সকালে নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন আসমা বেওয়া (৫০) ও নুর আমিন (৪৫)। উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ঢুকঢুকি শালনগ্রাম গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী আসমা বেওয়া বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় নিহত হন। একই সময়ে কাঁঠালী ইউনিয়নের উত্তর দেশীবাই গ্রামের মৃত ছফর উদ্দিনের ছেলে নুর আমিনও নিহত হন।

মানিকগঞ্জ : জেলার দৌলতপুরে দুপুরে দুজন নিহত ও ৯ স্কুল শিক্ষার্থী আহত হয়। স্কুলে টিফিনের সময় খেলতে গিয়ে তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম অন্তর (১২) মারা যায়। এ ছাড়া মাঠে ধান কাটার সময় বাঁচামারা ইউনিয়নের হাসাদিয়া গ্রামের হাফেজ শেখের ছেলে ইয়াকুব আলী শেখ (৪৮) নিহত হন।
গাজীপুর (আঞ্চলিক) : জেলার কাপাসিয়ায় দুপুরে বিলে ধান কাটার সময় দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আবদুল মোতালেব ভূঁইয়া (৪০) উপজেলার সন্মানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও টানপাড়ার মৃত আলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে এবং সালদৈ গ্রামে নিহত মমিনুর রহমান (৪২) কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার সভারটেক গ্রামের আহসান আলীর ছেলে।
মুরাদনগর (কুমিল্লা) : সন্ধ্যায় দুই কিশোর নিহত হয়। উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া খেলার মাঠসংলগ্ন ক্ষেতে ধান কাটার সময় ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন যাত্রাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (১৮) ও একই পাড়ার হামিদ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১৪)।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের কাশিরপুর গ্রামে গতকাল দুপুরে আলমগীর (২৮) নামের এক যুবক নিহত হন।

হাওরাঞ্চল : ধর্মপাশার হাওরে ধান কাটতে গিয়ে জুয়েল মিয়া (১৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। দুপুরে উপজেলার কাইলানী হাওরে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল সদর ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
নরসিংদী : মনোহরদীতে দুপুরে গৃহবধূ পিয়ারা বেগম (৪০) নিহত হন। তিনি বড়চাপা ইউনিয়নের চরতারাকান্দি গ্রামের কাজল মিয়ার স্ত্রী। আহতরা হলো লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।।
সিলেট : গোয়াইনঘাট উপজেলায় দুপুরে নূরুল হক (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নূরুল হক পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মোড়ারগাঁওয়ের চণ্ডু মিয়ার ছেলে।
ময়মনসিংহ : সদরের চরনীলক্ষীয়ায় দুপুরে আলাল উদ্দিন (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মুক্তাগাছায় আহত হয়েছে আটজন।

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : তিলাবো গ্রামে দুপুরে কুলফি আক্তার (৮) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। জামপুর ইউনিয়নের তিলাবো গ্রামের শাহ কামালের মেয়ে কুলফি স্থানীয় বাছাবো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জামালপুর : দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের মৌলভীর চরে সকালে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে মো. হাবিবুর রহমান (৫৬) নামের এক কৃষক নিহত হন।
হাওরাঞ্চল : নিকলীর ছাতিরচর পূর্বপাড়ায় সকালে কলেজছাত্র মো. শাহজালাল (২৫) ধানবোঝাই মহিষের গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিহত হন। তাঁর বাবার নাম মো. মাইনুদ্দিন।
গাইবান্ধা : ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামে সকালে ধান কাটার সময় মহর আলী (৩৫) নিহত হন। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন কালের কণ্ঠ’র সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি শাসম শামীম, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি শফিক আদনান।

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2018/05/10/634497