৯ মে ২০১৮, বুধবার, ৮:০৯

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭.০৩ শতাংশে

দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। এপ্রিলে এই হার বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ০৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতিও গত বছরের তুলনায় এই এপ্রিলে বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবার বেড়ে তা ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী দুই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। কারণ পণ্যমূল্য কমছে। তা ছাড়া পর্যাপ্ত চালের উৎপাদন ও মজুদ আছে। এই সরকারের আমলে রোজা ও ঈদে কখনোই জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য আমলে না নিতে বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

রাজধানীতে ইআরডি সম্মেলন কক্ষে গতকাল একনেক সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য দেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিব, আইএমইডি সচিব ও পরিসংখ্যান সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর এপ্রিলের তুলনায় ২০১৮ সালের এপ্রিলে এসে সবগুলো খাতেই মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী। সার্বিকভাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি এখন ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। ২০১৭ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বর্তমানে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২০১৭ সালের এপ্রিলে ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে পূর্ববর্তী মাস মার্চের তুলনায় এই মূল্যস্ফীতির হার কম।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বর্তমানে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের বছরের এপ্রিলে এই হার ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। গ্রামের মানুষকেও বেশি দামে খাদ্য কিনতে হচ্ছে।
অন্য দিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বর্তমানে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আগের বছরের এপ্রিলে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের কথা বাদ দিতে হবে। আমরা হলাম বিশ্বব্যাংকের মালিক। তারা আমাদের চাকরি করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে সেগুলো আমাদের স্পর্শ করবে না। এবার চাল উৎপাদন বেশি হয়েছে। তার ওপর আমদানি করেও মজুদ রাখা আছে। ফলে কোনো সমস্যা হবে না।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/316919